Friday, 28 February 2025

ইচ্ছেনদী

আমার ল্যাব টা মাউন্ট sinai এর ১০ তলায়, আর আমার ওয়ার্কিং ডেস্কটা একদম জানালার ধারে , বিশাল জানালা। মনে হয় মেঘ গুলো এখুনি ঢুকে পড়বে এর মধ্যে। আজ সকাল থেকেই ছিল মেঘলা, আকাশের মুখ ভার। সারাদিনে কাজ করতে করতে একটু একটু করে দেখছিলাম কিভাবে ধীরে ধীরে মেঘ কেটে গিয়ে ফরসা হয়ে গেলো, এখন বিকেল ৫টা, পশ্চিম আকাশে একটা ফিকে লাল রং জানান দিচ্ছে দিনমনির অস্তাচলের কথা। সেইদিকে তাকিয়ে ছিলাম , হটাৎ খেয়াল হলো তাকিয়ে আছি প্রায় ১০ মিনিট। জানিনা কি ভাবছিলাম। কিন্তু যেন কোথায় একটা হারিয়ে গেছিলাম। আমরা কি চাই জানিনা। ওই যে সেই দুটো লাইন মনে পরে, যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই, যাহা পাই তাহা চাইনা। এই চাওয়া পাওয়া এর মধ্যে দিয়ে কখন কিভাবে সময় পেরিয়ে যায়। আমরা একটু একটু করে পরিণত হতে থাকি, বুঝতে থাকি নিজেকে, অন্যকে। মনে হয় আবার যদি জীবন কে সাজিয়ে নেওয়া যেত , কিন্তু হয়না তা। নিজেদের ভালোলাগা ভালোবাসা গুলোকে বুঝতে যে সময় লেগে যায় অনেকটা। এখানে লোকেদের মাঝেমাঝে বেশ লাগে তাই, জীবন যে একটাই বেশ বোঝে এরা তা। আমাদের মতন অনেক সেন্টিমেন্ট নিয়ে বেশি পরে থাকেনা। যেকোনো মুহূর্তেই জীবনকে অন্যভাবে গুছিয়ে নিতে ভয় পায়না। আমরা পাই, অনেকদিন বন্দী থাকা পাখি কে ছেড়ে দিলেও যেমন সে উড়তে পারেনা, শুধু এক জায়গায় বসে ডানাই ঝাপটে যায়, আমরা সেইরকম করি। 

আমি প্রচন্ড কাজের চাপ , গ্র্যান্ট , পেপার এই সব ভুলে শুধু তাকিয়ে রইলাম, বয়ঃসন্ধির সেই দিন গুলোর দিকে, যখন নিজেকে নিজে দেখে এমনি ই মুগ্ধ হয়ে যেতাম, এমনি এমনি  লজ্জা পেয়ে যেতাম। যখন গরম কালে, ছাদের অপরাজিতার ঝোপের মধ্যে বসে লুকিয়ে ডায়েরি লিখতাম। বাবা এসে ডাক দিতো মান্তু কোথায় রে। কি তারাতারি সময় ফুরিয়ে গেলো। সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। আর কাউকে চাইনা হারাতে আমি। যতদিন আমরা আছি ইচ্ছে করে এদেশ এর মানুষ গুলোর মতন জোর গলায় নিজের ভালোবাসা ভালো লাগা গুলোর সঙ্গে আপোষ না করে বাঁচি। খুব ইচ্ছে করে বলি কাউকে তোমার যদি মাদল এর দেশে যেতে ইচ্ছে করে, যাও সেখানে, ওই অচেনা মানুষদের কাছে অতিথি হয়ে থাকো একদিন। ওদের মধ্যে কোনো বাড়ির ছোট ছেলেটা তোমার গা ঘেঁষে এসে বসুক অবাক চোখে তোমার ক্যামেরার দিকে দেখুক , ভয় ভয় এ তার কালি মাখা কাদা মাখা হাত তোমার দামি জামায় দিক, তোমার লজ্জা হোক কিছুটা সময়ের জন্যে নিজের দামি জামা, জুতো, ঘড়ি কে তোমার বাহুল্য মনে হোক, সেই নামনা জানা অচেনা কাদা মাখা ছোট ছেলেটাকে তুমি বুকে জড়িয়ে ধরতে দ্বিধা করোনা। আর ধরে তোমার মনে হোক তুমি কি সুখী। ওই নিষ্পাপ শিশু টা আর তোমার মধ্যের বাধা সরিয়ে তুমি ওর ভালোবাসা টা পেয়েছো। ফিরে আসার সময় নিয়ে এসো , একটা পলাশ, ক্ষনিকের জন্যে তখন যদি মনে হয় কারোর কথা, মনে কোরো। যদি হতে ইচ্ছে করে হয়ো অকপট। নদীতে যদি ঝাঁপিয়ে পরে চান করতে ইচ্ছে করে, কোরো। এক মুঠো ছাতিম ফুল ..... রেখো তুলে কারোর জন্যে, তোমার একদিনের মাটির ঘরে। 


