Saturday, 28 March 2015

রচনা

নীরব , নিভৃত অলস মধ্যাহ্ন। বসন্তের মিষ্ট রৌদ্র, শয্যা তে আসিয়া পড়িয়াছে , বাহিরে ককিলের কুহু স্বর্গ লোকের আকাশ করেছে মুখরিত।  পারিজাতের মৃদু সুগন্ধ এ চারিদিক হইয়াছে আমোদিত।   
দেবরাজ ইন্দ্র তাঁর দ্বিপ্রহরীক আহার সাঙ্গ করিয়া সুখ শয্যায় আসিয়া আধ শোওয়া হইয়া , তাম্বুলদানী হইতে একটি তাম্বুল মুখে দিলেন। আর দেবী ইন্দ্রানী তখন আপনার সিক্ত কেশরাশি সযত্নে কপ্পুর দানীর উপর হইতে সরাইয়া ওনার পাশে আসিয়া আবদার করিলেন একটি গল্প বলার। 
                     দেবরাজ ইন্দ্র কহিলেন "দেবী , আজ তোমাকে মর্তবাসীর এক মজার গল্প বলিব শুন।" "না দেব, অনুরোধ করি, এখন এই বিশ্রাম এর সময় , এমন কিছু  বলিয়া ও শুনিয়া আমি আমাদের এই মুহূর্ত বিষন্ন করিতে চাহিনা, কারণ মর্তবাসীর গল্প মানেই তো অবিশ্বাস, দুঃখ , বেদনা, হানাহানি, খুনোখুনি, গালি ,সেখানে কোনো সম্পর্ক নেই, কেহ সম্পর্ক তৈরি করিতেও জানেনা, করিলেও রাখিতে পারেনা , উহাদের কথা আমি আর শুনিতে চাহিনা। কহিলেন দেবী। 
                       "না , না, দেবী , ইহা তোমার ভ্রম। যদিচ তুমি ঠিক ই কহিয়াছ বেশির ভাগ মানুষ্ ই উপরোক্ত গল্প এর ই চরিত্র হতেই প্রয়াসী ,  তবে অনেকে এমন  এখনো আছে, যারা সুন্দর পৃথিবী কে সুন্দর রাখিতে জানে আর তারা প্রতি নিয়ত রচনা করিয়া চলেছে এক সুন্দর রূপকথা।তাদের একান্ত আপনার অথচ কাউকে আঘাত না করা এক পুষ্প কোমল মন কে শত ঝঞ্ঝা তেও তারা ঠিক বাঁচিয়া রাখিতে পারিয়াছে। কিন্তু তাদের আশপাশ এর পাশবিক আঘাত? যা বারংবার তাদের দিকে ধেয়ে আসিয়াছে, আসিবেও হয়ত আবার ও, তাকে সুন্দর ভাবে সযত্নে পাশ কাটিয়া জানো ইহারা রচনা করিয়া চলিয়াছে এদের আপনার স্বর্গ। জানো দেবী, সে স্বর্গ ও কিন্তু কিছু কম নয় আপনার এই স্বর্গের অপ্পেক্ষা। আর জানো এই সুন্দরের পূজারীরা ও কিন্তু সংখ্যা লঘু নয়, শুধু এদের যুদ্ধ , এদের জয় , বড় নীরব , তাই তুমি শুধু ওই অসুন্দরের ধ্বজাধারী দের দেখিয়া মর্ত হইতে মুখ ফিরিয়া নিওনা প্রিয়ে , অসুন্দরের মধ্য হইতে আইস আমরা সুন্দর কে  লই।" 
দেবরাজ ইন্দ্র র ছলছল চক্ষুর দিকে চাহিয়া দেবী কাছে আসিয়া স্বামীর হস্ত আপনার হস্তে লইয়া কহিলেন " বলো। "


(চলবে )

