Tuesday, 30 December 2014

ইতিহাসের টানে - আগ্রায়

অপ্রত্যাশিত ভাবে হটাত এই কিছুদিন আগে আমাদের দুই এডভেঞ্চার লোভী বন্ধুর কাছে এলো বেড়াতে যাবার আমন্ত্রণ। সঙ্গে সঙ্গে যা হয় আর কি, দুজনে তো এক পায়ে খাড়া। আমাদের মতো অভাগা দের কেও তাহলে কেউ বা কারা যেচে সঙ্গে নিতে চায়? মানে আমরা কিছু ভাবার আগেই "এই তোদের কে আমাদের সাথে যেতেই হবে" এসব ও আমাদের কে লোকে বলতে পারে, সেই সব বিস্ময় কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই বুক হয়ে গেল ট্রেন এর টিকেট। আর বুকের মধ্যে শুরু হয়ে গেল ইতিহাসকে ছুয়ে দেখতে পাবার উত্তেজনা। 
                                                                 delhi আগ্রা, জয়পুর বা তার চারপাশে মোগল, রাজপুতে দের ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা সেই অধ্যায় যা এখন ইতিহাস হয়ে ঘুমিয়ে আছে, তার আঘ্রাণ পাওয়ার সুযোগ যতবার ই পেয়েছি, সমস্ত মন দুলে উঠেছে। তাই নিজেদের চেনা schedule, ল্যাব এর কাজ, আরো হরেক রকম চিন্তাকে দূরে সরিয়ে দিয়ে, আগ্রা যাবার হাতছানিতে সাড়া না দিয়ে পারলামনা। আমার মা আর বাপি, মামনির সাপোর্ট পেয়ে, বারতিনেক  পড়া শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় এর "শাহাজাদা দারাশুকো " আরো একবার খুলে বসলাম (ইবুক) আর তারপর এক নির্দিষ্ট দিনে, ভোর ৫.৩০ টায় প্রচন্ড শীত এ ৬টা শীত বস্ত্র একসাথে চাপিয়ে ব্যাগ যখন খালি তখন তাতে মুড়ি চানাচুর ভরে নিয়ে হাঁচতে হাঁচতে এবং সঙ্গে কাশতে কাশতে ঘন কুয়াশাছন্ন রাস্তা দিয়ে প্রায় অন্ধের মতো গিয়ে পৌছে গেলাম নিজামুদ্দিন রেল স্টেশন এ। গিয়ে শুনলাম প্রচন্ড কুয়াশায় ট্রেন বাতিল হয়ে গ্যাছে, খবর টা সম্পর্কে নিশিন্ত হয়েই আর বিন্দু মাত্র সময় নষ্ট না করে আমরা পৌছে গেলাম সরাই কালে খান ISBT তে। একটু গিয়েই দেখলাম আগ্রা আগ্রা করতে করতে একটা প্রায় খালি সরকারি বাস যাচ্ছে, আর বেশি কিছু জিজ্ঞাসা বাদ এ সময় নষ্ট না করে ততক্ষনাত উঠে বসলাম তাতে। 
তারপরে সেই ইতিহাস বিজড়িত শহর এ পৌছানো আর সেখানকার  আকাশ বাতাস মাটিতে যে মহান যুগ আটকে আছে তাকে অনুভব করে আবার  এই  ইতিহাস জড়ানো শহরে ফিরে আসার এক মিষ্টি ভ্রমণ কাহিনী লিখতে খুব ইচ্ছে করছে। যার শুরুটা আজ হয়ে রইল, আশা করি সবটা খুব তাড়াতাড়ি ই লিখে ফেলবো।  

No comments:

ইচ্ছেনদী

আমার ল্যাব টা মাউন্ট sinai এর ১০ তলায়, আর আমার ওয়ার্কিং ডেস্কটা একদম জানালার ধারে , বিশাল জানালা। মনে হয় মেঘ গুলো এখুনি ঢুকে পড়বে এর মধ্যে। ...