Monday, 4 May 2020

বিকেলে রোদ টা এখানেও সোনালী হয়ে নামে। পুরাতন অপেক্ষার মতন ই মধুর হয়ে। আবার বিষণ্ণতায় ঢেকে বিদায় নেয়। সন্ধ্যে নামে। আমার ঠাকুরের সামনে এখনো আমি সবার ভালো থাকার জন্যে প্রার্থনা করি। চারিদিকে চন্দন এর গন্ধ। রাত হয়েছে এখন। গন্ধটা থমকে আছে। নিজেকে আত্মস্থ করেছি ধীরে ধীরে। একটা স্থির নির্লিপ্ততার মধ্যে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা , প্রতিদিন। পল্ অনুপল। টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া মন। ঠিক ভুল এর বিচার। নিজের কাছে নিজে কেমন ছোট হয়ে যাওয়া। ছোট হয়ে যাওয়া।...কিজানি, জীবন টা খুব অন্যরকম। প্রতিদিন যেন নিজেকে চিনতে পারি, চিনতে পারি অন্যকে। পারিপার্শিক কে। এটাই বোধয় বড় হওয়া, বুড়ো হওয়া হয়তো বা। 

ওই দূরে একটা মোটা গুঁড়ির গাছ, কেমন যেন গম্ভীর গায়ের রং। কেমন যেন সমীহ হয় দেখলে, যেন বাবার মতন, দাদুর মতন। মনে হয় ছায়াটার নিচে দাঁড়াই। দুদণ্ড চুপ করে বসি। গাছের পাতায় হাত দিয়ে আদর করি। স্বার্থ ছাড়া নিঃস্বার্থ সম্পৰ্ক গুলোকে প্রাণ ভোরে উপলব্ধি করি। এই মনখারাপ এর গল্প বলি কাউকে, যে আদর করে মাথায় হাত বুলিয়ে দেবে, শুনবে সেই মনখারাপের গল্প গুলো। বিরক্ত হবেনা। নিজের দরকারে নয়, আমার জন্যে আমাকে বুঝতে চাইবে। কোনো হিসেব নিকেশ ছাড়াই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মুহূর্তরা ফিরে তাকাবে, মুচকি হেসে চাঁদ সেদিন সত্যি উঠবে। ওই মোটা গুঁড়ির গাছটার তলায়। 

Saturday, 2 May 2020

রাজকন্যের আবদারে

আয় তোকে এক গল্প বলি,
রূপকথার ই মতন
এক যে ছিল রাজা রানী
হীরে মানিক রতন
হীরে মানিক তুচ্ছ মা রে,
আজ আছে কাল নেই
ছিল তাদের এমন কিছু
যার কোনো ক্ষয় নেই।

পাহাড় ঘেরা ছোট্ট পুরী ,
বাগান ভরা ফুল।
জল টলমল দীঘি কত
ফুটেছে কমল।
রাজা রানী রাজকন্যে
রাজ্য ভরা প্রজা
সুখী জীবন,আচার ব্যাভার
সুস্থ এবং সোজা।
ভোরের বেলা হাজার পাখি
কোন সুরে গায় গান ,
রাজার সাথে রাজকন্যে
মোহিত হয়ে যান।
ছোট্ট মেয়ে হচ্ছে বড়
শিখছে কিছু কত,
দেখছে যা , জানছে আরো
প্রশ্ন আরো শত।
কোন পাখি , তার নাম কি
গায়ের কেমন রং ,
কেমন করে তাকায় দেখো
বসার কতই ঢং।
আকাশ কখন তারায় ভরা ,
কখনো রোদ ঝলমল।
কখন নদী শুকিয়ে যায় ,
আবার কখনো জল টলমল।
রাজা শেখায় রাজকন্যেকে ,
এসব কিছুর নাম।
ঋতু কত, ফসল কত ,
ফল এর কোথায় কি ধাম।
সব কিছু শেখো মাগো,
হও অনেক বড়
প্রকৃতির মাঝে মানুষ হয়ে
নিজেকে তৈরি করো।
রাজকন্যে বুদ্ধিমতী
শিষ্টাচারে ভরা ,
পিতার কথা মতন
শুরু করলো নিজেকে গড়া।
নিজের কাজ নিজে করে,
গুছিয়ে খেতে বসে,
বাগান করে, গাছ পাখি
আর সবাইকে ভালোবাসে।
পশু পাখি কাঠবেড়ালি
বন্ধু সবাই তার ,
জোরে কথা বলেনা সে,
কখনো করেনা মুখভার।
গুরুজনকে মান্য করে,
ছোটদের কে ভালো ,
এইভাবেই রাজকন্যে
রাজার ঘর করলো আলো।
প্রজা পরিষদ,
সবাই বলে অহ ধন্য ধন্য।
যা কিছু ভালো আমাদের সব ই যে
আমাদের রাজকুমারীর জন্য।
হীরে নয়, মানিক নয়,
আসল রতন মন।
সব কিছু দেখে শিখে, ভালোবেসে
যদি সবাইকে করতে পারো যতন।
যেন তবেই তুমি সব পেয়েছো
হয়েছো ঠিক রাজকন্যে,
চারপাশে সব সাজানো আছে,
শিখে নাও মা, এসব তোমার ই জন্যে।

এইভাবে রাজার কাছে দিন কেটে যায় তার,
সুখী পরিবার, সুখী গৃহকোণ, সোনার সংসার।














ইচ্ছেনদী

আমার ল্যাব টা মাউন্ট sinai এর ১০ তলায়, আর আমার ওয়ার্কিং ডেস্কটা একদম জানালার ধারে , বিশাল জানালা। মনে হয় মেঘ গুলো এখুনি ঢুকে পড়বে এর মধ্যে। ...