Thursday, 29 December 2022

অন্য আলো

 মানুষের জীবনের পূর্ণতা কোথায় জানিনা তা, কিভাবে কখন কার হাত ধরে আসে, তাও না, শুধু এটুকু বুঝেছি জীবনের গতি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনা। তা আপনার লক্ষ্যে আপনি মাধুর্য্যে চলে। তুমি বলো, আমি তোমাকে ভরিয়ে দিয়েছিলাম, তোমার একসময়ের শূন্য আকাশ পূর্ণ করেছিলাম, কিন্তু আজ আমার খুব বলতে ইচ্ছে করে, ভরিয়ে দিয়েছো তুমি আমায়। পূর্ণ করেছো। কোনো বিচ্ছিন্ন এক দিন রাতের কথা এ নয়, এ আমার অনেক দিনের, অনেক রাতের মনের কথা। 

আমি স্বভাব অন্তর্মুখী। মনের কোনো কথা, কোনো ইচ্ছে, তা নিজের কাছেও উচ্চারণ করতে পারিনা, একরাশ লজ্জা এসে এখনো এই ৩৫ পেরোনো মনকে কিশোরী রঙেই রাঙিয়ে তোলে। ভুল কি ঠিক এ দোলাচল চিরন্তন কিন্তু তার থেকেও বড় বুঝি হৃদয়বৃত্তি। তার মধ্যে কোনো ভান চলেনা।  তাই আজ খুব বলতে ইচ্ছে করে, এভাবে আলোকিত হোক আমাদের চারিপাশ। আমাদের একসাথে ভাগ করে নেওয়া প্রথম অন্য আলোর ভোর  শান্ত পদক্ষেপে একদিন চোখ মেলে তাকিয়েছিলো, বলেছিলো অপেক্ষা কোরো , আমার মনখারাপের রাত গুলোতে, সেই শান্ত ভোরের আনন্দ অপেক্ষাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিয়ে আমি ঘুমিয়েছি। আর এক নতুন ভোরের আশায়। 

যদি দেবতার আসন সাজাতে আমাদের অন্য দিকে তাকিয়ে অন্য কুলুঙ্গী থেকে প্রদীপ ধার করে আনতে হয় সে আমাদের ই দৈন্যতা মাত্র যে, না তাতে দেবতার অপমান, না প্রদীপের। আলোর তো নয়ই।
এই যে আকাশ ভরা আলো তোমারই জন্য রইলো অপেক্ষায়। যদি পারো চিনে নাও।
কেবল ভালবাসতে বলেছিল বলে ভগবান যীশুকেও ব্রাত্য হতে হয়েছিলো সেদিন। তবু সেইই চিরন্তনের সুরটি গেয়েছিল বলে, আজ তাকেই ভালবাসতে দিনে রাতে এত আয়োজন! 
আমি সাধারণ, ভগবান নই , মানবী, মানব জীবনের সাধারণ ছোটোখাটো সুখ দুঃখ, চাওয়া, পাওয়া, নিয়ে আমার পথ চলা, ঘর ভাঙা নয়, বেঁধে রাখতেই যার বিশ্বাস। আমাকে ব্রাত্য কোরোনা , আমার মনকেমনের প্রাঙ্গনে, মনখারাপি ছেলেমানুষির অভিমানে সঙ্গে নিয়ো, আর আলোময় অবিনশ্বরে বিলীন হোক যাবতীয় নশ্বর!
আলো হয়ে ওঠো তুমি আমারও। আলোর মতন করে ঘিরে থেকো, আলোর মতন নরম আদোরে ঘিরে রাখতেও দিও আমায়।

