Tuesday, 30 December 2014

ইতিহাসের টানে - আগ্রায়

অপ্রত্যাশিত ভাবে হটাত এই কিছুদিন আগে আমাদের দুই এডভেঞ্চার লোভী বন্ধুর কাছে এলো বেড়াতে যাবার আমন্ত্রণ। সঙ্গে সঙ্গে যা হয় আর কি, দুজনে তো এক পায়ে খাড়া। আমাদের মতো অভাগা দের কেও তাহলে কেউ বা কারা যেচে সঙ্গে নিতে চায়? মানে আমরা কিছু ভাবার আগেই "এই তোদের কে আমাদের সাথে যেতেই হবে" এসব ও আমাদের কে লোকে বলতে পারে, সেই সব বিস্ময় কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই বুক হয়ে গেল ট্রেন এর টিকেট। আর বুকের মধ্যে শুরু হয়ে গেল ইতিহাসকে ছুয়ে দেখতে পাবার উত্তেজনা। 
                                                                 delhi আগ্রা, জয়পুর বা তার চারপাশে মোগল, রাজপুতে দের ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা সেই অধ্যায় যা এখন ইতিহাস হয়ে ঘুমিয়ে আছে, তার আঘ্রাণ পাওয়ার সুযোগ যতবার ই পেয়েছি, সমস্ত মন দুলে উঠেছে। তাই নিজেদের চেনা schedule, ল্যাব এর কাজ, আরো হরেক রকম চিন্তাকে দূরে সরিয়ে দিয়ে, আগ্রা যাবার হাতছানিতে সাড়া না দিয়ে পারলামনা। আমার মা আর বাপি, মামনির সাপোর্ট পেয়ে, বারতিনেক  পড়া শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় এর "শাহাজাদা দারাশুকো " আরো একবার খুলে বসলাম (ইবুক) আর তারপর এক নির্দিষ্ট দিনে, ভোর ৫.৩০ টায় প্রচন্ড শীত এ ৬টা শীত বস্ত্র একসাথে চাপিয়ে ব্যাগ যখন খালি তখন তাতে মুড়ি চানাচুর ভরে নিয়ে হাঁচতে হাঁচতে এবং সঙ্গে কাশতে কাশতে ঘন কুয়াশাছন্ন রাস্তা দিয়ে প্রায় অন্ধের মতো গিয়ে পৌছে গেলাম নিজামুদ্দিন রেল স্টেশন এ। গিয়ে শুনলাম প্রচন্ড কুয়াশায় ট্রেন বাতিল হয়ে গ্যাছে, খবর টা সম্পর্কে নিশিন্ত হয়েই আর বিন্দু মাত্র সময় নষ্ট না করে আমরা পৌছে গেলাম সরাই কালে খান ISBT তে। একটু গিয়েই দেখলাম আগ্রা আগ্রা করতে করতে একটা প্রায় খালি সরকারি বাস যাচ্ছে, আর বেশি কিছু জিজ্ঞাসা বাদ এ সময় নষ্ট না করে ততক্ষনাত উঠে বসলাম তাতে। 
তারপরে সেই ইতিহাস বিজড়িত শহর এ পৌছানো আর সেখানকার  আকাশ বাতাস মাটিতে যে মহান যুগ আটকে আছে তাকে অনুভব করে আবার  এই  ইতিহাস জড়ানো শহরে ফিরে আসার এক মিষ্টি ভ্রমণ কাহিনী লিখতে খুব ইচ্ছে করছে। যার শুরুটা আজ হয়ে রইল, আশা করি সবটা খুব তাড়াতাড়ি ই লিখে ফেলবো।  

Tuesday, 23 September 2014

আজ

আজ মহালয়া। এই নামটা শুনলেই বুকের ভেতরটা যেন কেমন করে ওঠে।
               ছোটো থেকে মহালয়া পালন হত ঠিক সেই ভোর চারটের সময় ওঠে রেডিও তে শোনা  বিরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রো এর মহালয়া দিয়ে। বাবা, দিদি, মা, আমি সবাই মিলে একসাথে, ওদিকে দাদারাও উঠে পরত।  আমরা চার ভাই বোনে একসাথে শিউলি ফুল কুড়োতাম। হৈচৈ, আনন্দ করে কখন মহালয়ার দিনটা কেটে যেত।

তিন বছর আগে থেকে পাল্টে গ্যাছে আমাদের কাছে এই দিনটা। আজ সেই সবাই মিলে একসাথে মহালয়া শোনার দিন ফেলে এসেছি, চাইলেও ফিরে যেতে পারবনা, বাবার সাথে বসে মহালয়া শুনতে আর কোনদিন ই পারবনা। এমনকি যে বাবাকে কতবার কতকিছু নিজে হাতে খেতে দিয়েছি, সেই বাবাকে আজ জল ও দিতে হয় অন্যভাবে, কেন, এমন হলো? কেউ বলবে কর্মফল। কিন্তু সত্যি কি তাই? আমি তো নিজে জানি, যে আমরা কোনদিন ই  ভুল করিনি, আর আমার বাবা তো বাবা নয়, সে যে ভগবান, সত্যি ভগবানের অংশে না জন্মালে কেউ অত ভালো হাতে পারেনা।  বাবার সাথে প্রতিটা দিন ই আমার কাছে অমৃত সমান। সেই নিস্বার্থ ত্যাগী অথচ অসীম করুনাময় মানুষের  সংস্পর্শে ছিলাম বলেই হয়ত এখনো স্বার্থপরতা আমায় ছুঁতে পারেনি।