Friday, 27 March 2015

I am the proud fool

আমি বোকা, আমি গর্দভ আর সত্যি ই তো চিরকাল ই বোকারা ভালবাসে, আঘাত পায়। সহজ কথা সহজ ভাবে চলা যদি ভুল হয় তো ভুল, কিন্তু তার কারণে আমি বাঁকা পথে হাঁটতে পারবনা, কি অদ্ভুত তাই না, আমি ভাবছিলাম আমার সাথে কেউ ভালো করে কথা বলল তারা বুঝি কাছের ভাবে, কিন্তু ভুল করেছিলাম। যে কথা আমি কোনদিন ই mean করিনি সে কথা যখন কেউ মানে প্রাণে বিশ্বাস করে, তবে সেখানে কিছু বলা বা বোঝানো যায়না, তবে আগে জানতে ইচ্ছে করত কেন এই বিদ্বেষ এই রাগ, এই ভুল্ বোঝা? জানাতেও ইচ্ছে করত যে কি খুশি হয়েছিলাম নিজের কথা বলতে পেরে, মানে হয়েছিল অনেক দিন পরে এক নির্ভেজাল বিজ্ঞান আলোচনা হলো, অসহায় হয়েই। গেছিলাম , কাঁদুনি গাইতে নয়। কিন্তু আর নয়, এ যেন শুধুই এক ভুলের ওপর আর এক ভুল। ভুলের রাশি। সব যদি সত্যি হয় সময় ই এর উত্তর দেবে। 

ছি:

