আকাশ ভেঙে বৃষ্টি যে
মন কে যখন বুঝিয়ে সুঝিয়ে কাজের মধ্যে রাখা
এমন সময় ঘন কালো মেঘে এই মেঘের গুরুগুরু যে সব কাজ ভুলিয়ে দিলো
কি যে করি
অগত্যা
এসে দাঁড়ালাম আমার অকাজের এই বারান্দাটায়
শীতের মাঝে যাতে বৃষ্টিতে ভিজে না যাই,
সেই ভয়ে তাড়াতাড়ি আসছিলাম বাড়ির নিশ্চিন্তের আশ্রয় টা পাবো বলে
আর যেই পেলাম
অমনি সেই বৃষ্টির ছিটে টাকেই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে হলো
এক ই অবাধ্যতা মনের
ক্ষনে ক্ষণে একি পরিবর্তন
কোথায় যেন হারিয়ে গেল হিসেব নিকেশ
অনেক দিন পরে আবার নাকে এলো সেই সোঁদা গন্ধটা
বৃষ্টির জোলো হাওয়া শীতের কাঁপুনি নিয়ে এক অদ্ভুত শিহরণ এনে দিলো
মনে পড়লো বেশ কয়েকটা দিন হলো আমার বুড়ো লোকটার গান শোনা হয়নি
কত্তদিন হয়ে গেল শেষের কবিতা অভিমানে মুখ লুকিয়ে পরে আছে
আর সব বইয়ের মাঝে
কেমন যেন একটা অবহেলা আর অনাদরে
যেসুরটা সেদিন ঠিক ভাবে বাজেনি,
তাকে আর যত্নে আনা হয়নি আমার বেহালার ছড়ে
কতদিন হয়ে গেল ছাদের আলসে বেয়ে চলা
সেই সবুজ পাতার নরম টাকে ছুঁয়ে দেখা হয়নি
কোথায় আর কিকরে যেন ভুলেছিলাম কত অঙ্গীকার
অসমাপ্ত হয়ে থাকা সেই ফসিল এর ভেতরে লুকিয়ে থাকা
আশ্চর্য্য কাহিনীকে জানার যে আকুলতা একদিন
আমার দিনের সমস্ত কাজকে জড়িয়ে থাকতো
জীবিকার জন্যে সে কেন হলো আমার অবহেলার শিকার
সামনে গাছ গুলো এখন প্রকৃতির প্রলয় এর সাথে তাল মিলিয়ে মাথা দুলিয়ে মেতেছে
সেই তাল হটাৎ যেন আমার আমির ছন্দ টাকে ফিরিয়ে দিয়ে গেল
কোথায় হারিয়ে ছিল সে...
হটাৎ যেন হারিয়ে যাওয়া সবকটা বোধ খুঁজে পেলো
অবিনশ্বর সেই শান্তির বাণী
আমার রোজের কর্তব্যের সাথে যা আছে জড়িয়ে
আমার আমিকে যা প্রতিনিয়ত রাখে ভরিয়ে
সেই গভীর অমৃত বোধ এই অকাল বৃষ্টির সাথে সাথে
সমস্ত গ্লানি কে ধুইয়ে দিয়ে
যেন কি এক অসামান্য আনন্দে উঠলো গেয়ে
কি আনন্দ কি আনন্দ কি আনন্দ
দিবারাত্রি নাচে মুক্তি নাচে বন্ধ