Wednesday, 31 October 2018

ফিরে দেখা

জীবন মাঝেমাঝে অদ্ভুত কিছু মোড় নেয়। তারপর আমরা চলার নিয়মে সেই মোড় ধরেই চলতে শুরু করি। আর তারপরে অনেকটা চলে আসার পরে যদি পিছন ফিরে তাকাই আর দেখি কেমন ছিল সেই পথ টা , তখন কখনো ঘিরে ধরে বিষন্নতা, কখনো হয় রাগ, কখনো কষ্ট আবার কখনো কখনো অদ্ভুত একটা ভালোলাগা ঘিরে ধরে। বুঝতে পারি ওই মুহূর্তের তাৎপর্য্য। যা সেইসময় দিয়েছিলো শুধুই অবাক অভিজ্ঞতা। তাই আবার সেই পথ ফেলে আসার পরে তুলে ধরে সেই সময়ের সুন্দরতা। প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততায় রোজনামচা হয়ে ওঠা অনেক কিছুই হটাৎ করে ফিরে পায় তার স্বমর্যাদা, ভীষণ ভাবে আবার চাই সেই সমস্ত কিছুকে মনে করতে যা আমাদের ফেলে আসা বন্ধুর পথে হাত ধরেছে, একসাথে হেঁটে আসা পথটাকে দেখি তাকিয়ে, হয়তো অজান্তে আঁকড়ে ধরতে চাই আলগা হয়ে যাওয়া হাতের আঙ্গুল। সম্পর্কের বুনিয়াদি কে আর একবার দেখে নি যত্ন করে , মজবুত আছে কিনা। আর এই ফিরে দেখতে গিয়ে অনেক সময় ই নতুন করে খুঁজে পাই অনেক কিছু, অনেক মুহূর্ত যা তার নিজ নিজ তাৎপর্য্য আর বোধ নিয়ে আমাদের সামনে এসে দাঁড়িয়ে মুচকি হাসে। "ফিরে দেখা " তাই বোধয় কখনো কখনো খুব দরকার। 

আজকের দিনটা শুরু হয়েছিল ঠিক এমন ই কিছু শিরশিরানি অনুভূতি দিয়ে। বছরের প্রতিটা মুহূর্তের , প্রতিটা সময়ের আলাদা কিছু অনুভব আছে, আলাদা গন্ধ, আলাদা বর্ণ , আলাদা আলাদা, distinct feel . এবারে ঠান্ডাটা বোধয় একটু আগেই পড়েছে, একটু বেশি ই আর কিছু আগেই হয়তো বা। আর তাই নভেম্বর এর শুরুতেই কেমন ডিসেম্বর এর বোধ এনে দিয়েছিলো। সময়ের আগু পিছুতে হটাৎ উপুড় হয়ে গেছিলো স্মৃতির ঝাঁপি। এক একটা শব্দ , এক একটা ভালোলাগা, কিছু ভালোবাসার অকপট প্রকাশ হটাৎ করে চোখ ভরিয়ে দিলো, দুচোখ ছাপিয়ে গাল  ভিজিয়ে দিতে থাকলো বারবার। চোখের জলকে আমি আটকাইনা , কিন্তু তবুও কি যে হয়েছে ছাই , সেই গত কাল সন্ধে থেকে এ যেন বন্ধই হতে চাইছেনা। বেয়েই চলেছে। উফ কি যে করি একে নিয়ে, থামাতেই পারছিনা যে। 