নিউ ইয়র্ক 
সময়: বিকেল ৫.১৭

Saturday, 28 December 2024

When everyday I find a better me

 একটা যুদ্ধ চলছে আমার জীবনে, এর আগে কখনো এই যুদ্ধের সামনে পড়িনি তাই এটা নতুন। কিন্তু এ পৃথিবীতে, এ জীবনে অনেক কিছুই তো প্রথম, অনেক কিছুই নতুন, অনেক কিছুই আগে কখনো হয়নি। এও তেমন ই।  অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই এটা। চলছে। করছি। দেখি কোথায় ডেসটিনি নিয়ে যায়। নিজের যা কিছু ভুল নিজের যে জায়গাগুলো improve করার নিজে সেগুলো করে যাবো, বাকি যা হবে দেখা যাবে। জীবন টা একটাই, অনেক সিদ্ধান্ত ভুল নিয়েছি, অনেক সিদ্ধান্ত ঠিক, মানুষ যত mature হয়, তত নিজেকে refine করতে থাকে। নিজের জীবন টা কাউকে দেখানোর জন্যে নয় কিন্তু নিজের জন্যে refine করে রাখা বড্ডো দরকার। কারণ জীবন একটাই। কেউ এসে হাত ধরবে, কেউ হাত ধরবেনা। তুমি ধরতে চাইলেও সে হয়তো অন্য কারোর হাত কে prioirity দেবে। আবার তোমার হাত যে ধরতে চাইবে, তুমি হয়তো অন্য হাত খুঁজে বেড়াচ্ছ। জীবন এমন ই অদ্ভুত। এসবের মধ্যে চলে আমাদের বেঁচে থাকার লড়াই, গ্রাসাচ্ছদনের জন্যে, মাথা গোঁজার জন্যে। আমাদের ওপরে নির্ভর করে যে ছোট্ট মানুষ গুলো পা ফেলছে এই বৃহত্তর জায়গায় তাদের জন্যে। তবে একটা জিনিস এই দেশে আমার খুব ভালো লাগে। এখানে আমাদের দেশের  একটা সরকারি চাকরি মানুষকে তার সব craetivity থেকে দূরে নিয়ে চলে যায়না। এখানে চা খেতে গিয়ে এক ঘন্টা কাটিয়ে আসেনা কেউ কাজের মধ্যে। এখানে প্রতিদিনের জীবন যাত্রার মধ্যে একটা চ্যালেঞ্জ আছে। নিজেকে প্রমান করার চ্যালেঞ্জ, ভালো আরো ভালোর চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ অনেক সময় ই হয়তো সেই চ্যালেঞ্জ tiring এবং সব সময় ই যে এটা খুব honestly হয় তা নয়, এর মধ্যে অনেক রকম ডিসক্রিমিনেশন আর পলিটিক্স কাজ করে, যা ভীষণ insecured আর frustrated করে দেয় আমাকে।ভয় করে, মন খারাপ হয়, ভালো লাগেনা কিছু। তবু উঠে দাঁড়াই। নিজের যদি কিছু improvization এর দরকার থাকে তা করি আর এগিয়ে যাই। বাকি যা কিছু তা যেন ছেড়ে দিতে পারি ওই মহাকালের হাতে। লিখে অনেকটা হালকা লাগে , বেরোতে না পাড়া ইমোশনস গুলো, যুদ্ধ গুলো কোথাও বেরিয়ে এল মনে হয়, তাই এবার থেকে আবার এই জায়গাটাতে ফিরব। লিখবো আবার। আপাতত হাতে অনেক কাজ, যুদ্ধ ক্ষেত্রে একবার নেমে পড়লে আর ফেরার উপায় থাকেনা। তখন do or die . তাই জাস্ট দুটো মাস হাতে। দুটো বিশাল বড় প্রজেক্ট শেষ করতে হবে , এনালাইসিস, লেখা, পড়া , ইন্টারপ্রিটেশন, পেপার সাবমিট। নতুন চাকরি খোঁজা সব কিছু দিনের এই ৮ টা ঘণ্টার মধ্যে। বাকি ছোট্ট ছানা কে বড় করা। নিজের ঘর সেটাকেও তো ধুয়ে মুছে গুছিয়ে নিজেকেই রাখতে হবে। ওই ওপরে যে বসে আছে সে যেন সব দেখতে পায়। ....আর আমি সবাইকে নিয়ে সব কিছুকে নিয়ে একদিন যেন এই ব্লগ টা খুলে পরে দেখতে দেখতে ভাবতে পারি, পেরেছিলাম। i believe life starts at ৪০. :) 