                      অর্নব আর আমি ঠিক করেছিলাম, একসাথে সকালে উঠে রেকর্ডেড মহালায়া ই শুনব।অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তাও হলনা। অর্নব ওখানে একা, আমি এখানে, মা সেদিকে একা, বাপি মামনি ও তো সন্তান দুরে থেকে সেই একাই, ভাই ও একা, দিদি ও তো নিজের কাছে সেই একাই , আর আমার বাবা , এখন কি করছ  বাবা একা একা?  সবাই মন খারাপ করে আছে। কবে আমাদের সবার এই একাকিত্ব, এই মনখারাপ দূর হবে? আমরা আবার সবাই একসাথে থাকব। জীবিকার জন্যে জীবন কে দুরে সরিয়ে রাখতে আর পারছিনা।

আজ তর্পণ করার দিন, সবাই যে ভাবে, যা করে, বাবা আমি তো তা কোনদিন ই পারছিনা, তুমি তো আমার বাবা, যেভাবে আমি তোমাকে জল দিতাম, সেভাবে দিচ্ছি , আমি জানি তুমি ও তাই চাও। বাবা আমি তোমাকে সেই আগের মতো হাতে করে খাওয়াতে চাই, খুব ইচ্ছে করছে। বাবা তুমি ভালো থেকো।  আর আমায় তোমার পথে স্থির থাকতে সাহায্য করো বাবা। আমি চিরকাল তোমার হাত ধরে রাস্তা হেটেছি, এখনো তাই চলেচি । এভাবেই যেন চলতে পারি।


Friday, 19 September 2014

ইচ্ছে

আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলাম, ভিসন সুন্দর হওয়া দিছে। 
                                  সেই বহুদিনের পরিচিত শরত কালের শারদিয়া হাওয়া, সেই এক এ গন্ধ আকাশে বাতাসে। পুজো পুজো গন্ধ। মন খারাপ করা, মন  কেমন করা এক গন্ধ।
                         মা এর কোলের কাছে শান্ত দুপুরে গল্পের বইয়ের পড়ার ইচ্ছে, বাবার গা ঘেঁষে গল্প শোনার অলীক ইচ্ছে। 
আমাদের পুজো শুরু হত শারদিয়া আনন্দমেলা দিয়ে। আজ খুব ইচ্ছে করছে আবার আনন্দমেলা, শুকতারা , কিশোর ভারতী নিয়ে দিদির আর বাবার সঙ্গে টানাটানি করি, বা নতুন কে কোন গল্প পড়ল, তা নিয়ে আলোচনা করি। লাফিয়ে ঝাপিয়ে আহ্লাদিপনা করে, এই এত বড় বড় আলোচনা থেকে বেরিয়ে এসে, কোন gene কি কাজ করলো, বা কি প্রোটিন কি ভাবে কি করছে, কোন sir কে বা কোন mam কে কখন কি রিপোর্ট submit করতে হবে, এসব না ভেবে, এক দৌড়ে আমার সেই আদুরে শিউলি তলায় গিয়ে এক রাশ সাদা ফুল আর কমলা ডাটি তে যে অসম্ভব সুন্দর একটা কান্ড হচ্ছে, তার সাক্ষী হই। 
                      জানি শিউলি এখন খুব একা হয়ে গ্যাছে, কিন্তু নিজের কাজ এ সে কখনো ভুল করেনা, কত বচর আগে, এক পড়ন্ত বেলায় দুটো ছোট মেয়ে হুরোহুরি করে তাকে এখানে এই কাজ দিয়েছিল, সামনে দাড়িয়ে তাদের বাবা আর মা তাদের কত বলছিল, পরের দিন লাগাতে, কিন্তু তাদের যে আর তর সইছিলনা , বাবা স্কুল থেকে ফেরার পথে নিয়ে এসেছে, আর কি অপেক্ষা করা যায় নাকি। সেই থেকে আজ ও কখনো সে নিজের কাজে ফাঁকি দেয়নি, আজ ও তার নিচেটা ফুলে সাদা হয়ে গ্যাছে, শুধু ভোরবেলা এখান আর কেউ এসে সেগুলো নিয়ে যায়না, কেউ তাকে ধরে ঝাকায়না। ও বাবা , ও দিদি, ও মা, দ্যাখো আমাকে শুওপোকা কামড়েছে, বলে চিত্কার করে বাড়ি মাথায় করেনা, তার মাকে আর কাউকে বলতে হয়না যে  'উফ আমার এই মেয়েটা চিরকালের ছিঁচকাদুনি ' , বাবাকে আর কান্না ভোলাতে কাউকে আদর করতে হয়না। 

Tuesday, 16 September 2014

realization about "my'self"

