রবীন্দ্রনাথ কে আমি মনে করি, মনে করি, একান্ত নিজের স্বার্থে। যখন ই মনে হয় কেমন দম বন্ধ হয়ে আসছে, বা বিভিন্ন অপ সংস্কৃতির হাত থেকে মন চাইছে একটু সুগন্ধি চিত্ত স্নান , তখন ই মনে হয় স্নান করি ওই গীতবিতান এর পাতায়। নিজের অশান্ত মন কে শান্ত করার জন্যে মনে করি। মনে করি তাতে লাগাম দেবার জন্যে।
হয়তো তাই জন্যেই কখনো কখনো যখন মন সত্যি ই লাগাম ছাড়া হতে চেয়েছে, চেয়েছে সমস্ত ঠিক ভুল এর চিন্তা বিসর্জন দিয়ে আত্ম সম্পর্পন, তখন ও ওই ভালোলাগার গভীর সুপ্তি থেকে নিজেকে বেদনার্ত জায়গায় উত্থিত করে আনতে পেরেছি।
জানিনা, এই জীবন আমাকে কিভাবে কি দেবে, কি এর মানে, কি এর পথ, তবুও সন্ধ্যে পেরিয়ে রাত্রির আলিঙ্গনে আমাদের দিন যখন খুঁজছে নিজের আশ্রয়, করছে সমস্ত দিনের হিসেব , এমন সময়ে , এই চন্দন এর গন্ধে আমাদের ওখানের দখিনা হাওয়ার মতো এলোমেলো হাওয়াতে আমার মন হয়ে চলেছে উদ্বেল। তখন আবার আমি নিজেকে খুঁজলাম ওই রবীন্দ্র সৃষ্টির মাঝে। আজ অনেক দিন পরে লিখতে বসলাম কিছু। সৃষ্টির আনন্দে স্রষ্টার যে আনন্দ, সে আনন্দ অসীম, অক্ষয়। সে যা কিছুই সৃষ্টি হোকনা কেন। যত তুচ্ছ, যত মহৎ ই হোকনা কেন, তবু সে ভীষণ নিজের। আপন মহিমায় মহিমান্বিত। আমরা এক খুব অন্যরকম সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছি, পাওয়া না পাওয়া, চাওয়া , ইচ্ছে, এই সমস্ত শব্দ এখন কিরকম যেন থমকে গিয়ে অপেক্ষার মোড়কে নিজেদের বন্দি করেছে। মাঝেমাঝে কেমন যেন ক্লান্ত লাগে, মনে হয়, থাক , আর কিছু ভাববোনা। সমস্ত পৃথিবীর মতন আমিও নিজেকে সকল ভাবনা থেকে বিরাম দি। এমনিতেই সব কিছু কত ভঙ্গুর , কত ক্ষণস্থায়ী, কালকে যা ছিল, আজ তা নেই। কালকের ইমোশন আজ হয়তো অর্থহীন। আবার আজকের অর্থহীনতা আগামী দিনে হয়তো অর্থ পূর্ণ হয়ে সামনে এসে দাঁড়াবে, হতেই পারে। আমি যখন আমার সব থেকে কাছের মানুষ, আমার বাবাকে হারালাম, আর তারপরেও জীবন থিম গেলোনা, তখন ই বুঝেছিলাম জীবন তার নিজস্ব গতিতে চলে। এ মহা বিশ্বের কোনো কিছুতেই কোনো কিছু হয়না। কারোর বিহনে কিছু থেমে যায়না। সেটাই সত্যি।
আমাদের কাজ হলো, জীবনের ওই গতিটাকে ধরতে পারা। তাকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলা। প্রতিটা দিন কিছু বলতে চায়, প্রতিটা দিনের নিজস্ব কিছু বার্তা থাকে, সেই বার্তা কে বুঝে নিয়ে এগিয়ে চলা। আর আজকের যা কিছু তাকে গ্রহণ করে আগামীর জন্যে নিজেকে প্রস্তুত করা। হে ঠাকুর আমাকে শক্তি দিও, আমি যেন সেই নক্ষত্রের পথ অবলম্বন করে চির শান্তির পথে নিজের লক্ষে স্থির থেকে এগিয়ে যেতে পারি। আমার সঙ্গে থেকো। বেদনা যেন আমার আনন্দ কে আবৃত না করে ফেলতে পারে। আর আমার আনন্দ যেন পার্থিব আর বস্তুত হয়ে গিয়ে নিজেকে গন্ডি তে আবদ্ধ না করে ফেলে। তা যেন আকাশের মতো উদার হয়, আর এই সকল সৃষ্টি রস এ নিমজ্জিত থাকে।
হয়তো তাই জন্যেই কখনো কখনো যখন মন সত্যি ই লাগাম ছাড়া হতে চেয়েছে, চেয়েছে সমস্ত ঠিক ভুল এর চিন্তা বিসর্জন দিয়ে আত্ম সম্পর্পন, তখন ও ওই ভালোলাগার গভীর সুপ্তি থেকে নিজেকে বেদনার্ত জায়গায় উত্থিত করে আনতে পেরেছি।