Tuesday, 13 August 2024

আহির ভৈরব

 গত জন্মের মৃত্যু থেকে এই মুহুর্তে জেগে উঠছি যেন এইজন্মের ভোরে।

নিকষ অন্ধকার থেকে বিশ্বজগত যেমন জেগে উঠছে ভোরের মাতাল হাওয়ায়,

উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে আমার যত ক্লান্তি, যত ক্লেদাক্ত ইতিহাস

তিল তিল করে আলোময় হয়ে ওঠা এইজন্মের ভোরে সমস্ত নিয়ম ভেঙ্গে দিয়ে জেগে উঠেছে পাখিরাও।


আমিও সেই ভোরের নশ্বর সাক্ষী হয়ে এসে দাঁড়িয়েছি ঘরের বাইরে,

পেছনের যে দরজাটা দিয়ে বেরিয়ে এসেছি সেটিই যেন ছিল শেকল।

যেন বন্ধন মুক্তির আবেশ সারা শরীরে আমার,

অপূর্ব এক নেশার মত ঝিমধরা আবছায়ায় দাঁড়িয়ে মনে হলো -

এই বুঝি পূর্ণতা?

এতদিনে?

মনে হলো আমার চার পাশে আর কেউ নেই,

অদ্ভূত এক কুয়াশাছন্ন ভোর,

পূর্বদিককে জাগিয়ে তোলা লালিমা,

সবকিছুকে ওলট-পালট করে দেওয়া ঠান্ডা নেশালু হাওয়া,

আর সবকিছুর মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা একা আমি-

সম্পূর্ণতা।

আর ফিরে কোথাও যাবার নেই আমার

ওই পেছনের দরজাটা যেন এখন ইতিহাস।

দুচোখ বন্ধ করতেই শিহরিত হলাম

গত হাজার জন্ম ধরে আমি এসে দাঁড়িয়েছি এমনিই এক একটি ভোরে।

আর প্রশ্ন করে চলেছি-আমি কি করে শোধ করব এই সম্পূর্ণতার ঋণ?


ধীরে অথচ অতি সহজতায় উন্মোচিত হচ্ছিল চরাচর।

চোখ কচলে উঠে বসেছিল চারিপাশের পৃথিবী,

আর আমি একটু একটু করে নিতান্ত অনিচ্ছায় ফিরে আসছিলাম ওই পিছনের দরজাটার দিকে

মনে হচ্ছিল-কেন? কেন চলে গেল এত তাড়াতাড়ি এই আবেশ?