আজ আমি নিন্দে করব। একদম প্রাণ খুলে প্রচুর নিন্দে। অনেক দিন অনেক কারোর 'শুধুই নিন্দে' কে অগ্রাহ্য করে এসেছি কিছুটা শুধুই অগ্রাহ্য করে, কিছুটা ভালবাসায়, কর্তব্য বোধে, কিছুটা বলুক, আমি তো জানি আমি কি ভাবি না ভাবি, মিথ্যেই যখন তখন কি হবে তাতে কান দিয়ে, আর কিছুটা এই কারণে যে অন্যের নিন্দে করে সময় নষ্ট করা মানে নিজেকে আরো আরো পাঁকে নামানো। কিন্তু আর সত্যি পারলামনা, পাঁকে আজ আমিও নামলাম।
এর আগে এমন ঘটনা আমার সঙ্গে হয়েছে যে যেখানে আমি সত্যি ই হয়ত শুধুই আমার মনের খারাপ লাগা, ভালোলাগা নিজের মত করে লিখতে গেছি আর তাতে লোকজন ঝাপিয়ে পরে বোঝাতে গ্যাছে যে তুমি আসলে নিন্দে করছ (যা আদতে নিন্দে ছিলনা ) এবং এটি প্রচন্ড গর্হিত কাজ , যাকে যার মতন থাকতে দেওয়া উচিত। অর্থাত কিনা বাক স্বাধীনতা বা লেখনী স্বাধীনতা শুধু আমার একার , আমি দিন রাত এক করে দিয়ে শুধুই লোকের নিন্দে করব। তোমার ও নিন্দে করব , কিন্তু তুমি কে হে , তুমি আমাদের পর্যালোচনা করতে আস , আমরা সব বড় বড় হনু, আমরা যা করব সেটাই ঠিক এবং সেটাই বিশ্বে প্রথম হলো, এরপর যে যে সেই এক ই কাজ করবে , সে আমাদের দেখে ঈর্ষান্বিত হয়েই করবে। নিজের ইচ্ছে বা শখ এ তো হাতেই পারেনা, কারণ ওই যে সমস্ত কিছু বোঝা, জানা , ভাবা, করা এসব আমার বা আমার সাথে যারা যুক্ত আছে তাদের, অধিকার। অন্য কেউ নৈব নৈব চ। ও ফটো তুলেছে ? নিশ্চই আমার দেখে? আমাকে টেক্কা দেবে বলে। ও প্রোফাইল picture চেঞ্জ করলো কেন এতদিন পরে , নিশ্চই কোনো কারণ আছে, ঠিক ধরেছি এটা তো আমাদের দেখে করা, দেখেছ হিংসে তে একদম জ্বলে পুড়ে গেছে। আরে ওরা উত্তরের ওই ওখানে বেড়াতে গেল, দাড়াও কেন গেছে জানি, আমাদের দেখে দেখে আবার কি? অর্থাত কিনা, তুমি ওদের কথা ভাব বা না ভাব , ওরা কিন্তু সাদা সর্বদা তোমার বা তোমাদের এবং আরো কত লোকের কথা ভেবে কাটাচ্ছে কে জানে। তুমি কিন্তু এ সম্পর্কে বিন্দু বিসর্গ জাননা, শুনলে, খারাপ লাগলো তারপর আবার ভুলে গিয়ে নিজের জীবনের মধ্যে মশগুল হয়ে গেলে, অথচ তাদের দুর্দশার কথা ভাব, মহানতা তাও দেখো একবার,দ্যাশের ও দশের কথা ভাবতে ভাবতে তো জীবন দুর্বিষহ। চব্বিশ ঘন্টা তো অন্য কে নিয়ে কাটাতে হচ্ছে, আবার ওপরে ওপরে একটা নির্লিপ্ততা , সাধু সাধু ভাব ও দেখাতে হচ্ছে, তারপর অন্যে তো সব সময় ওদের হিংসে করে তাই না, অত এব নিজেদের জীবনের অভিনবত্ব বজায় রেখে, কিকরে অন্য কে আরো আরো হিংসা দেওয়া যায়, তার চেষ্টা করতে হবে।
                           সত্যি আমি এমন লোক দেখেছি, যারা ঘোর সংকট এর মধ্যে একটি রোগগ্রস্ত জীবন কাটাচ্ছে। psychology তে এ রোগের কি নাম আছে আমি জানিনা, কারণ  এটি একটু বিরল রোগ, যে রোগ এর প্রধান লক্ষন হলো , এরা কারোর মধ্যে ভালো কিছুই খুঁজে পায়না, আর ঠিক যে জিনিস গুলো নিয়ে সব সময় এরা নিন্দে করে থাকেন, নিজেদের প্রাত্যহিক জীবনে এরা ঠিক সেই কাজ টি ই করে থাকেন। এরা আরো মনে করেন যে চারপাশের মানুষ্ জন  তো বটেই পারলে গোটা বিশ্বের লোক এঁদের জীবন যাত্রার দিকে উঁকি মারতে চায়, একদিকে এরা বলেন, এঁরা প্রকৃত শান্তির সন্ধান পেয়েছেন , আবার আর অন্যদিকে অন্যের এই উঁকি ঝুঁকি (ওদের assumption বা hypothesis অনুযায়ী ) তে ওনাদের সেই শান্তি এমন বিঘ্নিত হয়, যে মানুষ্ কে "ছোটলোক" আখ্যা দিতেও এদের কোথায় আটকায়না। এরা কি সত্যি কারের মানুষ্ ? নাকি নিজেদের অস্তিত্ব সংকটে ভুক্ত এক প্রাণী। যারা কিছুতেই জীবন কে সোজা পরিস্কার চোখে দেখতে পায়না, ভাবতে ই পারেনা যে মানুষ সত্যি ই মানুষের কাছে এমন ই কিছুক্ষণ দাড়াতে পারে, তার পেছনে কোনো মতলব না থাকাটাই স্বাভাবিক , প্রত্যেকের জীবনেই problem আছে, তোমার জীবনে কিছু সমস্যা নেই, ইশ শুধু আমার জীবনেই আছে, এসব না চিন্তা করেই সহজ ভাবেই সাহায্য নিতে বা করতে মানুষ্ ই তো পারে। কোন মোহের অন্ধকূপের মধ্যে ঘুরপাক খেতে খেতে শুধুই বিষোদগার করে চলেছে, আঘাত করে চলেছে, একের পর এক। 
আগে কষ্ট হত এই সব মানুষ্ গুলোকে দেখে, এখন করুণা হয়, এরা বোধহয় কখনই সুস্থ জীবন যাপন করতেই পারবেনা। বুঝতেই তো পারছেনা, সহজ সরল ব্যবহার এর অর্থ। ভালবাসা? সেত আরো অধরা , ভালোবাসা বোঝার মত বা ভালবাসার মত মন কি আর জীবিত রেখেছে এরা ? সবেতেই তো মানে খুজতে বসেছে , এদের কাজ কর্ম দেখে তো মনে হচ্ছে, শুধু অন্যে কি কাজ করে সেটা খোঁজা আর তার নিন্দে করা, এই পরম সৌভাগ্যের কাজ ই এদের জীবনের ব্রত। সত্যি জানেন , এমন লোক দেখেছি যারা ভাবেন তারা ছাড়া অন্য কেউ ই আর কিছু করতেই পারেনা, কারোর মন নেই, কোনো ইচ্ছা নেই, কিছুনা। অভূত লাগবে কিন্তু এমন সত্যি আছে, ধরুন আপনি কিছুদিন আগে পাহাড়ে ঘুরতে গ্যাছেন , ফটো লাগালেন কোনো পাবলিক ফোরাম এ, তার কিছুদিন পরে আপনার চেনা কেউ ও পাহাড়ে ঘুরতে গেল আর ফটো লাগালো , তখন কি আপনি ভাবতে বসবেন যে দেখেছ আমার দেখে দেখে ও হিংসে করে ঘুরতে গেছে আর ফটো লাগিয়েছে। অথচ এমন মানুস আছে জানেন, যারা ভাবে অন্যে যা কিছু করছে সব তাদের ই দেখে, কি অদ্ভুত না? হয়ত আপনি ওদের জীবন যাত্রা সম্পর্কে বিন্দু বিসর্গ খোঁজ খবর রাখেনা বা উত্সাহিত ও নয়, আপনার উদ্দেশ্য শুধুই একটি সহজ সম্পর্ক বজায় রাখা, কিন্তু সেখানেও অসুবিধা। আপনি যেভাবে ফটো লাগাবেন সেটা যদি কোনভাবে ওনার স্টাইল এর সাথে match করে যায়, অতএব লোকে ভাবতে বসবে যে নিশ্চই আমাকে কপি করেছে। একবার ও ভাবতে পারেনা যে কেন কপি করতে যাবে আমায় , আমি কি একাই এরকম ফটো তুললাম, নাকি, ফুল গাছ পাথর, পাহাড় এসব কি আমার একার ই আছে নাকি, ফটোশপ এ একটু আধটু ফটো কে এদিক ওদিক করার ক্ষমতা আমার একার ই। আমি ই ফটো প্রথম সাদা কালো করলাম , আমি ই প্রথম ছবি আঁকলাম , আমি ই প্রথম লেখক , আমি ই প্রথম গায়ক , আমি ই প্রথম সব কিছু। 
                            এসব কি? সত্যি ই কি এরা অসুস্থ ? সাংঘাতিক ব্যাধি আক্রান্ত ?
জানেন আমি এমন লোক দেখেছি যাদের কে "ওরে আমাকে একটু খাওয়াবি "? এরকম ভাবে বলার পরে ও  তারা শুধু ভাবতে পারে যে বাড়িতে না ডেকে , একটু রান্না করে নিয়ে এসে দেবে, যদিও হয়ে ওঠেনা তা, অথচ সেই এক ই লোক কে অন্য কেউ নিমন্ত্রণ করে যদি অন্য আর নিমন্ত্রিত দের খেতে দিয়ে দেয় , তাদের খিদে পেয়েছে বলে এবং খেতে বসেও নিজে তার মায়ের সাথে না খেয়ে অপেক্ষা করে, তবে সেই তারাই তাকে এমন ভাসায় কথা বলে, যা একজন কোনো শিক্ষিত লোক বলতে পারেনা, এতে তারা শুধু তাদের নয়, সেই শিক্ষার অপমান করলো। 

