Saturday, 17 August 2019

রক্তনীল 'অপরাজিতা

আজ নাহয় বৃষ্টি নামুক
ভাঙ্গুক নীরবতা -
আজ নাহয় পাগল হাওয়ায় ,
হোক মাতাল কেবল রক্তনীল 'অপরাজিতা'.
আজ নাহয় বাঁধন খুলুক ,
ভাসুক তরী -
দূর দিগন্তে দূরে
আজ নাহয় আবার তুমি ধরলে কলম
বাঁধলে আমায় নব্য সুরে।।

Thursday, 15 August 2019

রাখী পূর্ণিমা

ছোট থেকেই আমি  ,ইশ আমার বেশ একটা ভাই থাকতো। বেশ কেমন দিদি দিদি বলে সঙ্গে সঙ্গে ঘুরতো। রাখী বা ভাইফোঁটার দিন গুলোতে আমার পিসতুতো মাসতুতো দাদা দিদির বন্ধুরা এদের সবাইকে নিয়ে অবশ্য  খুব ভালোই কাটতো। স্নান করে, একটু বড় হতেই আবার পাকামি করে কেঁদে কেটে শাড়ি পড়তাম, প্রদীপ জ্বালিয়ে শাঁখ বাজিয়ে ঘটা করে হতো ভাইফোঁটা বা রাখিপূর্ণিমা পালন। বাইরে থাকাকালীন ও ভাই দাদা ঠিক ই কারোর না কারোর হাতে রাখি পড়িয়ে বা ফোঁটা দিয়ে তবে জল খাই, আর পোস্ট এ এখনো রাখি গিয়ে পৌঁছয় কাঙ্খিত জায়গায়, তবু যেন কি যেন একটা থাকেনা, কি যেন একটা নেই। পাঁশকুড়াতে থাকাকালীন একদল বাচ্ছা ছেলেমেয়ে আসতো , ওদের হাতে রাখি পড়াতাম আর ওরা খুশিমনে যেত। 
আজকে একটা অন্যরকমের খুশির সাক্ষী হলাম। সকালে কাজের দিদি আসবেনা বলে গেছিলো, কালকে যখন পা ঘষছিলো, মনে হলো কিছু বোধয় দরকার। বললাম কিগো দিদি, বললো না কিছুনা, বুঝলাম, বলতে ইতস্তত করছে। দুজনে আমরা থাকি, তার মধ্যে এই দিদি কখন যেন নিজেদের ফ্যামিলি মেম্বার ই হয়ে গেছে। হাতে কিছু টাকা দিলাম, বললাম ছেলে মেয়েকে মিষ্টি কিনে দিও। খুব খুশি হয়ে গেলো। ওর খুশি দেখে হটাৎ যেন কেমন ঘোর লেগে গেল, মনে হলো এই টুকুতেই এত খুশি, কিছুই যে করতে পারিনা, তাতেই। মনে পরে গেল, আমাদের ছোটবেলার আরতি পিসির কথা। যে স্কুল এ যাবার সময় আমাকে ভাত খাইয়ে দিতো জোর করে। আমি কিছুতেই খেতে চাইতামনা, তারপরে আবার তাকেই খাইয়ে দিতাম আমার থালা থেকে, আমার বাবাকে সেই পিসি ফোঁটা দিতো। নিজের যতটুকু সামর্থ তাই দিয়ে বাবাকে লুঙ্গি গেঞ্জিও দিতো মনে আছো। হটাৎ আমার কি মনে হলো, আরো কিছু টাকা আমাদের এই দিদির হাতে দিয়ে বললাম কালকে রাখী তো? এই নাও তোমার ভাইয়া তোমার জন্যে রেখে গেছে। ও অবাক হয়ে আমার মুখের দিকে চাইলো, আরে ভাইয়া তো বলো, ভাই হয়না তোমার? রাখীতে তোমাকে সে কিছু না দেয় কেমন করে ? ওর চোখ দিয়ে টপটপ করে জল পড়তে থাকলো। হাত দুটো আধা নমস্কারের ভঙ্গিতে তুলে কোনোরকমে বললো "ইতনা ইজ্জত মুঝে আজতক কিসিনে নেহি দিয়া, মেরি আপনি ভাই ভি নেহি ", ইজ্জত, দিতে পেরেছি তবে? আমার চোখ ও শুষ্ক থাকলোনা। 