Monday, 12 December 2022

মিতা

 "িমতাtমিস মম জীবনংtমিস মম ভূষণং,

tমিস মম ভবজলিধরtm।” মেয়েটি বললো, এ তোমার নিজের মুখের কথাতো নয়,  লাবণ্যের কথা ধার করলে তো, ছেলেটি বললো, যুগে যুগে বাণী হারা মুহূর্ত কে বাণী মুখরিত করতে নিবারণ মুখুজ্যেএই কে যে স্মরণ করে এসেছে মানুষ।কিন্তু এ কথাও তোমার লাবণ্যের নিজের তো নয়, কবিবর ও যে একথা ধার করেই লিখেছিলেন মহাগ্রন্থ থেকে, তবে শুধু আমাকেই দোষ কেন,  তারপরে সন্ধ্যে নেমে এলো, আকাশে তখন একফালি চাঁদ, সামনে পবিত্র গঙ্গা আর গোধূলির ইমন উঠলো বেজে। হৃদয় যখন অগণিত কথায় মুখর হয়ে পরে , মুহূর্ত তখন স্তব্ধ হয়ে যায়।  

অকথিত কথার একটা অদ্ভুত সুগন্ধ আছে, চন্দন এর মতন, সদ্য ফোটা সন্ধ্যের জুঁই বা সকালে শিউলির মতন, অনেক দিন বৃষ্টি না হওয়া মাটিতে হটাৎ আসা বৃষ্টির সোঁদা গন্ধের মতন আদিম, অকৃত্রিম, অকর্ষিত। নিস্তব্ধ ভোরের নিজস্ব কিছু শব্দ থাকে, টুপটাপ শিশির ঝরে পরে, কুয়াশা সরিয়ে আসতে আসতে স্পষ্ট হয়ে আসে, সকালের আলো , এক নতুন দিনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে শুরু হয় নতুন দিন। অজস্র, দ্বিধা, দ্বন্ধ মন কে বারবার তোলপাড় করে তুলে, হটাৎ এ কেমন ভোর এর আলোর মতন স্নিগ্ধ , নিস্তব্ধ হয়ে দুই মনকে বেঁধে দিলো, মেয়েটি বললো, কেন বাঁধ ভাঙলো, সব রহস্য শেষে বন্ধন যদি হারিয়ে যায়, ছেলেটি বললো এ রহস্য হারায় না, চিরন্তন বাঁধনে বেঁধে রাখার অজুহাত এ, যাতে পালাতে না পারো, মেয়েটি বললো, এ কথাটাও, এ কথাটাও, কোথায় যেন, 

ছেলেটি হাসলো, ধার করা, এ কথাও ধার করা ওই নিবারণ চক্রবর্তীর ই কাছে। বেঁধে রাখার মূলমন্ত্র ও যে ওখানেই বাঁধা। আর আমাদের প্রতিটা দিন , প্রতিটা মুহূর্ত ই ধার করা, সেই মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে।  কিছু কিছু স্মৃতি খুব সুন্দর হয়, কিছু কিছু দিন ইতিহাস রচনা করে আর কিছু কিছু দিন বোঝায় আমাদের destiny কে অগ্রাহ্য করার সাধ্য নেই আমাদের। জীবনের স্রোতকে অগ্রাহ্য করার সাধ্য আমাদের কারোর নেই, তাকে কর্তব্যের আড়ালে ভুলিয়ে রাখতে পারি, কিন্তু অবহেলা করলে নিজেদের খাতাতেই মহাকালের হাত দিয়ে লেখা হয়ে যায় মস্ত এক শূন্য। 

ভোরের ওই শব্দ, কুয়াশাচ্ছন্ন পথের দিশা, গোধূলির সুর আর নদীর ছলাৎ ছলাৎ যে কোনো দুই হৃদয়ের সব অকথিত ভাষায় প্রাণ দেবে, এ জানা ছিলোনা কারোর ই। নদীর স্রোতের মতন ই বয়ে চলে এ সময়, কখন দ্বাদশীর বাঁকা চাঁদ এর মৃদু জ্যোৎস্নার স্নিগ্ধতা নিয়ে আসে অপার্থিব শান্তি। আর অজস্র, দ্বিধা, দ্বন্ধ মন কে বারবার তোলপাড় করে তুলে, হটাৎ এ কেমন ভোর এর আলোর মতন স্নিগ্ধ , নিস্তব্ধ হয়ে দুই মনকে বেঁধে দেয় , মুহূর্তের অপেক্ষায় তৈরি হয় মুহূর্তরা। বন্ধনহীন ছন্দ পতনে, যখন পড়িল বাঁধা এক ই সর্গে, রচিলো একত্র স্বর্গ যতনে। 

https://youtu.be/i0JCJfQpGB4




 