একটু একটু করে ধীরে অথচ অনিবার্য ভাবে শুরু হচ্ছিল সকাল, এবারেই তো বন্ধন।


যেন আমাকেই মুক্তি দিতে,ঠিক তখনই

পিছনের ওই দরজার ভেতর থেকে বেজে উঠলো সুর

খান সাহেবের শান্ত-সমাহিত সরোদ কথা কয়ে উঠলো আহির ভৈরবের সুরে

সেই মুহুর্তে একাকার হয়ে গেল আমার ভেতর-বাহির

ভুল হয়ে গেল সবকিছু, কোনটা বাঁধন-কোনটা ছুটি,

দরজার বাইরের মুক্তি কি করে যেন আমায় প্রবল আকর্ষণে ফিরিয়ে নিয়ে এল দরজার ভিতরে

এইজন্মের আমি ক্রমশঃ মিশে যেতে লাগলাম আরো হাজার জন্মের আমির সঙ্গে আহির ভৈরবের সুরে।

আমার সারা সকাল জুড়ে সেদিন ছিল আমার মুক্তি, আমার.......'আহির ভৈরব'।

Tuesday, 7 November 2023

Shiuli

 October. A time which flows in its own way. A time which creates moments, moments of emotions, smells of flower, petrichor of a virgin love. A time of pure bliss, a time for Siuli. if I close my eyes and utter October, that is the first name always come in my mind. A heavenly combination of White petals, orange stem, and Devine smell. It gives a pleasant, sacred, soothing sense to me. Like a soft old favorite cloth which is very general , nothing special but very specially it owe me. Like mother's lap, like embracing by the loved ones.

Sanskrit name of this flower is "Parijat", truly a flower of heaven. The parijata is a divine tree featured in Hindu mythology. The Mahabharata and the Puranas describe the parijata tree, as one of five trees, to have emerged during the legend of the Samudra ManthanaKrishna is described to have battled with Indra to uproot the parijata from his capital of Amaravati and plant it in his own city of DvarakaIn regional tradition, Satyabhama grew aggrieved when Krishna offered his chief consort Rukmini a parijata flower. To placate her envy, Krishna confronted Indra and had the parijata tree planted near Satyabhama's door. Despite having the tree planted near her dwelling, the flowers of the tree fell in the adjacent backyard of Rukmini, the favourite wife of Krishna, because of her superior devotion and humility.

The tree is the subject of a work named Parijatapaharanamu in Telugu literature, written by Nandi Thimmana, the court-poet of Krishnadevaraya. The poet Kalidasa sings about the flower in his Sanskrit poem Ritu samhara.

However in Latin name of this tree is "sad tree" because because the foliage becomes droopy as blooming flowers fall off during early morning.  I got surprised and sad as well when I first came to know this meaning. Why this beautiful flower's name is sorrow?and I love the tree of sorrow the most? I was becoming superstitious for a moment but then redirected my thoughts; sorrow and pain are the inevitable part of life, nobody can live only in joy but he/she has to face these negative emotions too, we cannot escape in any ways so what if without escaping we accept those pain as it comes, just let the time flows over it and wait to see the sunshine just like "shiuli" does. Through the nights it blooms, when we rest peacefully, cradled in the loving embrace of our dearest ones, they bloom and drop off the morning beautifully, silently, lovingly. I don't see sorrow here, I don't want to see too. it's nothing but beauty of time, probably signifies our life span, could be short but only we can make it worth living.

That's why Shiuli signifies time, the nature and the beauty which I have tried to showcase in this channel with my lens.

That's why Shiuli captured that uncapurbale bliss, unexplainable emotions. with its soft touch I get a sense of serenity. A sense of everything is in place, life is not that harsh. Everything could be beautiful just we need to find it.

This is shiuli, my Childhood emotions, teenage love and matured "prem", Parijat of Kalidas and a bond of without bondage. Let's have that sacred smell once and try to listen a whispering sounds while dropping off in the morning; "O please hold your tongue and let me love". 

