Thursday, 11 September 2014

বয়েই গেল

আমার আগের লেখা 'সম্পর্ক' কে কন্টিনিউ করছি আর কিছু দিন পর থেকে কিন্তু তার আগে আরো একটা আপাত দৃষ্টিতে দেখা সম্পর্ক না থাকা এক মিষ্টি সম্পর্ক হটাত আমার দৃষ্টিগোচর হওয়ায় , কাজে ফাঁকি দিয়ে সেটা না লিখতে পারলে এই যে দুপুর বেলা আমি আমার সব থেকে প্রিয় খাবার মুসুর ডাল আর ঢাড়স তরকারী দিয়ে (পাতিলেবু সহযোগে)  ভাত খেয়ে এলাম, সেটা  হজম হবেনা। 
                       দুপুরবেলা হোস্টেল এর রুম থেকে খেয়ে ফেরার পথে দেখি যে IB ৩ এর সামনে এখানকার দুজন সায়েন্টিস্ট দাড়িয়ে কোনো গুরুতর আলোচনা করছেন (সত্যি সায়েন্টিস্ট ), আর আমাদের হাচিকো বংশগত ভাবে যে নাকি কুকুর প্রজাতি তে জন্ম গ্রহন করেছে, সে হটাত ওনাদের খুব কাছে এসে, এক গাল হেসে, ওঁদের মধ্যে একজনের দিকে তাকিয়ে লেজ নাড়তে লাগলো।  তা, ওনারা তো, একটু সরে গেলেন, ওমা সরে গেলে ই  কি তুমি আমাদের হাচিককে সাইন্টিফিক আলোচনা থেকে বিরত করতে পারবে নাকি? হু  হু সেটি ভাবলে ভুল করবে। হাচিক ও যথা রীতি আরো একটু কাছে ঘেঁসে গেল এবং প্রায় ওনার পা এর ওপর পা তুলে মুখের দিকে তাকালো, আর হাসতে লাগলো। ভাবটা ; কিগো কি খবর তোমাদের , কাজ কম্ম সব ক্যামন কি চলছে? কিছু আবিষ্কার টাবিস্কার করলে তো বল একটু শুনে যাই.......

এই ওপরের ঘটনা টা যখন  repeat হলো বেশ কয়েকবার, মানে যত উনি সরে যান ততই, হাচিকো ও সরে যায় আর হাসতে থাকে, তখন আমি মনে মনে হাসতে হাসতে আমাদের গাব্বু কে একটু আদর করে দিয়ে চলে এলাম, আর ভাবলাম, কি সহজ সুন্দর একটা সম্পর্ক এর সাক্ষী হলাম আজ আমি। আমরা বই এর পাতায় পড়েছি, স্বামী বিবেকানন্দ বলেচেন, ভালো বাসা শুধু দিয়ে যাও, ফিরে কি পাবে ভেবনা, কিন্তু নিজেরা বোধহয় নিজেদের প্রাত্যাহিক জীবনে তা করে উঠতে পারিনি, অন্তত আমি আমার কথা বলতে পারি যে, আমি পারিনি। আর ওই পুচকেটা কে দেখো, ভালোবেসেই সে সন্তুষ্ট, ফিরে তাকে কেউ ভালো বসলো কি না, বয়েই গ্যাছে ওর  সে সব ভাবতে, ওসব তোমরা ভাব, ততক্ষণ আমি তো আমার যখন যাকে দেখে ভাললাগছে, যার সাথে থাকতে ইচ্ছে করছে, আমি তার সাথে থাকি, আর আমার আনন্দ প্রকাশ দেখে তোমার যদি, রাগ ও হয়, তাতেও আমার ভারী বয়েই গেল, আমার চারপাশের  যে কোনো ঘটনা, যে কোনো মানুষ্  বা আমার যেকোনো বন্ধু মানে তোমরা যাদের কুকুর বল, যার থেকে , যেখান থেকে আমার ইচ্ছে, আমি সেখান থেকে আনন্দের রসদ সংগ্রহ করব, খুব করে লেজ ন।ড়ব আর ভী ষ ন আনন্দ করব।   হে হে, আনন্দে থাকার সন্ধান যখন পেয়েছি, আনন্দে তো তখন আমি থাকবই। 
মনটা দারুন ভালো হয়ে গেল আর প্রজাপতির মতো হালকা মনে , গান গাইতে গাইতে, প্রায় হাচিকোর্ মতই লাফাতে লাফাতে ল্যাব এ চলে এলাম। 

No comments:

ইচ্ছেনদী

আমার ল্যাব টা মাউন্ট sinai এর ১০ তলায়, আর আমার ওয়ার্কিং ডেস্কটা একদম জানালার ধারে , বিশাল জানালা। মনে হয় মেঘ গুলো এখুনি ঢুকে পড়বে এর মধ্যে। ...