যদিও গত কাল সন্ধের সেই জলের মধ্যে ছিল যেন এক অদ্ভুত অন্যরকম কষ্ট। আর আজকের এই জলের মধ্যে সেই কষ্টের বোধ নেই, কি যে ঠিক আছে তাও ঠিক তেমন যে জানি তা নয়, তবে কষ্ট নয়, কেমন যেন এক শান্ত স্তব্ধ শান্তির বোধ। যা চোখে জলের সাথে সাথে ঠোঁটের কোণে টেনে দেয় হাসির রেখা। সেই যে ঠান্ডার মধ্যে বাবা এসে গায়ে যখন চাদর জড়িয়ে দিতো, সেইরকম গরম উষ্ণ একটা ভালোলাগা আমার সারাদিন টাকে কেমন এক উষ্ণ নিশ্চিন্ততা দিয়ে জড়িয়ে রাখলো যেন। কেন জানো ? ওই যে, ফেলে আসা পথ টার দিকে যখন তাকালাম তখন দেখলাম সেই পথে খানা খন্দ , চড়াই উৎরাই হয়তো ছিল অনেক, কিন্তু সেসব আমরা খুব সুন্দর করে পেরিয়ে এসেছি, আর গোটা পথটা যেন শুধু ওই বেলি, গন্ধরাজ, মাধবীলতার গন্ধে ভোরে আছে। অপরাজিতা , শিউলি আর কাশ ফুলে ফুলে সে পথ ভোরে আছে, আছে চাঁদনী রাতের স্নিগ্ধতা, আছে নতুন ভোরের আহ্বান, আছে পলাশের হাতছানি, গোধূলির রক্তিম মায়া। আর এই সবকিছুর মায়া যেন কেমন অদ্ভুত এক টান তৈরি করছে। ভীষণ এক বিশ্বাস। ভালোলাগা, যা থেকে অমলিন ভালোবাসার সৃষ্টি হয়। বুঝলাম ওই যে ওপরে যিনি বসে আছেন, তিনি হয়তো ঠিক তাই চান, শেষ হবার হলে হটাৎ শুরুর মতো আবার হটাৎ শেষ ও হয়তো হয়ে যেতেই পারতো , অমলিন হবার হলেও হয়তো লাগতেই পারতো তাৎক্ষণিক glitter এর আড়ালে অমলিনতার দাগ। কিন্তু হয়নি। শেষ ও হয়নি। অমলিন ও হয়নি। বরং ওই যে, আরো বেশি সুবাসিত হয়েছে। পেয়েছে সকালের পবিত্রতা। জীবনের বিশ্বাস। বাঁচার আনন্দ। 

এই প্রথম জানিনা কেন ভীষণ এক টান অনুভব করছি। ভীষণ টান। অদ্ভুত ভালোলাগা। আলোর মতো আনন্দ। নিজের প্রতি বিশ্বাস। অন্যের প্রতি বিশ্বাস। বেঁচে থাকার প্রতিটা দিনের আনন্দ। প্রতিটা মুহূর্তের উজ্জ্বলতা। 
মনে পড়ছে 'fireflies', যা ঠিক ওই জোনাকির মতোই যেন নিভে জ্বলে আমাদের আলোকিত করছে, অন্ধকারে পথ দেখাচ্ছে। শান্তিনিকেতন কি শুরু থেকেই একদম অগোচরে, অজান্তে শান্তির নিকেতন তৈরি করে রেখেছে? বারবার নাহলে কেন ওই বুড়ো লোকটা তার সমস্ত ছন্দ, বর্ণ নিয়ে সেতু বন্ধনের কাজ করে গেছে ? হটাৎ সেই সকালে নাহলে কেন খুঁজে পেয়েছিলাম
"আজ নিখিলের আনন্দধারায় ধুইয়ে দাও,
মনের কোণের সব দীনতা মলিনতা ধুইয়ে দাও ।"

ওই বুড়ো লোকটা কি তার ছন্দে ছন্দে সত্যি সত্যি দেবদারু তলা সাজিয়ে রাখছে? কিজানি। হয়তো বা। যার কাজ সে করুক, আমরা কিছু ভাববোনা। 😊 আমরা বরং হাঁটতে থাকি, চলার আনন্দে। অনেক কাজ বাকি, অনেক কিছু জানার, অনেক কিছু বোঝার, অনেক কিছু শেখার বাকি। অনেকটা পথ বাকি, ক্লান্ত হলেও চলবেনা, থেমে গেলেও চলবেনা। পথের শেষে হয়তো কেউ ঝালমুড়ি বানিয়ে, বাদাম ভাজা নিয়ে অপেক্ষা করবে, দেখাই যাকনা, এই পথ সেই দেবদারুতলায় গিয়ে লাল কাঁকরের পথে মেশে কিনা। 😊 ততক্ষন চলো সৃষ্টির আনন্দে স্রষ্টার প্রতিটা মুহূর্ত ভরিয়ে দিয়ে নিজেদের করি সমৃদ্ধ, আর সেই আনন্দে আমাদের 'আমি' রা যেন চারিদিক মঙ্গলময় করে তুলতে পারে। 