Wednesday, 14 June 2023

 ভানুসিংহের পদাবলী শুধু তো আমার একার নয়, শুধু আমাদের ও নয়, তবু কেন এত অধিকার বোধ, কেন তা অন্য কেউ করলে মনে হয় আমার কিছু যেন কেড়ে নিলো কেউ, এ কি পাগলামি, এ কি দীনতা , এ কি হীন ভাব, কেন এ 

Sunday, 22 January 2023

 খুব মনখারাপ লাগছে। ভালো লাগছেনা কিছু। কি এই জীবনের মানে, কি হবে এই নিঃসঙ্গ বেঁচে থাকা নিয়ে, খুব ইচ্ছে করছে কারোর কাছে গিয়ে ইচ্ছের ঝাঁপি খুলে দি, চোখের জল এ ভিজিয়ে দি কারোর জামা, কিন্তু জানি, এই ইচ্ছের কোনো মানে নেই। আমি কারোর জন্যে থাকলেও, আমার জন্যে কেউ ই নেই। 

Thursday, 29 December 2022

অন্য আলো

 মানুষের জীবনের পূর্ণতা কোথায় জানিনা তা, কিভাবে কখন কার হাত ধরে আসে, তাও না, শুধু এটুকু বুঝেছি জীবনের গতি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনা। তা আপনার লক্ষ্যে আপনি মাধুর্য্যে চলে। তুমি বলো, আমি তোমাকে ভরিয়ে দিয়েছিলাম, তোমার একসময়ের শূন্য আকাশ পূর্ণ করেছিলাম, কিন্তু আজ আমার খুব বলতে ইচ্ছে করে, ভরিয়ে দিয়েছো তুমি আমায়। পূর্ণ করেছো। কোনো বিচ্ছিন্ন এক দিন রাতের কথা এ নয়, এ আমার অনেক দিনের, অনেক রাতের মনের কথা। 

আমি স্বভাব অন্তর্মুখী। মনের কোনো কথা, কোনো ইচ্ছে, তা নিজের কাছেও উচ্চারণ করতে পারিনা, একরাশ লজ্জা এসে এখনো এই ৩৫ পেরোনো মনকে কিশোরী রঙেই রাঙিয়ে তোলে। ভুল কি ঠিক এ দোলাচল চিরন্তন কিন্তু তার থেকেও বড় বুঝি হৃদয়বৃত্তি। তার মধ্যে কোনো ভান চলেনা।  তাই আজ খুব বলতে ইচ্ছে করে, এভাবে আলোকিত হোক আমাদের চারিপাশ। আমাদের একসাথে ভাগ করে নেওয়া প্রথম অন্য আলোর ভোর  শান্ত পদক্ষেপে একদিন চোখ মেলে তাকিয়েছিলো, বলেছিলো অপেক্ষা কোরো , আমার মনখারাপের রাত গুলোতে, সেই শান্ত ভোরের আনন্দ অপেক্ষাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিয়ে আমি ঘুমিয়েছি। আর এক নতুন ভোরের আশায়। 

যদি দেবতার আসন সাজাতে আমাদের অন্য দিকে তাকিয়ে অন্য কুলুঙ্গী থেকে প্রদীপ ধার করে আনতে হয় সে আমাদের ই দৈন্যতা মাত্র যে, না তাতে দেবতার অপমান, না প্রদীপের। আলোর তো নয়ই।
এই যে আকাশ ভরা আলো তোমারই জন্য রইলো অপেক্ষায়। যদি পারো চিনে নাও।
কেবল ভালবাসতে বলেছিল বলে ভগবান যীশুকেও ব্রাত্য হতে হয়েছিলো সেদিন। তবু সেইই চিরন্তনের সুরটি গেয়েছিল বলে, আজ তাকেই ভালবাসতে দিনে রাতে এত আয়োজন! 
আমি সাধারণ, ভগবান নই , মানবী, মানব জীবনের সাধারণ ছোটোখাটো সুখ দুঃখ, চাওয়া, পাওয়া, নিয়ে আমার পথ চলা, ঘর ভাঙা নয়, বেঁধে রাখতেই যার বিশ্বাস। আমাকে ব্রাত্য কোরোনা , আমার মনকেমনের প্রাঙ্গনে, মনখারাপি ছেলেমানুষির অভিমানে সঙ্গে নিয়ো, আর আলোময় অবিনশ্বরে বিলীন হোক যাবতীয় নশ্বর!
আলো হয়ে ওঠো তুমি আমারও। আলোর মতন করে ঘিরে থেকো, আলোর মতন নরম আদোরে ঘিরে রাখতেও দিও আমায়।

