আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলাম, ভিসন সুন্দর হওয়া দিছে।
সেই বহুদিনের পরিচিত শরত কালের শারদিয়া হাওয়া, সেই এক এ গন্ধ আকাশে বাতাসে। পুজো পুজো গন্ধ। মন খারাপ করা, মন কেমন করা এক গন্ধ।
মা এর কোলের কাছে শান্ত দুপুরে গল্পের বইয়ের পড়ার ইচ্ছে, বাবার গা ঘেঁষে গল্প শোনার অলীক ইচ্ছে।
আমাদের পুজো শুরু হত শারদিয়া আনন্দমেলা দিয়ে। আজ খুব ইচ্ছে করছে আবার আনন্দমেলা, শুকতারা , কিশোর ভারতী নিয়ে দিদির আর বাবার সঙ্গে টানাটানি করি, বা নতুন কে কোন গল্প পড়ল, তা নিয়ে আলোচনা করি। লাফিয়ে ঝাপিয়ে আহ্লাদিপনা করে, এই এত বড় বড় আলোচনা থেকে বেরিয়ে এসে, কোন gene কি কাজ করলো, বা কি প্রোটিন কি ভাবে কি করছে, কোন sir কে বা কোন mam কে কখন কি রিপোর্ট submit করতে হবে, এসব না ভেবে, এক দৌড়ে আমার সেই আদুরে শিউলি তলায় গিয়ে এক রাশ সাদা ফুল আর কমলা ডাটি তে যে অসম্ভব সুন্দর একটা কান্ড হচ্ছে, তার সাক্ষী হই।
জানি শিউলি এখন খুব একা হয়ে গ্যাছে, কিন্তু নিজের কাজ এ সে কখনো ভুল করেনা, কত বচর আগে, এক পড়ন্ত বেলায় দুটো ছোট মেয়ে হুরোহুরি করে তাকে এখানে এই কাজ দিয়েছিল, সামনে দাড়িয়ে তাদের বাবা আর মা তাদের কত বলছিল, পরের দিন লাগাতে, কিন্তু তাদের যে আর তর সইছিলনা , বাবা স্কুল থেকে ফেরার পথে নিয়ে এসেছে, আর কি অপেক্ষা করা যায় নাকি। সেই থেকে আজ ও কখনো সে নিজের কাজে ফাঁকি দেয়নি, আজ ও তার নিচেটা ফুলে সাদা হয়ে গ্যাছে, শুধু ভোরবেলা এখান আর কেউ এসে সেগুলো নিয়ে যায়না, কেউ তাকে ধরে ঝাকায়না। ও বাবা , ও দিদি, ও মা, দ্যাখো আমাকে শুওপোকা কামড়েছে, বলে চিত্কার করে বাড়ি মাথায় করেনা, তার মাকে আর কাউকে বলতে হয়না যে 'উফ আমার এই মেয়েটা চিরকালের ছিঁচকাদুনি ' , বাবাকে আর কান্না ভোলাতে কাউকে আদর করতে হয়না।
No comments:
Post a Comment