Friday, 29 July 2022

বর্ষা আসুক অন্যরকম।

শ্রীজাত গুপ্তা 

অন্য বর্ষা 

তোমার হাতে হাত ছোঁয়ালে 
বৃষ্টি তুমুল 
নখের নিচে 
রাপুঞ্জেলের ভুল শহরে 
দুই বিনুনি 
কম পড়েছে 
তোমার ঠোঁটে 
চোখ ভাসালে 
মেঘের কোলে 
আত্মগোপন 
ইচ্ছে খুব ই এসব লিখি 
প্রেম জানাবো নতুন করে 
রঙ্গীন জলে 
শুখনো পাতা ঝড় নামবে 
অবাধ্য মন 
সেরুলিয়ান 
নীল পোশাকে , আকাশ জুড়ে 
রাজপুত্তর , নাম খুঁজেছি অভিসারের 
শীতল নদী 
পাঠ শিখেছি, 
অস্থিরতায় 
ভুল বুঝেছি 
নিত্যনতুন 
কৃষ্ণচূড়ার নাম রেখেছি 
শুদ্ধ রেখার 
তোমার হাতে 
মুখ লুকিয়ে 
ইচ্ছে ভীষণ 
তোমার কোলে মুখটি ঢাকি 
চুলে তোমার হাতটি থাকুক 
ইচ্ছে ভীষণ 
অলক্ষ্যে ফের 
বর্ষা আসুক 
অন্যরকম।












Friday, 1 April 2022

 আমাদের সবার একটা গল্প আছে। সেই ছোটবেলা থেকে, যখন আমরা এক ঠাকুরমার ঝুলির রূপকথাদের মধ্যে গুঁজে গুঁজে নিজেদের জায়গা করে নি, অথবা বড় হয়ে উঠে বুদ্ধদেব গুহর বাবলি হয়ে ওঠার আকাঙ্খা করি বা শীর্ষেন্দুর পার্থিব এর সেই চার বন্ধুদের মতো বন্ধু খুঁজি। কিছু দেখে , কিছু পরে, কিছু বুঝে উঠতে উঠতে বেড়ে উঠি, আর তারপরে বড় হয়ে উঠি। দায়িত্ব আসে, কর্তব্য আসে, কিন্তু আমাদের সবার মধ্যে নিজেদের সেই দায়িত্ব বোধ আসেনা, কর্তব্য বোধ আসেনা, আবার কখনো বা ঠিক উল্টোটা দেখা যায়, এই দায়িত্ব বা কর্তব্য কাউকে কাউকে একেবারে নিষ্পেষিত করে দেয় , জীবনের রং তখন শুধুই ১০ টা পাঁচটার চাকায় ঘুরতে থাকে। পূর্ণিমার চাঁদকে ঝলসানো রুটি, শুধু সুকান্তের কেন, বহুবার আমাদের অনেকের মনে হয়। গাছের সবুজ পাতার দিকে তাকানো কেও বিলাসিতা বলে হয়, আর অন্য কেউ যদি সেই চাঁদ পাতার মধ্যে থাকে, তখন মনে হয় ইসঃ ওর জীবনে তো কোনো চিন্তাই নেই, হতো আমার মতো জীবন বুঝতো তখন। আর এখনকার এই ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম এর যুগে, এ চিন্তা অনেকের ই হয়, মুখ ঘুরিয়ে থাকি, ভাবি দেখবোনা দেখবোনা, যতক্ষণ না আমার কাছেও একটা এইরকম ঝকঝকে অমিকে তুলে ধারার মতন কিছু থাকছে, কিছুতেই ততদিন আমি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকি, আবার সে অদম্য টান কেও একেবারে উপেক্ষা করা যায়না। আমাদের বয়সের যারা তারা নিজেদেরকে একটু ভাগ্যবান বলতেই পারে, কারণ আমাদের কাছে সোশ্যাল মিডিয়ার দরজা খুলে যাবার আগে, বই এর পাতায় মুখ গোঁজার মতন কিছু দিন ছিল, স্কুল থেকে এসে দৌড়ে দৌড়ে বই পড়ার নেশা ছিল, আর ও একটু দুপুর বেলায় মা ঘুমোলে চুপিচুপি নিষিদ্ধ বই এর খোঁজে চুপিসারে আলমারির কাঁচ সরানো ছিল, পড়ার বই এর তলায় গল্পের বই রেখে পড়ার টানটান উত্তেজনা ছিল, আমার লাভ লেটার ও পেয়েছিলাম আমি পাড়ার লাইব্রেরি তে বুদ্ধদেব গুহর বাবলির মধ্যেই। ধরা পরে মা এর হাতে প্রচণ্ড উত্তম মাধ্যম ও হয়েছিল। প্রথম পাওয়া গোলাপ ফুল তাও ঠাঁই পেয়েছিলো গীতাঞ্জলির মধ্যে। বলতে না পারা পাঁপড়ি গুলো শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে গেলেও, গীতাঞ্জলি খুললেই সব স্মৃতি আবার জীবন্ত। যাকগে যে কথা বলছিলাম, আমি খুব ভাগ্যবান, যে, ঠিক সময়ে ঠিক জীবন বোধের ঠিক রসদ টা আমার হাতে তুলে দিয়েছে আমার চারপাশের মানুষগুলো, মা , বাবা, বাবুমামা,সেই লাইব্রেরিয়ান কাকু।.আর তারপরে কিছু বই আমি নিজে বেছে নিয়েছিলাম, ওই বড় সময়গুলোতে, যেগুলো