Monday, 12 December 2022

মিতা

 "িমতাtমিস মম জীবনংtমিস মম ভূষণং,

tমিস মম ভবজলিধরtm।” মেয়েটি বললো, এ তোমার নিজের মুখের কথাতো নয়,  লাবণ্যের কথা ধার করলে তো, ছেলেটি বললো, যুগে যুগে বাণী হারা মুহূর্ত কে বাণী মুখরিত করতে নিবারণ মুখুজ্যেএই কে যে স্মরণ করে এসেছে মানুষ।কিন্তু এ কথাও তোমার লাবণ্যের নিজের তো নয়, কবিবর ও যে একথা ধার করেই লিখেছিলেন মহাগ্রন্থ থেকে, তবে শুধু আমাকেই দোষ কেন,  তারপরে সন্ধ্যে নেমে এলো, আকাশে তখন একফালি চাঁদ, সামনে পবিত্র গঙ্গা আর গোধূলির ইমন উঠলো বেজে। হৃদয় যখন অগণিত কথায় মুখর হয়ে পরে , মুহূর্ত তখন স্তব্ধ হয়ে যায়।  

অকথিত কথার একটা অদ্ভুত সুগন্ধ আছে, চন্দন এর মতন, সদ্য ফোটা সন্ধ্যের জুঁই বা সকালে শিউলির মতন, অনেক দিন বৃষ্টি না হওয়া মাটিতে হটাৎ আসা বৃষ্টির সোঁদা গন্ধের মতন আদিম, অকৃত্রিম, অকর্ষিত। নিস্তব্ধ ভোরের নিজস্ব কিছু শব্দ থাকে, টুপটাপ শিশির ঝরে পরে, কুয়াশা সরিয়ে আসতে আসতে স্পষ্ট হয়ে আসে, সকালের আলো , এক নতুন দিনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে শুরু হয় নতুন দিন। অজস্র, দ্বিধা, দ্বন্ধ মন কে বারবার তোলপাড় করে তুলে, হটাৎ এ কেমন ভোর এর আলোর মতন স্নিগ্ধ , নিস্তব্ধ হয়ে দুই মনকে বেঁধে দিলো, মেয়েটি বললো, কেন বাঁধ ভাঙলো, সব রহস্য শেষে বন্ধন যদি হারিয়ে যায়, ছেলেটি বললো এ রহস্য হারায় না, চিরন্তন বাঁধনে বেঁধে রাখার অজুহাত এ, যাতে পালাতে না পারো, মেয়েটি বললো, এ কথাটাও, এ কথাটাও, কোথায় যেন, 

ছেলেটি হাসলো, ধার করা, এ কথাও ধার করা ওই নিবারণ চক্রবর্তীর ই কাছে। বেঁধে রাখার মূলমন্ত্র ও যে ওখানেই বাঁধা। আর আমাদের প্রতিটা দিন , প্রতিটা মুহূর্ত ই ধার করা, সেই মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে।  কিছু কিছু স্মৃতি খুব সুন্দর হয়, কিছু কিছু দিন ইতিহাস রচনা করে আর কিছু কিছু দিন বোঝায় আমাদের destiny কে অগ্রাহ্য করার সাধ্য নেই আমাদের। জীবনের স্রোতকে অগ্রাহ্য করার সাধ্য আমাদের কারোর নেই, তাকে কর্তব্যের আড়ালে ভুলিয়ে রাখতে পারি, কিন্তু অবহেলা করলে নিজেদের খাতাতেই মহাকালের হাত দিয়ে লেখা হয়ে যায় মস্ত এক শূন্য। 