হটাত কিছুদিন ধরে facebook নিয়ে প্রচন্ড কথা হচ্ছে, এবং অন্যের  facebook ব্যবহার নিয়ে যে কেউ বা কারা এত ভাবতে পারে তা, facebook নিয়ে বেশ কিছুদিন আগে আমার এক অপরিচিত লেখিকার লেখা না পরলে জানতেই পারতামনা। লেখাটি শুধুই হাস্যকর নয়, তার ভেতর প্রধান বিষয় বস্তু থেকে এটাই বোঝা গেল যে লেখিকা facebook বলতে শুধুই বোঝেন স্টেটাস আপডেট দেওয়া বা না দেওয়া, আর তার জন্যে তিনি বসে বসে সবার activity লক্ষ্য করেছেন, এবং যথারীতি সব ই তার কাছে নিন্দনীয় লেগেছে।  অথচ facebook প্রথম কেন আসে বা কোন দরকার থেকে এ প্রথম শুরু হলো ,  বা কে এটি বানিয়েছিলেন সে সম্পর্কে ওনার বিন্দুমাত্র মাথা ব্যথা নেই। google তো আছে , আবার কাউকে 'আমরা কত বড়' বোঝানোর সময় google খুলে দেখে নিলেই তো হলো। আমি এই বিষয় টি নিয়ে প্রাণ খুলে জোর গলায় নিন্দে করতে এই জন্যেই পারি যে facebook অনেক অন্য কাজে লাগানো যায় , আমি নিজেই facebook এর মাধ্যমে স্যাম্পল কালেকশন করি। আর লোকেরা কে কি ভাবছে, কে কেন কি ভেবে কিছু লিখছে বা লিখছেনা, আমি কি সেই অন্তর্যামী হয়ে গেছি যে আমি তা বলব। আমি এতই বড় হয়ে গেছি, এতই মহান হয়ে গেছি , যে এ সম্পর্কে অনায়াসে আমি মন্তব্য করতে পারি ? লোককে , তার চিন্তা ভাবনা, কাজকে বিচার করার মত যোগ্যতা কি আমার আছে? আমি যা করি সব ই কি ঠিক? আমি অন্যেকে নিন্দে করছি? আমার এই শুধুই নিন্দের একটিভিটি কি ক্রমশ আমাকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছেনা? বা আমি কি আদৌ কি তা ঠিক করলাম, অন্যের activity র ভুল ব্যাখ্যা করলামনা তো আমি , হয়ত একদিন যে লোকগুলো আমার কাছে ভালবাসার ঝাপি খুলে নিয়ে বসেছিল, ডালা সাজিয়ে দিয়েছিল শ্রদ্ধার , তা আমি সজোরে পায়ে করে সরিয়ে দিলামনা তো? শুধুই নিজের মনের অন্ধকার, insecurity আর egoistic problem এ ভুগে, আমার নিজের জায়গাটা নামিয়ে দিলাম্ নত? আমার এখন দরকার নেই বাইরের লোকের ভালবাসা হয়ত, কিন্তু যে মহা সত্যের কথা আমি বলি, বুঝি বলে ভাবি, তার অপমান করে ফেললাম নত? এত বই, এত কিছু সব নিষ্ফল, স্বাধারণ ঘর সাজানোর সামগ্রী হয়ে গেলনা তো ? কিজানি শুধুই নিন্দার হাত ধরে আমি কি পরম সত্য খুঁজে পাব?