আমাদের এই আরাবাল্লী পাহাড়ে ঘেরা ছোট্ট সুন্দর campus এ মাঝে মাঝেই নানারকম মজার মজার কান্ড হয়, আর আমি প্রায় সবেতেই, যখন যেটা তে য্যামন ভাবে পারি মেতে উঠি। যদিও এবারে আমি সেভাবে থাকিনি, কারণ আমার এখন একটা নিজের ঠিকনা হয়েছে, হয়ত সেখানে এখান কার মতো বিশাল সুন্দর সবুজ ক্যাম্পাস আর অনেক ফেসিলিটি নেই, তবু সেই অনেক কিছু না থেকেও সব কিছু থাকা আমার একান্ত আপনার ছোট্ট এক কামরার সংসার ফেলে শনি রবিবার গুলোতে কিছুতেই এখানে আসতে ইচ্ছে করলনা। 
               কিছুদিন আগে এখানে এখানকার বার্ষিক অনুষ্ঠান হয়ে গেল। তা যেদিন অনুষ্ঠান ঠিক তার আগের আগের দিন রাত্রিবেলা আমার কিছু জুনিয়র আমাকে এসে খুব করে ধরল যে তাদের অনুষ্ঠানে কিছু করার জন্যে। মানে কিছুই নয়, অনুষ্ঠান খুব কম, বেচারারা সবাইকে গিয়ে গিয়ে রিকোয়েস্ট করছে, কিন্তু বড় বড় শিল্পী রা, কেউ তাদের কথা রাখছেনা। অতএব আমাকে ধরেছে। আর আমি তো আগেই বলেছি যে আমি ওসব কিছুই ভাবিনা, আর ওই এত সেল্ফ রেসপেক্ট না ইগো কিসব বলে, ওসব এর ভার বওয়ার মতো শক্তি আমার নেই। আমি ওদের বললাম যে, আমার করতে আপত্তি নেই, কিন্তু আমি করবটা কি? আর তাছাড়া আমি একমাত্র জানি কবিতা আবৃতি করতে, তাও বাঙ্গলায় আর বহুদিন করিও নি, সেটা যদিও এমন কিছু বড় কথা নয়, করব তো আমাদের ই মধ্যে, কিন্তু করবটা কি? এমন সময় মৌমিতা আমার সামনে রাখা এক টুকরো কাগজ টেনে বলল, তুমি এইটা কর , এইটা আবার কি? দেখলাম যে আমার ই লেখা কিছু আবোল তাবোল মানে মাঝে মাঝে আমার যখন কিছু লিখতে ইচ্ছে করে, তো সেটা আমি আমার রোজকারের ডায়েরি তে লিখি, কখনো কখনো ডায়েরি ও হয়না, হাতের কাছে ছেড়া খোরা যা পাই, তাতেই লিখি, এমন ই একটা পাতায় যার উল্টো দিকে কিসের একটা চার্ট ছিল, সেরকম পাতাতে কদিন আগে রবীন্দ্রনাথের 'আমি ' কবিতার ট্রান্সলেশন করছিলাম , না ট্রান্সলেশন বললে এখুনি রবীন্দ্রনাথ প্রেমী রা আমায় মারতে আসবে, রবীন্দ্রনাথের 'আমি', ওয়ার্ডসওয়ার্থ এর 'I ' আর সংস্কৃত  যে 'অহম' বলে এক শব্দ আছে, এ সব থেকে আমার মিলিত উপলব্ধি, মিশ্রিত অনুভুতি আর হয়ত অপরিনিত মস্তিষ্ক এর খেয়ালে এক সহজ কাহিনীর আকারে আমার অত্যান্ত কম শব্দ ভান্ডার যুক্ত, অপরিশোধিত ইংরাজিতে এক কবিতা লিখতে শুরু করেছিলাম।

                                        তো ওদের পাগলামিতে সেটাই আমাকে বলতে উঠতে হয়েছিল। অনুষ্ঠান শুরু হবার মিনিট ১৫ আগেও যখন আমাকে ফোন করে বলল যে তোমাকে একদম শুরুতে করতে হবে, তখন ও আমি বলছিলাম ওদের ক্যানসেল করতে, কারণ লেখাটা যে তখন ও শেষ হয়নি,, আমার তখন সত্যি ই চিন্তা হচ্ছিল , শেষ হয়নি এখনো, মোটামুটি শেষ এ কি হবে ভেবেচি, কিন্তু শব্দ ভান্ডার এ আর শব্দ নেই, কি যে লিখি। একটাই ভরসা ছিল যে শুরুর দিকে লোকজন কম থাকে, সাধারনত যারা খুব ভালো বোদ্ধা তারা অনুষ্ঠানের পরের দিকেই আসে। আমার অবস্থা দেখে আমার "বন্ধু'বর" টিও খুব চিন্তা য় পরে গেছিল, কি করবি বলত। স্টেজ এ তো উঠতেই হোলো , বন্ধুকে বলে গেলাম, দেখ আমারই তো জায়গা, খারাপ হলে এরা মারবে তো আর না, যা হবার হবে, দেখি কি ভাবে manage করা যায়। কবিতা বা একাঙ্ক নাটক যাই হোক না কেন, তার নাম দিলাম Self, আর নাটকীয় ভঙ্গিতে আবৃতি শুরু করলাম আর ভেবে ভেবে যাহোক করে manage করে শেষ করলাম। ও, কিন্তু আবৃতি করার সময় রচনার নামটাই বলা হয়নি।
                                      যাই হোক  নেমে এসে শুনলাম, সবাই ভীসন প্রশংসা করছে, এমন কি আমার স্যার ও। কিন্তু আমি যে কি করেছি, আমি ই জানি, তাই তাকালাম শুধু "বন্ধু'বর" টির  দিকে, আর দেখলাম ওর চোখে অনেকদিন আগের কলেজ এ এক আবৃতি করার পরে যে দৃষ্টি ছিল, সেই দৃষ্টি।

                                              আমার বন্ধুটির বিশেষ অনুরোধেই আমার সেই ছেড়া খোড়া পাতা থেকে এই লেখাটা উদ্ধার করে একে এখানে ভালো করে লিখতে হোলো, উদ্দেশ্য লেখাটাকে রক্ষা করা, কারণ ওর খুব চিন্তা যে যার হাত থেকে লেখার কাগজটা দলা মোচা হয়ে মাটিতে পরে গড়াগড়ি খায়, সে কখনই ভালো করে এটাকে যত্ন করে রাখবেনা।
বলা বাহুল্য যে আজকে শেষ টাকে আরো একটু পালিশ করে দিলাম। আর আমি জানি যে আমার বন্ধুটি অনেকের কাছে অনেকবার এমন কি সেদিন ও অনুযোগ করেছে যে আমি তাকে কখনো কবিতা শোনাই না, কথা দিলাম তাকে, যে আর তাকে ওই অনুযোগ করতে হবেনা, আর এই প্রথম তাকে, আর আমার বাবা মাকে dedicate করে পাবলিক ফোরাম এ কিছু লিখলাম, .. কারণ সেদিন বুঝতে পেরেছিলাম ,আমার এই সামান্য কিছু করা বা করার চেষ্টা আমার কাছে যাই হোক না কেন, আমার নিজের কিছু মানুষ্ জনের কাছে সেটা অসামান্য।আর তাকে অগ্রাহ্য করার মতো সাহস আমার নেই, আর করবই বা কেন......