ভোরের ওই শব্দ, কুয়াশাচ্ছন্ন পথের দিশা, গোধূলির সুর আর নদীর ছলাৎ ছলাৎ যে কোনো দুই হৃদয়ের সব অকথিত ভাষায় প্রাণ দেবে, এ জানা ছিলোনা কারোর ই। নদীর স্রোতের মতন ই বয়ে চলে এ সময়, কখন দ্বাদশীর বাঁকা চাঁদ এর মৃদু জ্যোৎস্নার স্নিগ্ধতা নিয়ে আসে অপার্থিব শান্তি। আর অজস্র, দ্বিধা, দ্বন্ধ মন কে বারবার তোলপাড় করে তুলে, হটাৎ এ কেমন ভোর এর আলোর মতন স্নিগ্ধ , নিস্তব্ধ হয়ে দুই মনকে বেঁধে দেয় , মুহূর্তের অপেক্ষায় তৈরি হয় মুহূর্তরা। বন্ধনহীন ছন্দ পতনে, যখন পড়িল বাঁধা এক ই সর্গে, রচিলো একত্র স্বর্গ যতনে। 

https://youtu.be/i0JCJfQpGB4




 

Friday, 29 July 2022

বর্ষা আসুক অন্যরকম।

শ্রীজাত গুপ্তা 

অন্য বর্ষা 

তোমার হাতে হাত ছোঁয়ালে 
বৃষ্টি তুমুল 
নখের নিচে 
রাপুঞ্জেলের ভুল শহরে 
দুই বিনুনি 
কম পড়েছে 
তোমার ঠোঁটে 
চোখ ভাসালে 
মেঘের কোলে 
আত্মগোপন 
ইচ্ছে খুব ই এসব লিখি 
প্রেম জানাবো নতুন করে 
রঙ্গীন জলে 
শুখনো পাতা ঝড় নামবে 
অবাধ্য মন 
সেরুলিয়ান 
নীল পোশাকে , আকাশ জুড়ে 
রাজপুত্তর , নাম খুঁজেছি অভিসারের 
শীতল নদী 
পাঠ শিখেছি, 
অস্থিরতায় 
ভুল বুঝেছি 
নিত্যনতুন 
কৃষ্ণচূড়ার নাম রেখেছি 
শুদ্ধ রেখার 
তোমার হাতে 
মুখ লুকিয়ে 
ইচ্ছে ভীষণ 
তোমার কোলে মুখটি ঢাকি 
চুলে তোমার হাতটি থাকুক 
ইচ্ছে ভীষণ 
অলক্ষ্যে ফের 
বর্ষা আসুক 
অন্যরকম।