আর একটু পরেই গোধূলি নামবে, দিনের শেষে দিন শুরুর সেই এক ই কথা বারবার করে বলতে ইচ্ছে করছে
"আমার পরান-বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান—
তার নাইকো বাণী, নাইকো ছন্দ, নাইকো তান ।
তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁইয়ে দাও ।
বিশ্বহৃদয়-হতে-ধাওয়া প্রাণে-পাগল গানের হাওয়া,
সেই হাওয়াতে হৃদয় আমার নুইয়ে দাও ॥
আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও ।
আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা
ধুইয়ে দাও ॥"


Monday, 15 October 2018

পঞ্চমী তিথি

পঞ্চমীর সন্ধে পেরিয়ে এখন রাত। ঢাকের শব্দ, রাস্তায় লোক জনের ঢল আর আলোর রোশনাই এখান থেকে চোখে পড়ছেনা। একটু ফাঁকা লাগছিলো তাই আজ বিকেল থেকে। ইচ্ছে করছিলো, বাড়ির ambience টা পেতে। অনেক লোকজন, আত্মীয় স্বজন, হৈ হৈ, এটা ওটা খাওয়া, রান্না, আলতা সিঁদুর শাঁখা শাড়ি। দুপুর বেলা আধশোয়া হয়ে জানলা দিয়ে এসে পড়া ওই বাঁকা রোদটাতে শুয়ে শুয়ে আনন্দমেলার পাতা ওল্টানো। বিকেল বেলা বাড়িতে বসে ভাই বোনদের জমজমাটি আসর। ছোটথেকে একটু একা একা বড় হওয়ার জন্যে ওই জমজমাটি আসর আর আত্মীয় স্বজন দের ভিড় আমার খুব ভালো লাগে। বিয়ের পরে তাই আমার বন্ধুবর টির বড় ফ্যামিলি কে এককথায় আষ্টে পৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরতে বেশি সময় তো নয় ই কোনো সময় ই লাগেনি আমার। কিন্তু ওই যে হয় কি, যে সহজেই পেয়ে আসে অনেক কিছু তার তাতে অনীহা আসে আর যে পায়না তার থাকে পাওয়ার পিপাসা। তাই সবথেকে ভালো হয় যদি কেউ কিছু না পাওয়া থেকে হটাৎ কিছু পায়। সঠিক মূল্যায়ন হয় হয়তো তাতে। 
সে যাই হোক, কি কথা থেকে কি কথা এসে যাচ্ছে। আসল ব্যাপারটা হলো আজ পুজোর দিন। ছোটবেলার পুজোর ছুটি নেই, নতুন জামার গন্ধ নেই, নতুন পড়ার অপেক্ষা নেই। আনন্দমেলা শুকতারার কাড়াকাড়ি নেই। বাবা কে প্রণাম করা নেই। তবুও আজ পঞ্চমীর রাত। বাতাসের শিরশিরানি শীত শীত ভাব, নীল আকাশ আর ঝকঝকে রোদ্দুর বলে দিচ্ছে পুজো এসেছে। 

