আজ মহালয়া। এই নামটা শুনলেই বুকের ভেতরটা যেন কেমন করে ওঠে।
ছোটো থেকে মহালয়া পালন হত ঠিক সেই ভোর চারটের সময় ওঠে রেডিও তে শোনা বিরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রো এর মহালয়া দিয়ে। বাবা, দিদি, মা, আমি সবাই মিলে একসাথে, ওদিকে দাদারাও উঠে পরত। আমরা চার ভাই বোনে একসাথে শিউলি ফুল কুড়োতাম। হৈচৈ, আনন্দ করে কখন মহালয়ার দিনটা কেটে যেত।
তিন বছর আগে থেকে পাল্টে গ্যাছে আমাদের কাছে এই দিনটা। আজ সেই সবাই মিলে একসাথে মহালয়া শোনার দিন ফেলে এসেছি, চাইলেও ফিরে যেতে পারবনা, বাবার সাথে বসে মহালয়া শুনতে আর কোনদিন ই পারবনা। এমনকি যে বাবাকে কতবার কতকিছু নিজে হাতে খেতে দিয়েছি, সেই বাবাকে আজ জল ও দিতে হয় অন্যভাবে, কেন, এমন হলো? কেউ বলবে কর্মফল। কিন্তু সত্যি কি তাই? আমি তো নিজে জানি, যে আমরা কোনদিন ই ভুল করিনি, আর আমার বাবা তো বাবা নয়, সে যে ভগবান, সত্যি ভগবানের অংশে না জন্মালে কেউ অত ভালো হাতে পারেনা। বাবার সাথে প্রতিটা দিন ই আমার কাছে অমৃত সমান। সেই নিস্বার্থ ত্যাগী অথচ অসীম করুনাময় মানুষের সংস্পর্শে ছিলাম বলেই হয়ত এখনো স্বার্থপরতা আমায় ছুঁতে পারেনি।
অর্নব আর আমি ঠিক করেছিলাম, একসাথে সকালে উঠে রেকর্ডেড মহালায়া ই শুনব।অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তাও হলনা। অর্নব ওখানে একা, আমি এখানে, মা সেদিকে একা, বাপি মামনি ও তো সন্তান দুরে থেকে সেই একাই, ভাই ও একা, দিদি ও তো নিজের কাছে সেই একাই , আর আমার বাবা , এখন কি করছ বাবা একা একা? সবাই মন খারাপ করে আছে। কবে আমাদের সবার এই একাকিত্ব, এই মনখারাপ দূর হবে? আমরা আবার সবাই একসাথে থাকব। জীবিকার জন্যে জীবন কে দুরে সরিয়ে রাখতে আর পারছিনা।
আজ তর্পণ করার দিন, সবাই যে ভাবে, যা করে, বাবা আমি তো তা কোনদিন ই পারছিনা, তুমি তো আমার বাবা, যেভাবে আমি তোমাকে জল দিতাম, সেভাবে দিচ্ছি , আমি জানি তুমি ও তাই চাও। বাবা আমি তোমাকে সেই আগের মতো হাতে করে খাওয়াতে চাই, খুব ইচ্ছে করছে। বাবা তুমি ভালো থেকো। আর আমায় তোমার পথে স্থির থাকতে সাহায্য করো বাবা। আমি চিরকাল তোমার হাত ধরে রাস্তা হেটেছি, এখনো তাই চলেচি । এভাবেই যেন চলতে পারি।
ছোটো থেকে মহালয়া পালন হত ঠিক সেই ভোর চারটের সময় ওঠে রেডিও তে শোনা বিরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রো এর মহালয়া দিয়ে। বাবা, দিদি, মা, আমি সবাই মিলে একসাথে, ওদিকে দাদারাও উঠে পরত। আমরা চার ভাই বোনে একসাথে শিউলি ফুল কুড়োতাম। হৈচৈ, আনন্দ করে কখন মহালয়ার দিনটা কেটে যেত।
তিন বছর আগে থেকে পাল্টে গ্যাছে আমাদের কাছে এই দিনটা। আজ সেই সবাই মিলে একসাথে মহালয়া শোনার দিন ফেলে এসেছি, চাইলেও ফিরে যেতে পারবনা, বাবার সাথে বসে মহালয়া শুনতে আর কোনদিন ই পারবনা। এমনকি যে বাবাকে কতবার কতকিছু নিজে হাতে খেতে দিয়েছি, সেই বাবাকে আজ জল ও দিতে হয় অন্যভাবে, কেন, এমন হলো? কেউ বলবে কর্মফল। কিন্তু সত্যি কি তাই? আমি তো নিজে জানি, যে আমরা কোনদিন ই ভুল করিনি, আর আমার বাবা তো বাবা নয়, সে যে ভগবান, সত্যি ভগবানের অংশে না জন্মালে কেউ অত ভালো হাতে পারেনা। বাবার সাথে প্রতিটা দিন ই আমার কাছে অমৃত সমান। সেই নিস্বার্থ ত্যাগী অথচ অসীম করুনাময় মানুষের সংস্পর্শে ছিলাম বলেই হয়ত এখনো স্বার্থপরতা আমায় ছুঁতে পারেনি।
অর্নব আর আমি ঠিক করেছিলাম, একসাথে সকালে উঠে রেকর্ডেড মহালায়া ই শুনব।অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তাও হলনা। অর্নব ওখানে একা, আমি এখানে, মা সেদিকে একা, বাপি মামনি ও তো সন্তান দুরে থেকে সেই একাই, ভাই ও একা, দিদি ও তো নিজের কাছে সেই একাই , আর আমার বাবা , এখন কি করছ বাবা একা একা? সবাই মন খারাপ করে আছে। কবে আমাদের সবার এই একাকিত্ব, এই মনখারাপ দূর হবে? আমরা আবার সবাই একসাথে থাকব। জীবিকার জন্যে জীবন কে দুরে সরিয়ে রাখতে আর পারছিনা।
আজ তর্পণ করার দিন, সবাই যে ভাবে, যা করে, বাবা আমি তো তা কোনদিন ই পারছিনা, তুমি তো আমার বাবা, যেভাবে আমি তোমাকে জল দিতাম, সেভাবে দিচ্ছি , আমি জানি তুমি ও তাই চাও। বাবা আমি তোমাকে সেই আগের মতো হাতে করে খাওয়াতে চাই, খুব ইচ্ছে করছে। বাবা তুমি ভালো থেকো। আর আমায় তোমার পথে স্থির থাকতে সাহায্য করো বাবা। আমি চিরকাল তোমার হাত ধরে রাস্তা হেটেছি, এখনো তাই চলেচি । এভাবেই যেন চলতে পারি।
No comments:
Post a Comment