Saturday, 26 September 2020

বার্তা

রোদ্দুরে ভরা সোনালী বিকেল গুলো হটাৎ কেমন ছোট্ট হতে শুরু করে দিয়েছে। দিন যেন আদুরে অভিমানী প্রেমিকার মতন ঠোঁট ফুলিয়ে অপেক্ষা করছে তাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে যেন কেউ আটকে রাখে দুহাতে। তাই এক পা চৌকাঠের বাইরে রেখেও যাবো কি যাবোনা করে আর এক পা চৌকাঠের ভিতরে রেখে অভিমানী মুখ অল্প ঘুরিয়ে আশা করে আছে সে ডাকের। কিন্তু সে ডাক আসেনা, সময়ের আবর্তে ক্রমশ তার অভিমান গাঢ় থেকে গাঢ় তর হতে থাকে, গুটি গুটি পায়ে রাত্রি নামে আর বুকের মধ্যে অস্ফুট কান্না জমতে জমতে রাতের অন্ধকারের কাছে মুখ লুকিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে একসময়। আলোর প্রয়োজন ক্রমে ম্লান হয়ে এসে রাতের কান্না হয়ে বিলীন হয়ে যায়। অভিমানী মেয়ের আদুরে আবদার গুলোর ওপরে কেমন যেন অবহেলা ভরে ধুলো জমতে থাকে। 
পরিবর্তন অমোঘ এবং অনস্বীকার্য। না চাইতেও আগের সেই অনেকটা লম্বা রোদ ঝকমকে দুপুর হটাৎ করে শেষ হয়ে গিয়ে ঝুপ করে সন্ধে নেমে আসে। আকাশে আজ রং এর খেলাও দেখা যায়না, মনখারাপের জানালা দিয়ে উঁকি দিতে থাকে শুকতারা, আসন্ন শীতের কাঠোরতাকে মেনে নেবার কেমন যেন এক নাবলা প্রস্তুতি চারিদিকে। একটা, দুটো করে আলো জ্বলে উঠতে থাকে। ধূমায়িত কফির কাপ এর আমোদিত গন্ধ ঝকঝকে skyline এর সীমানা পার করিয়ে চোখের ওপর ফুটিয়ে তোলে শীতের ধোঁয়াশা বিকেল, মখমলের মতন সবুজ মাঠের এধার থেকে ওধার পর্যন্ত একটা মোটা হয়ে থাকা ধোঁয়ার লেয়ার। কেমন একটা ধোঁয়া ধোঁয়া ভাব, পুজো পুজো গন্ধের মধ্যে দিয়ে একটা দুটো করে শিউলি ফোটার শুরু, সারারাত ধরে ফুটবে তারা। আর ভোর বেলায় বিছিয়ে পরে থাকবে, কোনো কিশোরী দুটো হাতের নরম অঞ্জলি ভোরে কখন তাদের ঘরে গিয়ে রাখবে সেই অপেক্ষায়। এভাবেই অপেক্ষায় থাকে সময়, ঘরে ফেরার, ঘরে আসার অথবা ঘরে আনার। আলোয় আলো রাস্তা, এ শহর ঘুমায়না, উইকেন্ড এর উচ্চকিত আলো আর জলসার আওয়াজ পেরিয়ে কানে ভাসতে থাকে সামগাছঅধ্যন।.......

ইচ্ছেনদী

আমার ল্যাব টা মাউন্ট sinai এর ১০ তলায়, আর আমার ওয়ার্কিং ডেস্কটা একদম জানালার ধারে , বিশাল জানালা। মনে হয় মেঘ গুলো এখুনি ঢুকে পড়বে এর মধ্যে। ...