Self


Once, there was a king….Proud, confident…
one day a saint came and asked him… 'who are you'?
'What? Are you asking me? I am the king'…….'this is my kingdom'…..'whatever u r seeing everything is mine'…'even u'…..
The saint smiles……..'my dear who are u'?
King gets agitated….'no body dare to come in front of me and u r asking me, who am I? get lost…..otherwise I am gonna kill u'…

Months later, the war started and he lost his kingdom, and got imprisoned by the other king………..got cent to a lonely island  
The saint came there and  asked, 'dear..who are you'?
'Ohhh......U don’t know me? I was the king'. 
'U were'?....... He smiles, 'but now u r not'…..'where is ur kingdom? Ur palace? Ur everything'?
'Ooooo u r very happy to see my condition? wait, I will get them back all'……..
'What will u get back dear? They are not urs'……'no no, its mine, its mine'
'It was…………now there is nothing'….
'Okkkk, nothing, nothing there is…..nothing…..i have nothing'…..he screams but then got scared...and then he asked the saint "who are you"....? 'why do u always come to hurt me? what do u want?' 
'my dear, you know all these answers'...saint said..
'What should I do now'? the king murmured.....
'Do you wan to take treasure? the eternal treasure....which no body can take, no body can steal from you'....
'Yes......I do'.....king jumped..
'then first u go and hug that farmer'......
'are you joking'? I was the King....
'Okk'....saint smiles, 'then you ask the (present) king to give a big hug to u'...
'ohhhhh'...the king became restless and said, 'how dare you to ask me to lose my self respect, my self ego........take me to the treasure house, give me......why are you making me fool by asking these stupid things to do'....
Saint smiles again and said, 'When you will get all the treasure, I am sure that you will hug them by heart, with love and with no other intention'......
The king got surprised and stopped for a while, 'but why do you want to share the treasure with me? why do u want to give me'?  
'After getting the treasure, you will also not hesitate to give them to others'.....saint smiles....'and as much as you will give, you will get them back in much more higher amount'......
'Come, I will show you the way which will take you to the Treasure'......
The king followed the saint and entered into a cave................
'There was nothing..............but only books..........The Veda, The Vedanta, The Mahabharata..............and lots lots............'
He sat there, near the sent..............

Years after, on a bright morning, He came out from the cave, took a deep breath and looked at the surroundings...........
ah, life is so beautiful, so glorious, so charming.........he amazed.........
suddenly he felt that he is hungry......
and then he saw that farmer......
he rushed towards him and gave a tight hug.....without thinking about his past glory, he begged some food from the farmer....... 
became happy like a child........so beautiful, everything is so beautiful.......
He looked for the saint and for the first time he got a feeling from his inside, that the saint is no where, but within himself...
He understood what the treasure is and who was the saint.......
he was nobody but himself..........his 'self '.......

Thursday, 11 September 2014

বয়েই গেল

আমার আগের লেখা 'সম্পর্ক' কে কন্টিনিউ করছি আর কিছু দিন পর থেকে কিন্তু তার আগে আরো একটা আপাত দৃষ্টিতে দেখা সম্পর্ক না থাকা এক মিষ্টি সম্পর্ক হটাত আমার দৃষ্টিগোচর হওয়ায় , কাজে ফাঁকি দিয়ে সেটা না লিখতে পারলে এই যে দুপুর বেলা আমি আমার সব থেকে প্রিয় খাবার মুসুর ডাল আর ঢাড়স তরকারী দিয়ে (পাতিলেবু সহযোগে)  ভাত খেয়ে এলাম, সেটা  হজম হবেনা। 
                       দুপুরবেলা হোস্টেল এর রুম থেকে খেয়ে ফেরার পথে দেখি যে IB ৩ এর সামনে এখানকার দুজন সায়েন্টিস্ট দাড়িয়ে কোনো গুরুতর আলোচনা করছেন (সত্যি সায়েন্টিস্ট ), আর আমাদের হাচিকো বংশগত ভাবে যে নাকি কুকুর প্রজাতি তে জন্ম গ্রহন করেছে, সে হটাত ওনাদের খুব কাছে এসে, এক গাল হেসে, ওঁদের মধ্যে একজনের দিকে তাকিয়ে লেজ নাড়তে লাগলো।  তা, ওনারা তো, একটু সরে গেলেন, ওমা সরে গেলে ই  কি তুমি আমাদের হাচিককে সাইন্টিফিক আলোচনা থেকে বিরত করতে পারবে নাকি? হু  হু সেটি ভাবলে ভুল করবে। হাচিক ও যথা রীতি আরো একটু কাছে ঘেঁসে গেল এবং প্রায় ওনার পা এর ওপর পা তুলে মুখের দিকে তাকালো, আর হাসতে লাগলো। ভাবটা ; কিগো কি খবর তোমাদের , কাজ কম্ম সব ক্যামন কি চলছে? কিছু আবিষ্কার টাবিস্কার করলে তো বল একটু শুনে যাই.......