জানিনা, এই জীবন আমাকে কিভাবে কি দেবে, কি এর মানে, কি এর পথ, তবুও সন্ধ্যে পেরিয়ে রাত্রির আলিঙ্গনে আমাদের দিন যখন খুঁজছে নিজের আশ্রয়, করছে সমস্ত দিনের হিসেব , এমন সময়ে , এই চন্দন এর গন্ধে আমাদের ওখানের দখিনা হাওয়ার মতো এলোমেলো হাওয়াতে আমার মন হয়ে চলেছে উদ্বেল। তখন আবার আমি নিজেকে খুঁজলাম ওই রবীন্দ্র সৃষ্টির মাঝে। আজ অনেক দিন পরে লিখতে বসলাম কিছু। সৃষ্টির আনন্দে স্রষ্টার যে আনন্দ, সে আনন্দ অসীম, অক্ষয়। সে যা কিছুই সৃষ্টি হোকনা কেন। যত তুচ্ছ, যত মহৎ ই হোকনা কেন, তবু সে ভীষণ নিজের। আপন মহিমায় মহিমান্বিত। আমরা এক খুব অন্যরকম সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছি, পাওয়া না পাওয়া, চাওয়া , ইচ্ছে, এই সমস্ত শব্দ এখন কিরকম যেন থমকে গিয়ে অপেক্ষার মোড়কে নিজেদের বন্দি করেছে। মাঝেমাঝে কেমন যেন ক্লান্ত লাগে, মনে হয়, থাক , আর কিছু ভাববোনা। সমস্ত পৃথিবীর মতন আমিও নিজেকে সকল ভাবনা থেকে বিরাম দি। এমনিতেই সব কিছু কত ভঙ্গুর , কত ক্ষণস্থায়ী, কালকে যা ছিল, আজ তা নেই। কালকের ইমোশন আজ হয়তো অর্থহীন। আবার আজকের অর্থহীনতা আগামী দিনে হয়তো অর্থ পূর্ণ হয়ে সামনে এসে দাঁড়াবে, হতেই পারে। আমি যখন আমার সব থেকে কাছের মানুষ, আমার বাবাকে হারালাম, আর তারপরেও জীবন থিম গেলোনা, তখন ই বুঝেছিলাম জীবন তার নিজস্ব গতিতে চলে। এ মহা বিশ্বের কোনো কিছুতেই কোনো কিছু হয়না। কারোর বিহনে কিছু থেমে যায়না। সেটাই সত্যি।
আমাদের কাজ হলো, জীবনের ওই গতিটাকে ধরতে পারা। তাকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলা। প্রতিটা দিন কিছু বলতে চায়, প্রতিটা দিনের নিজস্ব কিছু বার্তা থাকে, সেই বার্তা কে বুঝে নিয়ে এগিয়ে চলা। আর আজকের যা কিছু তাকে গ্রহণ করে আগামীর জন্যে নিজেকে প্রস্তুত করা। হে ঠাকুর আমাকে শক্তি দিও, আমি যেন সেই নক্ষত্রের পথ অবলম্বন করে চির শান্তির পথে নিজের লক্ষে স্থির থেকে এগিয়ে যেতে পারি। আমার সঙ্গে থেকো। বেদনা যেন আমার আনন্দ কে আবৃত না করে ফেলতে পারে। আর আমার আনন্দ যেন পার্থিব আর বস্তুত হয়ে গিয়ে নিজেকে গন্ডি তে আবদ্ধ না করে ফেলে। তা যেন আকাশের মতো উদার হয়, আর এই সকল সৃষ্টি রস এ নিমজ্জিত থাকে।
"তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূরে আমি ধাই
কোথাও দুঃখ, কোথাও মৃত্যু, কোথা বিচ্ছেদ নাই
তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূরে আমি ধাই
কোথাও দুঃখ, কোথাও মৃত্যু, কোথা বিচ্ছেদ নাই
তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূরে আমি ধাই
মৃত্যু সে ধরে মৃত্যুর রূপ, দুঃখ হয় হে দুঃখের কূপ
তোমা হতে যবে হইয়ে বিমুখ আপনার পানে চাই
তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূরে আমি ধাই
তোমা হতে যবে হইয়ে বিমুখ আপনার পানে চাই
তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূরে আমি ধাই
হে পূর্ণ, তব চরণের কাছে যাহা-কিছু সব আছে, আছে, আছে
নাই নাই ভয়, সে শুধু আমারই, নিশিদিন কাঁদি তাই
অন্তরগ্লানি, সংসারভার, পলক ফেলিতে কোথা একাকার
জীবনের মাঝে স্বরূপ তোমার রাখিবারে যদি পাই
তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূরে আমি ধাই
তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূরে আমি ধাই"
নাই নাই ভয়, সে শুধু আমারই, নিশিদিন কাঁদি তাই
অন্তরগ্লানি, সংসারভার, পলক ফেলিতে কোথা একাকার
জীবনের মাঝে স্বরূপ তোমার রাখিবারে যদি পাই
তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূরে আমি ধাই
তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূরে আমি ধাই"
No comments:
Post a Comment