Saturday, 28 December 2024

When everyday I find a better me

 একটা যুদ্ধ চলছে আমার জীবনে, এর আগে কখনো এই যুদ্ধের সামনে পড়িনি তাই এটা নতুন। কিন্তু এ পৃথিবীতে, এ জীবনে অনেক কিছুই তো প্রথম, অনেক কিছুই নতুন, অনেক কিছুই আগে কখনো হয়নি। এও তেমন ই।  অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই এটা। চলছে। করছি। দেখি কোথায় ডেসটিনি নিয়ে যায়। নিজের যা কিছু ভুল নিজের যে জায়গাগুলো improve করার নিজে সেগুলো করে যাবো, বাকি যা হবে দেখা যাবে। জীবন টা একটাই, অনেক সিদ্ধান্ত ভুল নিয়েছি, অনেক সিদ্ধান্ত ঠিক, মানুষ যত mature হয়, তত নিজেকে refine করতে থাকে। নিজের জীবন টা কাউকে দেখানোর জন্যে নয় কিন্তু নিজের জন্যে refine করে রাখা বড্ডো দরকার। কারণ জীবন একটাই। কেউ এসে হাত ধরবে, কেউ হাত ধরবেনা। তুমি ধরতে চাইলেও সে হয়তো অন্য কারোর হাত কে prioirity দেবে। আবার তোমার হাত যে ধরতে চাইবে, তুমি হয়তো অন্য হাত খুঁজে বেড়াচ্ছ। জীবন এমন ই অদ্ভুত। এসবের মধ্যে চলে আমাদের বেঁচে থাকার লড়াই, গ্রাসাচ্ছদনের জন্যে, মাথা গোঁজার জন্যে। আমাদের ওপরে নির্ভর করে যে ছোট্ট মানুষ গুলো পা ফেলছে এই বৃহত্তর জায়গায় তাদের জন্যে। তবে একটা জিনিস এই দেশে আমার খুব ভালো লাগে। এখানে আমাদের দেশের  একটা সরকারি চাকরি মানুষকে তার সব craetivity থেকে দূরে নিয়ে চলে যায়না। এখানে চা খেতে গিয়ে এক ঘন্টা কাটিয়ে আসেনা কেউ কাজের মধ্যে। এখানে প্রতিদিনের জীবন যাত্রার মধ্যে একটা চ্যালেঞ্জ আছে। নিজেকে প্রমান করার চ্যালেঞ্জ, ভালো আরো ভালোর চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ অনেক সময় ই হয়তো সেই চ্যালেঞ্জ tiring এবং সব সময় ই যে এটা খুব honestly হয় তা নয়, এর মধ্যে অনেক রকম ডিসক্রিমিনেশন আর পলিটিক্স কাজ করে, যা ভীষণ insecured আর frustrated করে দেয় আমাকে।ভয় করে, মন খারাপ হয়, ভালো লাগেনা কিছু। তবু উঠে দাঁড়াই। নিজের যদি কিছু improvization এর দরকার থাকে তা করি আর এগিয়ে যাই। বাকি যা কিছু তা যেন ছেড়ে দিতে পারি ওই মহাকালের হাতে। লিখে অনেকটা হালকা লাগে , বেরোতে না পাড়া ইমোশনস গুলো, যুদ্ধ গুলো কোথাও বেরিয়ে এল মনে হয়, তাই এবার থেকে আবার এই জায়গাটাতে ফিরব। লিখবো আবার। আপাতত হাতে অনেক কাজ, যুদ্ধ ক্ষেত্রে একবার নেমে পড়লে আর ফেরার উপায় থাকেনা। তখন do or die . তাই জাস্ট দুটো মাস হাতে। দুটো বিশাল বড় প্রজেক্ট শেষ করতে হবে , এনালাইসিস, লেখা, পড়া , ইন্টারপ্রিটেশন, পেপার সাবমিট। নতুন চাকরি খোঁজা সব কিছু দিনের এই ৮ টা ঘণ্টার মধ্যে। বাকি ছোট্ট ছানা কে বড় করা। নিজের ঘর সেটাকেও তো ধুয়ে মুছে গুছিয়ে নিজেকেই রাখতে হবে। ওই ওপরে যে বসে আছে সে যেন সব দেখতে পায়। ....আর আমি সবাইকে নিয়ে সব কিছুকে নিয়ে একদিন যেন এই ব্লগ টা খুলে পরে দেখতে দেখতে ভাবতে পারি, পেরেছিলাম। i believe life starts at ৪০. :) 