'নেই'তো আমাদের জীবনে কতই থাকে,তবু আছেও তো কত কিছু। সেই থাকার মধ্যে দিয়ে বারবার মনে পড়ছে গত কাল সেই সন্ধের সময় কালীবাড়ি গেছিলামনা? সেখানে দেখা গাঢ় নীল অপরাজিতা আর গোলাপি পদ্মের একশো আটটা মালা দিয়ে সাজানো মা এর কথা। কালকে সব ঠাকুরের ছিল হলুদ এর সাজ। চওড়া লাল পাড় হলুদ তাঁতের শাড়ি আর গলায় গাঢ় নীল অপরাজিতা আর একশো আট গোলাপি পদ্মের মালা। সন্ধ্যারাতির সেই এক ই ঘোর। সন্ধ্যারতির একটানা শব্দ ছাড়া চারিদিক খোলা মন্দিরটা তে আর কোথাও কোনো শব্দ নেই। ধুপ, ধুনো কর্পূরের গন্ধ। প্রদীপের আলো। ধীরে ধীরে কেমন সব কিছু শান্ত স্থির হয়ে এলো। হটাৎ করে চোখে জল চলে এলো। 
আমাদের দৈনন্দিন চাওয়া পাওয়ার হিসেব নিকেশে আমরা এতটাই জর্জরিত থাকি যে অনেক সময় ই আমাদের চারপাশের ভালোলাগা গুলোকে খুঁজে পেতেই ভুলে যাই। হয়তো মিথ্যে ভার্চুয়াল দুনিয়ার মধ্যে নিজের সুখ খুঁজতে ছুটে যাই সোশ্যাল মিডিয়ার কাছে। হটাৎ করে অনেক কিছু প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষা করে থাকি অন্য কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটার আশায় অথবা আমাদের নিজেদের ই তৈরি কিছু অভ্যেস এর কাছে। কিন্তু ভুলে যাই, যে অভ্যেস একদিন হটাৎ তৈরি হয়ে গেছিলো, কিছু ভেবে নয়, কিছু আশা করে নয়, এমনি ই সহজাত আকুলতা আর সম্পর্কের মিষ্টতা থেকে আসা সেই অভ্যেস এর মধ্যে থাকে এক সহজাত spontaneous ভালোলাগা। ঠিক ওই চাঁপা বা শিউলির মতো, যেভাবেই ফুটুক যেখানেই ফুটুক সেই এক ই সুবাস, সেই এক ই মিষ্টতা আসবেই তার থেকে। এও যেন ঠিক তেমন।  সেই সুবাসিত প্রস্ফুটিত শিউলি বিছানো পথে আগামীর দিনগুলো ভোরে উঠুক শুধু  বাধ্যবাধকতার হাজার টানা পোড়েনে ওই শিউলি যেন নিষ্পেষিত না হয়ে যায়।
আমাদের চলার পথে গড়ে ওঠে কত শত ঘটনা, কত সম্পর্ক, কত জানা, কত চেনা, সময় এগিয়ে চলে, কারোর জন্যে থেমে থাকেনা। আমরা চাই বা না চাই আমরাও সেই সময়ের সাথে সাথে এগিয়ে চলি। দিন শেষে অস্তগামী বিদায়ী সূর্য্যকে সাক্ষী রেখে পরের দিনের উদয় এর আশা বুকে নিয়ে চাঁদের আলোয় দিগন্ত ভেসে যায়। আবার সেই চাঁদ ও ঢলে যায়, নতুন ভাবে নতুন দিনের শুরু হয়। আর এইভাবেই কেটে যায় মাসের পর মাস বছরের পর বছর। কাল যা ছিল আজ যে তা থাকবেই তাও সবসময় সত্যি হয়না। পরিবর্তনশীল জগৎ সংসারে কেউ কেউ অপরিবর্তনীয় ভাবে থেকে যায় অচঞ্চল আবার ঘটনার প্রবাহে কেউ নিজেকে ভাসিয়ে দেয় সেই স্রোতে। তবে যাই ঘটুক বা যাই ঘটতে চলুক ই  না কেন, আমি তো জানি এর পিছনে কারসাজি ওই একজন এর ই। সবার ওপরে বসে সে মুচকি মুচকি হাসে আর বলে, কেমন পারলিনা তো স্থির থাকতে? ভেসে চলে গেলি? ফিরিয়ে দিলি তাকে? যাকে পাঠালাম তোর হাত ধরতে? চিনতে পারলিনা? দেখি এবার কি করিস? অথবা বলে কিরে পারবিতো সবকিছুকে শক্ত হাতে সামলে রাখতে? ভুল করবিনাতো? ঠিক বুঝবিতো? এইরকম কত কথা তার, কত তার ইশারা, কত তার মায়া , কত স্নেহ। রাগ হলেও আমি তার সাথে ঝগড়া করি, অভিমান হলে মুখ ফিরিয়ে থাকি কষ্ট হলে কেন কেন করে অস্থির হয়ে যাই। আবার জানি, যা কিছু হয় বা যা কিছু যা কিছু হচ্ছে তা কোনো এক সুন্দরের, এক শুভ চিন্তায় হচ্ছে। এতো কিছু ভেবে আমরা কি করবো, আর ভাববই বা কেন। আমাদের তো শুধু আমাদের প্রতিটা দিনের প্রতিটা মুহূর্তের সমস্ত দায়িত্ব কর্তব্য সঠিক ভাবে পালন করার কথা। না ঠান্ডা গলার শুখনো দায়িত্ব নয়। মন থেকে ভালোবেসে, উষ্ণ কর্তব্য। উত্তপ্ত নয় মিষ্টি কথোপোকথন। সত্যি কারের আত্মার বন্ধন। আমরা শুধু এই টুকু করি? বাকি যেটুকু করার আর যার করার, তিনি সব করে দেবেন। আমাদের পথ নির্দিষ্ট। সেই পথে চলার সময়টুকু কিভাবে কার সাথে ভাগ করে নেবো তাও। আমাদের শুধু দেখতে হবে ওই পথের সৌন্দর্য্য যেন অমলিন থাকে। বাকি দিলাম ছেড়ে সবকিছু ওই মহাকালের হাতে। কালের নিয়মে সবকিছু আপন আপন ক্ষেত্রে, আপন ছন্দে স্পন্দিত হবে। এর মধ্যে আমি নেই তুমি নেই, আমরা কেউ নেই। আর যতবার ই সেই অসীম মহিমার কাছে নিজেকে সমর্পন করে দি, অমনি মনে হয় যেন চারিদিকে কোথাও কোনো "নেই" নেই, আছে শুধু নিরঞ্জন আনন্দএর বোধ আর অসীম নিশ্চিন্ততার স্নিগ্ধতা। কি শান্তি, কি স্বস্তি, কত আলো আর একরাশ ভালোলাগা। আমার খুব প্রিয় সেই সুর মনে নিয়ে ঘুমোতে গেলাম আজ "তুমি সুন্দর যৌবনঘন রসময় যাবো মূর্তি,
                                                                     দৈনভরণ বৈভব তব অপচয় পরিপূর্তি। 
                                                                      নৃত্য গীত কাব্য ছন্দ কালগুঞ্জন বর্ণগন্ধ-
                                                                      মরণহীন চিরনবীন তব মহিমাস্ফুর্তি। 