এই ওপরের ঘটনা টা যখন  repeat হলো বেশ কয়েকবার, মানে যত উনি সরে যান ততই, হাচিকো ও সরে যায় আর হাসতে থাকে, তখন আমি মনে মনে হাসতে হাসতে আমাদের গাব্বু কে একটু আদর করে দিয়ে চলে এলাম, আর ভাবলাম, কি সহজ সুন্দর একটা সম্পর্ক এর সাক্ষী হলাম আজ আমি। আমরা বই এর পাতায় পড়েছি, স্বামী বিবেকানন্দ বলেচেন, ভালো বাসা শুধু দিয়ে যাও, ফিরে কি পাবে ভেবনা, কিন্তু নিজেরা বোধহয় নিজেদের প্রাত্যাহিক জীবনে তা করে উঠতে পারিনি, অন্তত আমি আমার কথা বলতে পারি যে, আমি পারিনি। আর ওই পুচকেটা কে দেখো, ভালোবেসেই সে সন্তুষ্ট, ফিরে তাকে কেউ ভালো বসলো কি না, বয়েই গ্যাছে ওর  সে সব ভাবতে, ওসব তোমরা ভাব, ততক্ষণ আমি তো আমার যখন যাকে দেখে ভাললাগছে, যার সাথে থাকতে ইচ্ছে করছে, আমি তার সাথে থাকি, আর আমার আনন্দ প্রকাশ দেখে তোমার যদি, রাগ ও হয়, তাতেও আমার ভারী বয়েই গেল, আমার চারপাশের  যে কোনো ঘটনা, যে কোনো মানুষ্  বা আমার যেকোনো বন্ধু মানে তোমরা যাদের কুকুর বল, যার থেকে , যেখান থেকে আমার ইচ্ছে, আমি সেখান থেকে আনন্দের রসদ সংগ্রহ করব, খুব করে লেজ ন।ড়ব আর ভী ষ ন আনন্দ করব।   হে হে, আনন্দে থাকার সন্ধান যখন পেয়েছি, আনন্দে তো তখন আমি থাকবই। 
মনটা দারুন ভালো হয়ে গেল আর প্রজাপতির মতো হালকা মনে , গান গাইতে গাইতে, প্রায় হাচিকোর্ মতই লাফাতে লাফাতে ল্যাব এ চলে এলাম। 

Monday, 8 September 2014

সম্পর্ক (১)

জীবনে চলার পথে মানুষ্ এর  কত রকম অভিজ্ঞতা হয়।  কখনো তা মধুর, কখনো বা বিষাদ ময়।  
কত জনের সাথে আমাদের আলাপ হয়, কিন্তু তাদের মধ্যে কিছু সম্পর্ক থাকে, যা বোধহয় সারা জীবনের সম্পদ হয়ে থেকে যায়। ছোটো থেকে আজ এই বড় বয়স পর্যন্ত এমনি অগনিত সম্পর্ক দ্বারা আমি সমৃদ্ধ হয়েছি, হয়ে চলেছি। মাঝে মাঝে ভীষণ  ইচ্ছে করে তাদের সবার কথা, সবাইকে জানাতে। এই সমস্ত ব্লগ গুলো তো সবাইকে জানানোর জন্যেই। তাই না? তাই যখন চারিদিকে সবাই একটু ভালো মানুষ্ খুঁজে বেড়ায়, নিস্বার্থ একটা হাত ধরতে চায়, বা না পেয়ে আমি একাই ভীষন ভালো, অন্যেদের থেকে ভীষণ আলাদা, এই ভ্রান্ত ধারনায় উল্লসিত হয়ে আরো বেশি অন্ধকারের পাঁকে নিজেকে নিমজ্জিত করে ফেলে, তখন আমার চিত্কার করে সবাইকে জানাতে ইচ্ছে করে যে, এ পৃথিবী টা সত্যি ভীষন সুন্দর, এ পৃথিবীর প্রতিটা জিনিস, প্রতিটা মানুষ্ সবাই ভীষন সুন্দর আর নিজেদের কে আলাদা করে ভাবতে গিয়ে, দেখাতে গিয়ে, আরো বেশি করে যারা সবাইয়ের ভিড়ে মিশে যাচ্ছে, তাদেরকে বলতে ইচ্ছে করছে যে তোমারা তো এমনি ই সুন্দর। ঠিক এমনি ই থাকো, ধীর, অমলিন, innocent. হারিয়ে ফেলনা নিজেদের কে। 

