Saturday, 5 June 2021

চেনা সবুজের মধ্যে দিয়ে অচেনা কে চিনে নেওয়া

আমার permanent address এ সবসময় থাকে vill + post Raghudevbati , Dist Howrah , Nalpur . আমি যে তথাকথিত শহুরে নয়, বরং ভীষণ ই এক গ্রাম্য পরিবেশ এ বড় হয়ে ওঠা একজন মানুষ , একথা ভাবতে এবং বলতে আমার খুব ভালোও লাগে গর্ব ও হয়। শিকড় আলগা করে দিলে সে গাছ যে একদিন ঝড়ে পরেই যায়। তাই পৃথিবীর যেখানেই থাকি সে দিল্লি ই হোক বা ওয়ার্ল্ড/স বেস্ট সিটি তেই হোক খুঁজে ফিরি আমার গ্রাম বাংলার সেই সবুজকে, বৃষ্টি ভেজা গাছের পাতা এখানেও এক ই ভাবে ঝিকমিক করে, চাঁদের আলো কিন্তু এখানেও ওই রকম ই নরম হয়ে পড়ে। নিউ ইয়র্ক এর ক্রিস ক্রস রাস্তা গুলো আমার খুব  ভালো লাগে, হারানর ভয় নেই, কেমন যেন যে পাড়া টা দিয়ে অত্রীদের কাছে ফিজিক্স পড়তে যেতাম সেরকম লাগে যখন ই আমি ম্যানহাটান এর এই ৮থ এভিনিউ এর দিকে আসি, কেমন চুপচাপ। এখানের তুলনায় কিছুটা নিচু বিল্ডিং, এগুলোকে নাকি ফ্লেমিংগো স্টাইল এর বিল্ডিং বলে, কিজানি কেন বলে। 

চেনা সবুজের মধ্যে দিয়ে অচেনা কে চিনে নেওয়া 

কিছুদিন আগে লোটাকম্বল পড়ছিলাম, সেখানেই এই ওয়েস্ট ম্যানহাটান এর একটা বাড়ির এক ঘটনার কথা বলা আছে, দেখতে দেখতে যাচ্ছি, কিছুইনা কখন চোখে পড়ে যায়, আর মেলাতে শুরু করবো হয়তো কত বছর আগের কোনো ঘটনাকে। মানুষ চলে যায়, রেখে যায় তার কীর্তি, ঐতিহ্য বহন করে থাকা কিছু সাক্ষী। নতুন প্রজন্ম আসে, এভাবেই এক প্রদীপ থেকে আর এক প্রদীপ জ্বলতে থাকে। দেখতে দেখতে যাচ্ছি, বিশ্ব যুদ্ধের সময়ের পুরোনো বিল্ডিং কত, আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা হয়তো কত অজানা কাহিনী। যত্নে কোথাও অযত্নে রক্ষিত ফুলের ঝাড়। আর এই হলো এক ভীষণ চেনা ছবি। এগুলো হলো আমার খুব প্রিয় আর চেনা সেই পাখি, দিল্লিতে যারা ছিল নিত্যসঙ্গী, ঠাকুমার মতো করে গুটিগুটি হাঁটা আর নেচে নেচে ঘুরে ঘুরে দানা পাতি খাওয়া। 

ইচ্ছেনদী

আমার ল্যাব টা মাউন্ট sinai এর ১০ তলায়, আর আমার ওয়ার্কিং ডেস্কটা একদম জানালার ধারে , বিশাল জানালা। মনে হয় মেঘ গুলো এখুনি ঢুকে পড়বে এর মধ্যে। ...