Saturday, 13 October 2018

Wednesday, 3 October 2018

কোনোদিন অভিমান হয়েছে? ভীষণ অভিমান?
চিৎকার করে দৌড়ে গিয়ে অনেক ঝগড়া করতে হয়েছে? ইচ্ছে?
অভিমানে বুকের মধ্যেটা করেছে ? তোলপাড়?
ঝগড়া করে, মেরে, ধরে নাড়িয়ে দিয়ে বলতে পেরেছো কখনো? বোঝোনা?
কেন বোঝোনা?
কষ্ট হয় যে...বোঝোনা?
অভ্যেস গুলো ছিল তোমার দেওয়া,
আর কখন তা মিশে গেল আমার সাথে-
অভ্যেস গুলো আমাদের 'বদভ্যেস'
তবু সেই অভ্যেস গুলো থেকে একটু সরে এসে যেই আমাদের একজন দাঁড়ায় একটু এদিকে
অন্যজনের হয় ভীষণ অভিমান।
সেই অভিমানে করতে পেরেছো সবকিছু এলোমেলো?
তুফান উঠেছে?
ঝোড়ো হাওয়ায় সব অগোছালো এলোথেলো করে দিয়ে
পেরেছো বলতে?
কেন কেন কেন
দৌড়ে গিয়ে, ঝাঁপিয়ে পরে, সমস্ত অভিমান কে গলিয়ে দিতে পেরেছো বৃষ্টি করে?
সেই বৃষ্টিতে ভিজেছে কখনো তোমার বুকের বোতাম?

ইচ্ছেনদী

আমার ল্যাব টা মাউন্ট sinai এর ১০ তলায়, আর আমার ওয়ার্কিং ডেস্কটা একদম জানালার ধারে , বিশাল জানালা। মনে হয় মেঘ গুলো এখুনি ঢুকে পড়বে এর মধ্যে। ...