Tuesday, 13 August 2024

আহির ভৈরব

 গত জন্মের মৃত্যু থেকে এই মুহুর্তে জেগে উঠছি যেন এইজন্মের ভোরে।

নিকষ অন্ধকার থেকে বিশ্বজগত যেমন জেগে উঠছে ভোরের মাতাল হাওয়ায়,

উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে আমার যত ক্লান্তি, যত ক্লেদাক্ত ইতিহাস

তিল তিল করে আলোময় হয়ে ওঠা এইজন্মের ভোরে সমস্ত নিয়ম ভেঙ্গে দিয়ে জেগে উঠেছে পাখিরাও।


আমিও সেই ভোরের নশ্বর সাক্ষী হয়ে এসে দাঁড়িয়েছি ঘরের বাইরে,

পেছনের যে দরজাটা দিয়ে বেরিয়ে এসেছি সেটিই যেন ছিল শেকল।

যেন বন্ধন মুক্তির আবেশ সারা শরীরে আমার,

অপূর্ব এক নেশার মত ঝিমধরা আবছায়ায় দাঁড়িয়ে মনে হলো -

এই বুঝি পূর্ণতা?

এতদিনে?

মনে হলো আমার চার পাশে আর কেউ নেই,

অদ্ভূত এক কুয়াশাছন্ন ভোর,

পূর্বদিককে জাগিয়ে তোলা লালিমা,

সবকিছুকে ওলট-পালট করে দেওয়া ঠান্ডা নেশালু হাওয়া,

আর সবকিছুর মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা একা আমি-

সম্পূর্ণতা।

আর ফিরে কোথাও যাবার নেই আমার

ওই পেছনের দরজাটা যেন এখন ইতিহাস।

দুচোখ বন্ধ করতেই শিহরিত হলাম

গত হাজার জন্ম ধরে আমি এসে দাঁড়িয়েছি এমনিই এক একটি ভোরে।

আর প্রশ্ন করে চলেছি-আমি কি করে শোধ করব এই সম্পূর্ণতার ঋণ?


ধীরে অথচ অতি সহজতায় উন্মোচিত হচ্ছিল চরাচর।

চোখ কচলে উঠে বসেছিল চারিপাশের পৃথিবী,

আর আমি একটু একটু করে নিতান্ত অনিচ্ছায় ফিরে আসছিলাম ওই পিছনের দরজাটার দিকে

মনে হচ্ছিল-কেন? কেন চলে গেল এত তাড়াতাড়ি এই আবেশ?

একটু একটু করে ধীরে অথচ অনিবার্য ভাবে শুরু হচ্ছিল সকাল, এবারেই তো বন্ধন।


যেন আমাকেই মুক্তি দিতে,ঠিক তখনই

পিছনের ওই দরজার ভেতর থেকে বেজে উঠলো সুর

খান সাহেবের শান্ত-সমাহিত সরোদ কথা কয়ে উঠলো আহির ভৈরবের সুরে

সেই মুহুর্তে একাকার হয়ে গেল আমার ভেতর-বাহির

ভুল হয়ে গেল সবকিছু, কোনটা বাঁধন-কোনটা ছুটি,

দরজার বাইরের মুক্তি কি করে যেন আমায় প্রবল আকর্ষণে ফিরিয়ে নিয়ে এল দরজার ভিতরে

এইজন্মের আমি ক্রমশঃ মিশে যেতে লাগলাম আরো হাজার জন্মের আমির সঙ্গে আহির ভৈরবের সুরে।

আমার সারা সকাল জুড়ে সেদিন ছিল আমার মুক্তি, আমার.......'আহির ভৈরব'।

ইচ্ছেনদী

আমার ল্যাব টা মাউন্ট sinai এর ১০ তলায়, আর আমার ওয়ার্কিং ডেস্কটা একদম জানালার ধারে , বিশাল জানালা। মনে হয় মেঘ গুলো এখুনি ঢুকে পড়বে এর মধ্যে। ...