Friday, 1 April 2022

 আমাদের সবার একটা গল্প আছে। সেই ছোটবেলা থেকে, যখন আমরা এক ঠাকুরমার ঝুলির রূপকথাদের মধ্যে গুঁজে গুঁজে নিজেদের জায়গা করে নি, অথবা বড় হয়ে উঠে বুদ্ধদেব গুহর বাবলি হয়ে ওঠার আকাঙ্খা করি বা শীর্ষেন্দুর পার্থিব এর সেই চার বন্ধুদের মতো বন্ধু খুঁজি। কিছু দেখে , কিছু পরে, কিছু বুঝে উঠতে উঠতে বেড়ে উঠি, আর তারপরে বড় হয়ে উঠি। দায়িত্ব আসে, কর্তব্য আসে, কিন্তু আমাদের সবার মধ্যে নিজেদের সেই দায়িত্ব বোধ আসেনা, কর্তব্য বোধ আসেনা, আবার কখনো বা ঠিক উল্টোটা দেখা যায়, এই দায়িত্ব বা কর্তব্য কাউকে কাউকে একেবারে নিষ্পেষিত করে দেয় , জীবনের রং তখন শুধুই ১০ টা পাঁচটার চাকায় ঘুরতে থাকে। পূর্ণিমার চাঁদকে ঝলসানো রুটি, শুধু সুকান্তের কেন, বহুবার আমাদের অনেকের মনে হয়। গাছের সবুজ পাতার দিকে তাকানো কেও বিলাসিতা বলে হয়, আর অন্য কেউ যদি সেই চাঁদ পাতার মধ্যে থাকে, তখন মনে হয় ইসঃ ওর জীবনে তো কোনো চিন্তাই নেই, হতো আমার মতো জীবন বুঝতো তখন। আর এখনকার এই ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম এর যুগে, এ চিন্তা অনেকের ই হয়, মুখ ঘুরিয়ে থাকি, ভাবি দেখবোনা দেখবোনা, যতক্ষণ না আমার কাছেও একটা এইরকম ঝকঝকে অমিকে তুলে ধারার মতন কিছু থাকছে, কিছুতেই ততদিন আমি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকি, আবার সে অদম্য টান কেও একেবারে উপেক্ষা করা যায়না। আমাদের বয়সের যারা তারা নিজেদেরকে একটু ভাগ্যবান বলতেই পারে, কারণ আমাদের কাছে সোশ্যাল মিডিয়ার দরজা খুলে যাবার আগে, বই এর পাতায় মুখ গোঁজার মতন কিছু দিন ছিল, স্কুল থেকে এসে দৌড়ে দৌড়ে বই পড়ার নেশা ছিল, আর ও একটু দুপুর বেলায় মা ঘুমোলে চুপিচুপি নিষিদ্ধ বই এর খোঁজে চুপিসারে আলমারির কাঁচ সরানো ছিল, পড়ার বই এর তলায় গল্পের বই রেখে পড়ার টানটান উত্তেজনা ছিল, আমার লাভ লেটার ও পেয়েছিলাম আমি পাড়ার লাইব্রেরি তে বুদ্ধদেব গুহর বাবলির মধ্যেই। ধরা পরে মা এর হাতে প্রচণ্ড উত্তম মাধ্যম ও হয়েছিল। প্রথম পাওয়া গোলাপ ফুল তাও ঠাঁই পেয়েছিলো গীতাঞ্জলির মধ্যে। বলতে না পারা পাঁপড়ি গুলো শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে গেলেও, গীতাঞ্জলি খুললেই সব স্মৃতি আবার জীবন্ত। যাকগে যে কথা বলছিলাম, আমি খুব ভাগ্যবান, যে, ঠিক সময়ে ঠিক জীবন বোধের ঠিক রসদ টা আমার হাতে তুলে দিয়েছে আমার চারপাশের মানুষগুলো, মা , বাবা, বাবুমামা,সেই লাইব্রেরিয়ান কাকু।.আর তারপরে কিছু বই আমি নিজে বেছে নিয়েছিলাম, ওই বড় সময়গুলোতে, যেগুলো

কিছু কিছু বই আমাদের চলার পথে অনেক সময় ই আমাদেরকে স্থির রাখে, সুখে, দুঃখে, বিভিন্ন পরিস্থিতির মধ্যে ব্যালান্সড রাখে। আমার কাছে সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের শিউলি হলো এমন ই এক বই। গল্প পাঠে তিস্তা। আমি বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞ সেই মানুষটির প্রতি যিনি কিছু কিছু করে এই বই এর কিছু কিছু পাতার ছবি তুলে আমাকে পাঠান , তার জন্যেই আবারো এই বইটি আমি পড়তে ও পড়ে শোনাতে পারছি। 






ইচ্ছেনদী

আমার ল্যাব টা মাউন্ট sinai এর ১০ তলায়, আর আমার ওয়ার্কিং ডেস্কটা একদম জানালার ধারে , বিশাল জানালা। মনে হয় মেঘ গুলো এখুনি ঢুকে পড়বে এর মধ্যে। ...