কিছু কিছু বই আমাদের চলার পথে অনেক সময় ই আমাদেরকে স্থির রাখে, সুখে, দুঃখে, বিভিন্ন পরিস্থিতির মধ্যে ব্যালান্সড রাখে। আমার কাছে সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের শিউলি হলো এমন ই এক বই। গল্প পাঠে তিস্তা। আমি বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞ সেই মানুষটির প্রতি যিনি কিছু কিছু করে এই বই এর কিছু কিছু পাতার ছবি তুলে আমাকে পাঠান , তার জন্যেই আবারো এই বইটি আমি পড়তে ও পড়ে শোনাতে পারছি। 






Monday, 21 February 2022

নিস্তব্ধ দুপুরের একাকী একাকিত্ব এ আমার আগলে রাখা সবুজ সজীবতা , পাশে রাখা ছোট্ট জল সিঞ্চনের সাজি জানেনা জানালার বাইরেটা কত রুক্ষ, শুষ্ক, কঠিন; কাঠিন্য আর আহত করেনা , ভিতরটা আজ স্তদ্ধ, ভাবাবেগ হীন, নির্লিপ্ত শান্ত। কোথাও কোনো শব্দ নেই, এমন দুর্ভেদ্য নৈশব্দ এমন প্রচন্ড শান্ত দুপুর যেন সমস্ত স্নায়ু জুড়ে আত্মসমাহিতের মতন নিজেকে করে চলে নীরব নির্লিপ্ত স্থির অবিচল। 