Wednesday, 25 March 2015

চারটি বছর ধরে

দেখতে দেখতে চার বছর হতে চললো 
তোমাকে দেখিনি।
সামনে থেকে

দূর থেকে তো তোমাকে রোজ ই দেখি
ওই যে তুমি ওই ওখানে আছ.......
দেখছ তোমার আদরের অভিমানিনী খেয়েছে কিনা,
ঠিক মতো ঘুম হয়েছে কাল রাতে?
চোখের তলায় কি দাগ ওটা?
দেখেছ কালি পড়েছে ঠিক ....
রাত জাগতে হচ্ছে কি ওকে?
বড্ড বেশি কাজের চাপ?
আহ , দুধ, ডিম টা খাচ্ছে তো ঠিক ঠাক
নজর দেবার সেরকম তো কেউ নেই
দুজনেই যে ছেলেমানুষ বড়ই। .....
মন মেজাজ ভালো আছে তো ওদের
দুঃখ যেন কক্ষনো না পায়
আহ, মেয়েটা আমার এমন ছেলেমানুষ, একটুতেই বড্ড কেঁদে ভাসায়
দাঁড়া এমন একটা গল্প বলব না, মন খারাপ? দেখ কেমন হয় উধাও। .......
এই লেখাটা আলাদা করে রাখি, দেখা হলে বলতে হবে ওকে,
কোন ল্যাব টার কথা বেশ বলছিল ও...... আজ একটা পেপার বের হলনা। ...
কত কি যে বলার আছে ওদের দেখা হলে শেষ ই হবেনা। ....
..........

