Wednesday, 31 January 2018

মেলবন্ধন

আজকে এক অন্যরকম টানে আমি ল্যাব থেকে প্রায় দৌড়ে দৌড়ে রুম এ ফিরি। শুধু মনে হচ্ছিলো আজকের সূর্যাস্ত টা যেন miss না হয়ে যায় , কেন মনে হচ্ছিলো জানিনা, কিন্তু কি জানি এক অদ্ভুত মায়ায় আমাকে ল্যাব থেকে উপরে সোজা ছাদে নিয়ে গেলো। এতো তারতারি আসছিলাম যে হাঁপিয়ে গেছিলাম। কিন্তু গত কালের যে ধ্যানমগ্ন বিদায় ক্ষণের সাক্ষী হওয়ার জন্যে এতো উতলা হয়ে আসছিলাম, তাকে পেলামনা। সূর্য অস্ত হয়েছিল।

বিদায়কালে দুহাত ভরে নিজের সমস্ত আদর যেন সূর্যদেব ছড়িয়ে দিয়েছিলেন পশ্চিমের আকাশে। আকাশে আজ বোধয় ছিল হালকা কিউমুলাস মেঘ। আবীর মাখা দিগন্ত জুড়ে তারা যেন মুক্তির আনন্দে ডানা মেলে উড়ে চলেছিল। পশ্চিম আকাশে যখন এই অসাধারন কর্মকান্ড চলছে পুব আকাশে তখন ধীরে ধীরে আপনার স্মিত শান্ত মুখ তুলে তাকিয়েছে চন্দ্রমা। কি অসাধারন কি অস্মভব সুন্দর সে দৃশ্য। একদিকে লালে লাল আকাশ এ অস্তমিত দিবাকর আর অপরদিকে রুপোর থালার মতো শশিরেখা, জানান দিচ্ছে মধুনিশির। ইমন আর মালকোষ যেন হটাৎ একসঙ্গে একসুরে বাঁধা পড়লো। এ কি সৌন্দর্য্য, এ কি মেলবন্ধন, এ কি অপূর্ব ভালোবাসা। এমন সৌন্দর্য্য কি শুধু একা উপভোগ করা যায়? বাতাসে যে আজ মাতন লেগেছে। আসন্ন বসন্তের খবর পাতায় পাতায় শিহরণ তুলেছে। চারিদিকের এতো মায়া , এতো মধু , এতো প্রেম এ কি শুধুই আমার একার। "যাও  মেঘদূত , দিও প্রিয়ার ও হাতে, আমার বিরহলিপি লেখা কেয়া পাতে "....--জানি আবার এক ই ভাবে সন্ধ্যা হবে, নিশি অবসানে ম্লান স্তিমিত ইন্দুকে বিদায় জানিয়ে ঝলমলিয়ে উঠবেন 'ভানু '...আবার সেই জ্যোতির্ময় ও দিবাবসানে চন্দ্রমার স্মিত হাসি দেখে নেবেন বিদায়। তবু আজকের যে ক্ষণ যে মায়া তা যে ঠিক এই মুহূর্তের জন্যেই। ...."আর কি কখনো কবে / এমন ও সন্ধ্যা হবে " -

No comments:

ইচ্ছেনদী

আমার ল্যাব টা মাউন্ট sinai এর ১০ তলায়, আর আমার ওয়ার্কিং ডেস্কটা একদম জানালার ধারে , বিশাল জানালা। মনে হয় মেঘ গুলো এখুনি ঢুকে পড়বে এর মধ্যে। ...