Wednesday, 19 January 2022

মাঘী পূর্ণিমা

মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের চন্দ্রমা। হটাৎ ঘুম ভাঙা চোখে খুঁজে পাওয়া চাঁদের আলোয় থৈ থৈ চরাচর। সেই আগের মতন, বরাবরের মতন, চিরকালীন। সেই কবে চলা শুরু হয়েছে, মহাকালের সময়ের কোন সূক্ষাতি সূক্ষ  মুহূর্তের ভগ্নাংশের কোন প্রাগঐতিবাহীসক সাক্ষী থেকে , তার আর কোনো ভুল হয়নি তারপর থেকে, সেই চরাচর ভাসিয়ে সমস্ত জগৎ কে আলোয় সাজিয়ে দিয়ে পশ্চিমাকাশে ঢলে যাওয়া নব সূচনার ইঙ্গিত রেখে, নব উদয়ের রক্তিম সুপ্রভাতের সূচনা করে। আবার ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফিরে আসা। কোনো ভুল হয়নি তার। কোনো পরিবর্তন নেই, সেই জ্যোতস্নাস্নাত পৃথিবী যাকে আফ্রিকার জঙ্গলের মধ্যে দেখে চাঁদের পাহাড়ের শঙ্করের মনে পড়েছিল তার গ্রামের উঠোনের কথা, অবনিঠাকুরের লেখায় যে জ্যোৎস্না বারবার প্রাণবন্ত হয়েছে, কালিদাস যে এক জ্যোৎস্নারাতের সঠিক উপমা মনে আনতে না পারার গ্লানিতে বহু জাগরণে কেটে যাওয়া একাকী জ্যোৎস্নারাত তাকে কুমারসম্ভবের কবি তে পরিণত করেছিল, সেই জ্যোৎস্না, শঙ্করের জ্যোৎস্না, রবি ঠাকুরের জ্যোৎস্না। পৌষ মাঘের ধানক্ষেতের ওপর আসা মা লক্ষীর আসনের মতন স্নিগ্ধ, শান্ত টলটলে জ্যোৎস্না। এর কোনো পরিবর্তন নেই, কোনো ক্ষয় নেই, কোনো লোপ নেই। আমরা তাকে দেখতে ভুলি, ছুটে চলতে চলতে অবাক হতে ভুলি, প্রমোশন এর পরে প্রমোশন, গাড়ি, বাড়ি, রঙ্গীন জগতের নেশায় চাঁদের আলো ঠিক আলোর মতন করে চোখে পড়েনা। গাড়ি, আরো বড় গাড়ি। বাড়ি আরো বারো বাড়ি। আরো কিছু চাই, আরো কিছু অনেক অনেক। পৃথিবীর সমস্ত সুখ ধরে রাখার জায়গা কুলিয়ে ওঠেনা আর অতএব আরো বেশি কিছু চাই, আরো বড়। সব পাওয়া হয়, শুধু মাঝে পরে থাকে অনেক গুলো জ্যোৎস্না মাখা চাঁদনী রাত , কামিনী ফোটা আলতো রাত , হাস্নুহানা মাখা ভোর। তবু এখনো কিছু চোখ তাকে খোঁজে, এখনো অবাক হয়, আধুনিকতায় মোড়া নগরীর আকাশচুম্বী ভাস্কর্য্যের সঙ্গে এক ই সঙ্গে ভেসে যাওয়া রাত বলে দেয় তুমি বেঁচে আছো। সব আছে দেখো। আধুনিক ব্যস্ত নগরী ঘুমোলে তার সাথে ধুলোমাখা মেঠো পথের আর কোনো পার্থক্য থাকেনা। দস্যি ছেলে সারাদিনের দুষ্টুমি শেষে যখন ঘুমিয়ে থাকে, আর মা তার মুখের দিকে তাকিয়ে হেসে তাকে আঁচলে টেনে নেন, এই মাঘী পূর্ণিমার কুয়াশা ঘেরা আঁচলে ঢাকা এই ঘুমন্ত নগরীর দিকে শাশীমুখী যেন সেই মাতৃস্নেহের মৃদু দৃষ্টিতে তাকিয়ে, আর সেই দৃষ্টির স্নিগ্ধতা দেখতে পাওয়ার সৌভাগ্য আনন্দে হটাৎ আমার চোখে জল চিকচিক করে উঠলো। তাকিয়ে দেখি রাত ভোর হয়েছে, এক নতুন দিন, উজ্জ্বল, সম্ভাবনা ময় , সুন্দর। মাঘী পূর্ণিমা 

ইচ্ছেনদী

আমার ল্যাব টা মাউন্ট sinai এর ১০ তলায়, আর আমার ওয়ার্কিং ডেস্কটা একদম জানালার ধারে , বিশাল জানালা। মনে হয় মেঘ গুলো এখুনি ঢুকে পড়বে এর মধ্যে। ...