                                          আমি আমার এই জীবনে এত ভালো ভালো কিছু মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি, যে শুধু সেই মানুষ্ গুলোর জন্যেই বোধহয় আজ অনায়াসে আমি খুব সহজেই মানুসের অন্ধকার দিক টা না দেখতে পেয়ে আলোর দিকটা খুঁজে নিতে পারি। সেই আলোর পথের দিশারী দের কথা বলতে গেলেই প্রথমেই চোখের ওপর সব সময় ভেসে থাকা সদাহাস্যময় আমার বাবার মুখটা আরো উজ্জল ভাবে হেসে আমার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে, আবার আমার গুনগান সুরু করবিত ? না বাবা, তোমার কথা, তোমার আদর্শের কথা, ভালবাসার কথা, উদারতার কথা, আর  তো....মা......র কথা কোনদিন ই শেষ হবার নয়। অন্তত লিখে বা বলে শেষ করা বোধহয় আমার পক্ষ্যে সম্ভব হবেনা। আর মা বাবা কার কাছে না আলোর পথের দিশারী হয়, তাই তোমাদের সাথে একদম এক পঙ্ক্তিতে আমি কোনদিনে কাউকেই বসাতে পারবনা এ কথা ঠিক তবু আমার সেই ইংলিশ মাস্টার মশাই, জেঠু, ট্রপিকাল মেডিসিন এ আলাপ হওয়া S K G Sir , মনবিকাশ এ আলাপ হওয়া ত্রিপুরা ইউনিভার্সিটি এর dean প্রফ দুর্গাদাস স্যার যিনি এখনো রেগুলার আমার সাথে যোগাযোগ রেখেছেন, মৈত্রী ম্যাম, যিনি কোনদিন আমাকে না দেখে আমার কত বড় উপকার করেছেন, শুধু তাই নয়, আমার সম্পর্কে কত বড় decision নিয়েছেন। এনাদের সবার কথা আমি অনেক সময় নিয়ে আসতে আসতে বলব। এনারা ছাড়াও আরো অনেকে আছেন, সবার কথা আমি বলব, এই জন্যেই বলব শুধু এ পৃথিবীটা শুধুই খারাপ আর আমরা কজন খুব ভালো, তা নয়, এ পৃথিবীটা ভালো কারণ এই পৃথিবীতে এইরকম কিছু মানুষ্ আছেন।যাঁদের জন্যে আমাদের মনের ও সব কালিমা কোথায় চলে যায়। কিন্তু এ না হয়, আমাদের থেকে একটা প্রজন্ম আগে যারা এসেছেন, তাদের কথা, কিন্তু আমাদের এই প্রজন্মেও আমাদের আশেপাশে বন্ধুবান্ধবদের মধ্যেও আছে তামান মানুষ্।  হয়ত খুব সাধারণ  কিছু ঘটনা, কিন্তু আমার কাছে অসাধারণ আর বড় গভীর এর মূল্য। ট্রপিকাল মেডিসিন এই আলাপ হয়েছিল, মলয় দা  বলে এক দাদার সাথে, আর মনবিকাশ এ অনীকদা।  এদের কথা ও ঠিক এখানেই উল্লেখ করার মতো। কিন্তু করব আর একটু পরে। আজ বরং বলি, খুব রিসেন্ট আমার মন ছুঁয়ে যাওয়া এক অন্তারিকতার কথা। কিছু সম্পর্ক, যা সম্পদ এর মতো সারা জীবন সযত্নে বাচিয়ে রাখতে ইচ্ছে করে, চলে গেলেও মনে গর্ব হয়, এই ভেবে যে এক সময় তো ছিল, ক্ষোভ হয়না, দুখ্হ হয়না। শুধু ভালোলাগা থাকে। আর এই বোধ থাকে তার থেকে, যে আন্তরিকতা এখনো মরে যায়নি, মানুষ্ হয়নি এখনো পাথর। বুঝতে পারি আমরা বেঁচে আছি। স্বার্থপরতা নয়, সতেজতার সোঁদা মাটির গন্ধ এসে লাগে নাকে।
     গত জুলাই মাসের ৪ তারিখ আমার বিয়ে হলো।  অনেক  দিনের সম্পর্ক আমাদের, বহুদিন অপেক্ষায় যে ছিলাম ওই দিন এর জন্যে , সে কথা অনাস্বীকার্জ্যা। আমাদের চেনা পরিচিত বন্ধু বান্ধবের দল সবাই আমাদের কে খুব আন্তরিক ভাবেই জানিয়েছিল অভিনন্দন। আমাদের কাছের এক দাদা ও দিদি মানে হওয়ার কথা দিদি জামাইবাবু বা দাদা বৌদি, কিন্তু অনেকদিনের অভ্যেসবশত আমরা দাদা, দিদি ই বলতাম। তো তারা দুজনে আমাদের কে একদম প্রথাগত ভাবে নতুন জামা শাড়ী পড়িয়ে, নানা রকম এর প্রচুর খাদ্য দ্রব্য রান্না করে, অপূর্ব করে সাজিয়ে আমাদের একসঙ্গে প্রথম আইবুড়ো ভাত খাওয়ায়।সত্যি মন ভরে গেছিল। বিদেশ বিন্ভুএ যেখানে সামান্য একটু বাড়ির রান্না পেলেই মন খুশি হয়ে যায়, সেখানে অমন অসামান্য আয়োজন আর অমন আন্তরিকতার সাথে। 
                                                          ভালোলেগেছিল, সেদিনের সেই আন্তরিকতার ছোঁয়া তে পেয়েছিলাম সতেজ সম্পর্কের গন্ধ। কিন্তু বুঝিনি না চাইতেই বাকি আছে আরো অনেক, মূল্যবান, কিছু  অপ্রত্যাশিত উপহারের। 
হ্যা , সত্যি ই চাইনি কারোর কাছে কিছুই। বিয়ে এর খুশি বা আনন্দ এ সবের পাশাপাশি বা হয়ত এ সবের থেকে অনেক বেশি করে ফল্গু ধারার মতো আমার ভেতরে বয়ে চলেছিল অশ্রু নদী।  না, চাপা কষ্টের গোঙানি শুনতে দি ই নি কাউকেই। কারণ বাবা চলে যাবার পরেই বুঝেছিলাম যে তোমার দুর্বল তম জায়গাটা লোকে জানতে পারলে খুব কাছের মানুষ্ ছাড়া কেউ ই তাতে সহ মর্মিতার হাত রাখেনা, বরং আরো বেশি করে আঘাত দিয়ে ক্ষত যাতে না সারে, তার যোগার করে। কিন্তু আমার জীবনের এক সময় এর অভিজ্ঞতা, আর এক সময়ের অভিজ্ঞতা র কাছে হার মানলো, ভুল প্রমানিত করে দিল আমার ধারনাকে।  আর আমি আবার সেই সুন্দরের উপলব্ধিকে কে খুঁজে পেলাম।
                                      NBRC তে এসেই আলাপ হয়েছিল সর্বাণী আর মৌমিতার সাথে। ঘনিষ্টতা ও ছিল, কিন্তু কখনই আমি সে ঘনিষ্ট তা কে নিজের কষ্ট লাঘব করার জায়গা বলে মনে করিনি কারণ তার আগের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা খুব কঠিন ভাবে আমাকে শিখিয়েছিল যে সেল্ফ হেল্প ইস the বেস্ট হেল্প। না সেটাও খারাপ কিছু নয়, কিন্তু ওই যে আমি খুব সাধারণ, তাই, কঠিন এর থেকে নরম ভালোবাসাই আমার সেই অশান্ত মন কে শান্ত করতে পেরেছিল। প্রতিদিনের খাওয়া দাওয়ার খোঁজ খবার নেওয়া থেকে শুরু হয়েছিল আমাদের ঘনিষ্টতা। কিন্তু কখনই আশা করিনি যে যে হাসি মুখের হাসি দেখে সবাই শুধু বিয়ের খুশিটাই দেখতে পেয়েছিল, আর দুটো আমার থেকে কম বয়সী মেয়ে কিনা, নিজেদের boyfriend আর মিষ্টি মিষ্টি প্রেমের কথা ছেড়ে আমার মন এর খোঁজ নেবে বা আমাকে কি করে সত্যি খুশি রাখা যায়, সে চেষ্টা করতে নিজেদের ট্রেন এর টিকেট কেটে ফেলবে। বাড়ি ওদের ও কলকাতা তেই কিন্তু সেটা বোধহয় এখানে বড় কথা ছিলনা, কারণ জাস্ট পরের মাসেই ছিল এক লম্বা ছুটি। আর বহুদিন ধরেই ওরা এমন এক লম্বা ছুটির অপেখ্যায় ছিল। আমি ওদের এক ফর্মাল নিমন্ত্রণ করেছিলাম। কারোর ওপর জোর খাটানোর ইচ্ছে টাই তখন চলে গাছে।  নিজের দিদি ই যখন অবস্থার পাকে পরে প্রানপ্রিয় একমাত্র বোনের বিয়েতে এসে দাড়াতে পারছেনা, সেখানে আমি জোর করব অন্য কাউকে ? না করিনি, কিন্তু অদ্ভুত ভাবে এই দুজন সত্যি ই শুধু আমাকে, আমাদেরকে  খুশি করার জন্যে বিয়ের আগের দিন মানে আইবুড়ো ভাতের দিন সকাল বেলা দুজনে হাজির হলো আমাদের বাড়িতে। বাড়িতে আমাদের যথারীতি নিয়ম মাফিক বিয়ের তোড়জোড় ছিল ঠিকই , কিন্তু তাদেখে কেউ আর আর যাই বলুক বিয়ে বাড়ি বলবেনা, বরং আমার আর মা এর মুখে থমকে ছিল কান্না, সে কান্না সেই বুঝবে, যে কখনো তাদের প্রিয় জনকে হারিয়েছে, আর না হারিয়েও বুঝতে পারার মতো মানুষ্  আছে তারা, যারা বোঝার মতো মন  নিয়ে বড় হয়েছে। এরা এসেছিল প্রস্তুত হয়ে, বাড়ির পরিবেশ কে পাল্টে দেবার প্লান করে। মুহুর্তের মধ্যে আমাকে কাঁদিয়ে হাসিয়ে , মেরে ধরে ওরা বাড়ির পরিবেশ পাল্টে দিল, কারণ শুধু ওরা যে নয়, এক অসামন্য মানুষের আশীর্বচন সেদিন আমাকে নিজেকে অশির্বাদিতা ভাবতে বাধ্য করেছিল, তিনি হলেন আমার শ্রধ্যেয় কাকু, সর্বানীর বাবা। হাঁ , শুধু আমাকে আশির্বাদ করবেন বলে, আমাকে প্রফুল্ল করবেন বলে, উনি এসেছিলেন, বলেছিলেন, আমার নিমন্ত্রণ না থাকলেও, আমি শুধু ওই মেয়েটার হাসি মুখ তা দেখে আসবই। হাঁ , এরকম মানুষ্ আছেন, যারা কদিনের সম্পর্ক কে আত্মার সম্পর্ক বলে মনে করার মতো ক্ষমতা রাখেন। সেদিন বুঝতে পেরেছিলাম আমার বাবার বলা কিছু কথার মানে, আর অশ্রুমুগ্ধতার মধ্যে উপলব্ধি করেছিলাম আমার বাবার আশীর্বাদের হাত। 
আর ওই দুজন আমাদের বাড়িকে যতভাবে খুশি রাখা যায়, সেদিকে কোমর বেঁধে উঠে পড়ে লাগলো।  এখানে আর একটা কথা বলা খুব দরকার, আমি বাড়ি আসার আগে মৌমিতা আমি কোন জামা কাপড় নিয়ে বাড়ি যাব থেকে আমার suitcase গোছানো, সব ই করে দিয়েছিল। আর বাড়িতে এসে ঝাঁট দেওয়া থেকে ফুল বাঁধা সব ই এরা কাড়াকাড়ি করে করেছে, আমাদের বাড়িতে লোক খুব কম, আর এরা তা জানত, তাই পরের দিন সকালে সর্বাণী যে সর্বানিকে ল্যাব এ দৌড় দৌড়ি করে কাজ করা ছাড়া লোকে আর কিছুতে দেখেনি, সে ঝাঁটা হাতে ঘর পরিস্কার করে বরযাত্রী রা তত্ত নিয়ে এলে কোথায় রাখা হবে, তার জায়গা করছিলো।  কিন্তু এখানেই শেষ নয়, মানুষ্ চিনতে আমার বাকি ছিল, অন্ধকার দেখতে দেখতে আলোর কথা ভুলেই গেছিলাম, তাই আমিত্বের অন্ধকার থেকে বেরিয়ে যখন জগত কে দেখতে পেলাম, চোখ ধান্দিয়ে গেল যেন........... 