তোমার মেয়ে হয়েছে অনেক বড়
দুধ ডিম সব ঠিক মতন খায়
কাজের চাপে যখন একা থাকতে হয়,
তখনো সে সময় মতো খায়.....
ঠিক মতো ঘুমিয়েছি আমি
দেখ একটুও নেই চোখের তলায় কালি
সবার সামনে মোটেও কাঁদিনা আমি,
সে যে আমার নিভৃত গীতাঞ্জলি
বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরে নিয়ে,
মন খারাপ এ আর গল্প বলবে কে....
লড়াই করতে দেখেছি তোমায় আমি
হাসপাতাল এর লোহার বেড এ শুয়ে।
আজ থেকে প্রায় চার টি বছর আগে। ...

বড় হবার সুযোগ দিয়ে গেলে
আরো বড় হতে বলে গেলে
যে হাত শুধু তোমার হাত চিনত
সেই দুহাতে আরো চার হাত দিয়ে গেলে
এত বড় দায়িত্ব কেন দিলে, সে প্রশ্ন আর করিনা আমি
শুধু বলি, তোমার কথা বুঝতে পেরে আমি
আবার তৈরি করছি পায়ের নিচের ভূমি
সব সময় হাসি মুখে থাকি, যেমন ঠিক চাইতে আমায় তুমি
আরো দুজনের মুখের দিকে চেয়ে
বাঁচছি আবার , বাঁচার মতো করে। .....
আজ এই চারটি বছর ধরে

আজ এই চারটে বছর ধরে
তোমার মেয়ে জেনেছে অনেক কিছু
বুঝেছে তার ও বেশি
তাই এখন সে আর যখন তখন কাঁদেনা,
কান্না তার থাকবে জমা করা। .....
দেখা হলে থামাতে হবে তোমায়
অনেক অনেক গল্প মনে রেখো তাই
নইলে কিন্তু মোটেও সে থামবেনা। .......
আমার কাছেও আছে অনেক কিছু
জমা করা রইল রইল সে সব এখান 
থাকবে প্রতিদিনের সকল অভিজ্ঞতা
নতুন নতুন গল্প আর অনেক অনেক কথা
.............

তোমার মেয়ে তোমায় বুঝতে পেরেছে
পেয়েছে তোমায় আরো অনেক কাছে
অনেক অনেক গল্প জমা রইল
একবার যাই, দেখি থামাও তুমি কিসে।....
এবার তো আর একা আমি নয়
ভালবাসার আর এক ভাগীদার যে আছে
ভাগ দিতে আমি রাজি যদিও নই
কিন্তু জানো, নাছোর বান্দা যে সে ,
 তাই
থাক সাথে ও সে। ......


তোমাকে ছেড়ে সেই আশাতেই আছি,
জানি তুমি আছ আমার কাছে
রাস্তা ভুল করলে
হাত ধরে ঠিক পথ দেখিও
এবার তবে ঘুম এর দেশে যাই
সেখানে তো আর কোনো বাধা নেই
সেদেশে আমার সক্কল কে চাই।
ঘুমের মধ্যে চাদর পরে গেলে
জানি তুমি ঠিক করে দেবে এসে
হাত থেকে বই টা তুলে রেখে
ল্যাপটপ টা বন্ধ করে দেবে।

এবার তবে 'টাটা হাম চকাস '
ভুবন ভুলিয়ে হাসো বাবা, একবার।
ভালো থেক সব সময়...........
মন খারাপ আমার একটুও নেই আর।
দেখো আমি হাসছি কেমন করে,
কথা দিলাম, হাসব আমি এভাবেই সব সময়
আমার হাসিতে আর যে দুজন হাসে
তাদের হাসি বন্ধ হবেনা না কখনো।
ভালো করে থেকো তুমি বাবা ,
নিও শরীরের যত্ন।






  

ইচ্ছেনদী

আমার ল্যাব টা মাউন্ট sinai এর ১০ তলায়, আর আমার ওয়ার্কিং ডেস্কটা একদম জানালার ধারে , বিশাল জানালা। মনে হয় মেঘ গুলো এখুনি ঢুকে পড়বে এর মধ্যে। ...