Friday, 12 July 2019

বেহিসেবি সময় কখনো কখনো হিসেবি হয়ে ওঠে খুব। বিকেলবেলার পড়ন্ত রোদ টা যখন কাঁচের জানলা দিয়ে উঁকি মেরে যায়, আর মন না বসা মন কিছুতেই আর work desk এ বসে না থেকে আকণ্ঠ ডুবদিতে চায় পাশের সবুজ টাতে। ঠিক তখন আনমনে হাত হটাৎ না বলা মোবাইল তুলে নেয়। একসময় কথা ফুরোতোইনা। হোয়াটস্যাপ, এমনি msg , ঘন্টার পর ঘন্টা ফোন কল। তারপরেও মনে হতো কিছুই তো বলা হলোনা। যেন মনে হতো জন্ম জন্মান্তর ধরে জমে আছে কত না বলা কথা। তারপর হটাৎ করে বেহিসেবি সময় চোখে চশমা লাগিয়ে হিসেবের খাতা খুলে বসে। পাওয়া না পাওয়ার নিক্তি তে বিচার হয় সম্পর্ক। যত্নে লাগানো ফুলগাছ গুলোর মাঝখান গুলোতে হটাৎ একরাশ শূন্যস্থান। একসময় সেই শূন্যস্থান ভরাতে যত্ন নিতো ফুলের পাপড়ি, প্রজাপতির পাখারা। আজ সেখানে হটাৎ জন্মে যায় আগাছা। একেবারে ভর্তি হয়ে যায়। অঘ্রানের শিশির টুপটুপিয়ে পড়তে গিয়েও থমকে দাঁড়ায়, ও এখানে তাহলে আগাছার ই থাকার কথা ছিল। 
বাতাস ও বইতে গিয়েও ইতস্তত করে। যাবো কি যাবোনা। হটাৎ সবকিছুর মধ্যে থেকে সহজাত spontaneity নিয়েছে বিদায়।  বেহিসেবি মন ভয় পায়। আপন নিয়মে চলার গতি থমকে যায়। হিসেবের পাতায় মাপা হতে থাকে দিন রাত্রির কমা বাড়া। আদুরে রাত্রি হটাৎ মুখ লুকিয়ে ফুঁপিয়ে ওঠে। বাধাহীন পথ ও আর অনন্ত হয়না, একটু এদিক থেকে ওদিকে গেলেই নেভিগেটর লেডি ও যান্ত্রিক গলায় বলে ওঠে, u have to take the right turn or ১০ mins to reach ur destination . বেহিসেবি পথ হিসেবি হয়েছে। 

No comments:

ইচ্ছেনদী

আমার ল্যাব টা মাউন্ট sinai এর ১০ তলায়, আর আমার ওয়ার্কিং ডেস্কটা একদম জানালার ধারে , বিশাল জানালা। মনে হয় মেঘ গুলো এখুনি ঢুকে পড়বে এর মধ্যে। ...