(চলবে )

Friday, 29 August 2014

অহম ব্রহ্মসী

আজ্  আমি এখানে লিখতে বসেছিলাম কিছুটা ক্রিতাগাতা বোধে আর কিছুটা বা শুধুই এমনি কিছু একটা লিখতে ইচ্ছে করলো তাই।  কিছুদিন আগে আমরা উত্তারাখান্দ এ বেড়াতে গিয়েছিলাম। না কেমন বেড়ালাম বা কি খেলাম অবশ্যই সেসব লিখবনা। তবে বেড়াতে যাবার আগে অনলাইন বেশ কিছু ব্লগ থেকে খুব ভালো ভালো কিছু রিভিউ আর্টিকেল থেকে বেড়াতে যাবার এবং গিয়ে থাকার জায়গা পছন্দ করেছিলাম।  তাই মানে হলো যে আমিও যদি আমার অভিজ্ঞতা এখানে লিখি, তাহলে হয়ত আমার মতো অন্য কারোর কিছু উপকার  হবে আর সঙ্গে সঙ্গে সেই সমস্ত মানুষকে হয়ত বা acknowledge করা হবে। আজ অনেকদিন অপেক্ষার পরে, ল্যাব এ কিছু ভালো result পেয়েছি।  মন টা তাই যেন চাইছে কিছু টা আরাম করতে, রোজের কাজ থেকে কিছুটা ছুটি নিয়ে চুরি করে, নিজের মনের মতো করে যা ইচ্ছে তাই কিছু লিখতে 
                              কিন্তু অদ্ভুত মানুষের মন, লিখতে বসে আর কিছুতেই আমার আজ আর সেই 'ভ্রমণ কাহিনী' লিখতে ইচ্ছে করছেনা, বরং লিখতে গিয়ে আমার একদিনের কথা মনে পরে গেল, লিখতে ইচ্ছে করছে আমার সেই চরম অনুভুতির, পরম পাওয়ার, সেই অপরূপ উপলব্ধির মুহুর্তের কথা। 
                              
