Thursday, 11 June 2020

আমি ভাবি, এ মানুষ্য জন্মের কারণ, তার উদ্দেশ, তার নির্দেশ। ওই মেঘ এর কথা, চেষ্টা করি শোনার। আমার প্রবাসী জীবনে, একাকী জানালার ধারে ভাবনারা আপন পাখা মেলে দেয় নিঃসংকোচে। কখনো তা মেঘদূতের মতন একের বার্তা পৌঁছে দেয় অপর প্রান্তে। কখনো তা অভিমানে মুখ লুকোয়। আর আমি ভাবতেই থাকি, আমার ভাবনারা ডানা মেলে উড়ে যেতে যেতে আজ আটকে গেছিলো ওই যে নিচের গাঢ় সবুজ ? ওর মাঝখান টাতে , আর বললো, সময় যে বড় কম। অভিমান হলে মুখ লুকোসনে কেমন, বরং বৃষ্টি হয়ে নিঃসংকোচে ঝরে পরিস বুকে, আবার খুশিতে মেঘ হয়ে উড়ে যাস নাহয়। কিন্তু অভিমান নিয়ে দূরে সরে থাকিসনা কেমন। এই ক্ষয়িষ্ণু সময়ে, হাজারো স্মৃতির ভিড়ে এমনিতেই যে সব কেমন হারিয়ে যেতে থাকে, ঠিক ওই মেঘ গুলোর মতন। তাই তার মাঝে আর অভিমান এর দেওয়াল দিয়ে যেটুকু সময় আমাদের হাতে আসে, তাকে আর বাধা দিসনা বরং আপন মনের সবটুকু মাধুরী সাবলীল ভাবে মিশিয়ে দিয়ে এসে দাঁড়ালি নাহয়, নাহয় অনেক ঝগড়া করলি, চিৎকার করে ভুল ধরলি, তবু সামনেই থাকলি নাহয়।  কোন সে প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে, মানুষ ভেবে এসেছে, আচ্ছা আমি ই কেন, কি আমার কাজ। আমি ডেটা এনালাইসিস করি, পাইথন এর এক একটা টার্মিনাল এ ঝড় ওঠে, ও আমার ভালোবাসা। আবার এই মেঘ, আমার এই ভাবনার নিঃসংকোচ ভেসে যাওয়া, এও আমার ভালোবাসা। আর এই দুয়ের মধ্যে জাগতিক আমি? সে কোথায় আছে তবে? মানুষ তো নিজেকেই সব চাইতে বেশি ভালোবাসে তাই না, নিজের আমি, নিজের সংসার, সন্তান, এই ঘিরেই আবর্তিত হতে থাকে, আমাদের সকল সুখ দুঃখ , ভাবনা ভালোবাসা, ভালোলাগা।
যাও মেঘদূত দিও প্রিয়ার ও হাতে, আমার বিরহ লিপি, লেখা কেয়াপাতে।...দিনশেষে সূর্যদেব যখন পাটে বসেছেন, তখন আমি বসে এই জানালায়, আবার ডানা মেলতে দিলাম আমার ভাবনাকে। মেঘেদের সঙ্গে সঙ্গে একটার পর একটা প্রেক্ষাপট পাল্টাতে লাগলো, বদলে যেতে থাকলো মেঘেদের রঙ , ধরন , এই কখনো ঘন কালো তো এই আবির রঙে রাঙা তো এই আবার পালক সাদা। মনকেমন করে উঠলো। নিচের সবুজেরা মাথা নেড়ে নেড়ে বলে উঠলো, অভিমানে মুখ লুকিয়ে থাকিসনা কেমন, তার চেয়ে বরং বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়িস, বাজ হয়ে গর্জন করে উঠিস, কিন্তু অভিমানে দূরে সরে থাকিসনা। এমনিতেই সময়ের যে বড় অভাব। এই ক্ষয়িষ্ণু সময়ে, হাজারো স্মৃতির ভিড়ে এমনিতেই যে সব কেমন হারিয়ে যেতে থাকে, ঠিক ওই মেঘদের মতন। তাই তার মাঝে আর অভিমানের আড়াল নাহয় নাইবা রইলো বরং আপন মনের সবটুকু মাধুরী দিয়ে সাবলীল ভাবে সামনে এসে দাঁড়াস। ঠিক ভুল সুখ দুঃখ মহাকালের স্রোতে কালের নিয়মে আপন ছন্দে এই সন্ধের পবিত্র সান্নিধ্য নিয়ে দিশা দেখিয়ে দিয়ে যাবে। শুকতারার নির্দেশে পথ ভ্রষ্ট না হয়ে রচনা হবে নব অধ্যায়। অযথা তাকে অভিমানের আড়াল দিওনা দোহাই আমার। 



No comments:

ইচ্ছেনদী

আমার ল্যাব টা মাউন্ট sinai এর ১০ তলায়, আর আমার ওয়ার্কিং ডেস্কটা একদম জানালার ধারে , বিশাল জানালা। মনে হয় মেঘ গুলো এখুনি ঢুকে পড়বে এর মধ্যে। ...