Thursday, 8 August 2019

So many times when I prayed you give me light
On a sudden I felt that that is hidden insight
On a sudden when I see this floating sky
Green grass blue sky
Gentle wind slows down
Let me see, let me touch
Let me flow and blow on
Time passes left some marks
We decide which to carry or let go
On our works

নীল আকাশ, সাদা সাদা  মেঘ
সকাল থেকেই দিনটা ছিল উড়ো উড়ো
পুজোর আগের আবেশ, পুজো আসার আমেজ
ছোটবেলার স্মৃতি হটাৎ করে এসে এলোমেলো করে দেওয়া কাজের আয়েশ
ডেডলাইন গুলো জমা হতে থাকলো
ডেস্ক এ কাজ হতে থাকলো পেন্ডিং
কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথেও সেই আবেশের হলোনা হের্ ফের
দুঃখ বেশিক্ষন রাখতে আমি পারিনা,
বেশিক্ষন দুঃখ নিয়ে ঘ্যানঘ্যান করতেও ভালো লাগেনা
তবু কোনো কোনোদিন হটাৎ হটাৎ বিষণ্ণতায় মুড়ে যায় একেবারে
আবার এই আজকের মতন,
হটাৎ কোনো কারণ ছাড়াই আনন্দের মেজাজ নকশীকাঁথা পেতে বসে থাকে
গল্প বোনার জন্যে
ইঁট কাঠ পাথরের শহর তখন হয়ে যায় রাপুঞ্জেলের রাজত্ব
সেখানে আরব্য রজনীর জিনি র আসতে থাকেনা কোনো বারণ
আর হটাৎ করে এই ভরা দুপুরে অজস্র deadlines আর analysis সরিয়ে
জানালা দিয়ে উঁকি মেরে যায় একফালি আকাশ
এই মেয়ে আসবি নাকি?
ডানা দেব, উড়বি ?
সময়ের পালতোলা নৌকো কখন ভাসিয়ে নিয়ে যায় দুঃখ, নাপাওয়া, ম্যান কষাকষি, ঝগড়া
ওই সাদা সাদা মেঘের হাত ধরে শিরশিরানি বাতাসের সুরে সুরে
শুধু পরে থাকে অজস্র ভালো বাসাবাসি।

ভালোলাগার অনুরণনে কাঁপা কাঁপা সুরে
আমোদিত আকাশ মদির হয়ে তখন চোখ বন্ধ করে ফেলে
ভেতরের আনন্দ বাইরে যাতে উদ্দামতা না নিয়ে আসে
তাই সংযত করতে থাকে নিজেকে
হাতের মুঠোয় বন্ধ আর এক হাত নিষ্পেষিত হয়ে যাওয়ার রোমাঞ্চকতায়
উচ্ছকিত হয়ে লাল হয়ে পরে
সেই স্পর্শিত উষ্ণ উপলব্ধি।
শৃঙ্খলিত চিকণ সবুজ দূর্বা মুখ তুলে তাকায়
আর বন্ধ চোখের ভেতরে নিজের মধ্যের আলোয়
সমস্ত অন্ধকার দূর হয়ে গিয়ে যেন পুনরায় সকাল হয়।


Monday, 5 August 2019

এইরকম ই কোনো এক সময় ছিল সেটা। বৃষ্টি বৃষ্টি, ভেজা ভেজা দিন। season চেঞ্জ এ জ্বর হলো। অল্প অল্প ঘুষঘুষে , ঘ্যান ঘ্যান করে কাঁদতাম। ক্লাস সেভেন কি এইট তখন। মুখে কিছু ভালো লাগছেনা। বাবা সকালে দেখে গেছে জ্বর। তখন ফোন ছিলোনা বাড়িতে। খবর নেবার উপায় নেই, জ্বর যে তেমন তা নয়, তবু বাবার মন বসছিলোনা স্কুল এ তে। ক্লাস শেষ করেই তারতারি বাড়ি ফিরলো, হাতে কাঁচা পেয়ারা আর সেবারের প্রথম শারদীয়া আনন্দমেলা। 

ইচ্ছেনদী

আমার ল্যাব টা মাউন্ট sinai এর ১০ তলায়, আর আমার ওয়ার্কিং ডেস্কটা একদম জানালার ধারে , বিশাল জানালা। মনে হয় মেঘ গুলো এখুনি ঢুকে পড়বে এর মধ্যে। ...