                                আমরা হাঁটছিলাম নির্জন পাহাড়ি পথ ধরে, সূর্য তখন পাটে  বসেছে, আকাশ জুড়ে চলছে সেই চির নতুন, চিরাপুরাতন রঙের খেলা। সমস্ত আকাশ বাতাস পাহাড় রাস্তা সবাই যেন এক হয়ে সেই মৌন মুগ্ধ সৌন্দর্য কে প্রনাম করছিল।  সেদিন ছিল জন্মাষ্টমী। দুরে কোনো পাহাড়ি মন্দিরের থেকে ভেসে আসছিল মন্দিরের ঘন্টা। রাস্তার বাঁকে একটা ঢিপির কিছুটা ওপরে, একটু উঁচুতে বসার জায়গা ছিল।  আমি আর অর্নব তার ওপরে গিয়ে বসলাম। দুজনে মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করছিলাম সেই সৌন্দর্য।  বেশ কিছু ফটো তোলার পরে ক্যামেরা ও আর হাতে নিতে ইচ্ছে করছিলনা। মানে হাছিল এ সৌন্দর্য ধরে রাখার মতো মনের আর চোখের মতো ভালো ক্যামেরা আর কিছু নেই। মিশে যাচ্ছিলাম সেই অপারুপের মধ্যে। হটাত আমার তখন নিজেকে ভীসন lucky মনে হলো।  আমি বুঝতে পারলাম যে বাবাকে আমি সব সময় মিস করি , যে বাবার জন্যে আমার সব সময় কি প্রচন্ড অভাব বোধ হয়, সব সময় মনে হয়, যদি বাবা থাকত, বাবা এই বলত, যদি বাবা থাকত, আমি এভাবে বাবাকে বলতাম, বাবা তার উত্তরে এই বলত...কিনতু আসলে তো আমার বাবা আমার মধ্যেই আছে। আমার সকল ভালোলাগাতে বাবা আছে, আছে আমার সমস্ত কাজের মধ্যে। তাই তো আমি কোনদিন কোনো খারাপ কাজ করতেই পারবনা।  নিজের প্রতি ক্যামন এক গর্ব বোধ হলো, ভিশন এক জোর পেলাম মনে।  আমি বাবার মেয়ে। যে বাবাকে আমি কতবার মনে মনে বলেছি, বাবা তুমি ই আমার ভগবান। সবাই ভগবান কে পুজো করে, আমার কি মজা, আমি তো ভগবান এর ই মেয়ে।  আবার পারে নিজেকে বোঝাতাম, ধুর আবার আমি স্বার্থপরের মতো ভাবছি? সবাই ই  তো ভগবানের  সন্তান। আমি সেই বাবার মেয়ে, যে বাবার সম্পর্কে কোনো কথা বলতে গেলে আজ ও লোকে হাত তুলে নমস্কার করে, আমাকে বলে, তুমি অমুকের মেয়ে, তোমার সংস্কার তো ভালো হবেই। নতুন করে যেন দিশা পেলাম নিজের মধ্যে। আমি কখনো খারাপ করবনা, ভুল পথে যদি কোনদিন চলি, আমার বাবা ঠিক আমাকে ঠিক করে দেবে। আমিনা বাবার মেয়ে, কখনো ভুল পথে আমি চলতেই পারিনা। মনে আছে রবীন্দ্রনাথের 'আমি' কবিতার সেই বিখ্যাত লাইন  'এ আমার অহংকার/ অহংকার প্রতিটা মানুসের হয়ে'............ঠিক তখন ই অর্নব জিজ্ঞাসা করলো, কি ভাবছিস? আর আমার মনে হলো, বাবা আমার জীবনের সাথে একজন সত্যি কারের কান্ডারী কে বেঁধে দিয়েছেন।  সত্যি তো, বাবা ছাড়া ওই তো একমাত্র আমাকে আমার মতো করে বোঝে। মাঝে মাঝে মানে হয়, বাবা যেন যত্ন করে অর্নব কে নিজের শিক্ষা, চিন্তা ভাবনা, মন  সব কিছু দিয়ে তৈরি করে দিয়েছেন। যত বেশি করে ওকে বুঝি, যত বেশি করে ওকে জানি, তত বেশি করে বুঝতে পারি, ওর শিক্ষা, সেই শিক্ষা যে শিক্ষা পেয়ে আমরা বড় হয়েছি, যে শিক্ষা স্বার্থপরতা শেখায়না, শেখায় উদারতা।যে শিক্ষা জীবন কে একটা ছোট্ট গন্ডির মধ্যে বেঁধে রাখেনা , তাকে জ্ঞানের আলোর বৃহত্তর বৃত্তের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ফেলে। আজ হতেও তো পারত যে অর্নব আর আমি দুজনে ভিন্ন ভিন্ন মানসিকতা নিয়ে পাশাপাশি থাকতাম,তাহলে কি র এমনি করে আমি সবার জন্যে ভাবতে পারতাম, বা ভাবতে পারলেও, করতে পারতাম। আর যদি উল্টোটা হত, তাহলে ও, ও তো কিছুই করতে পারতনা, এই যে সামান্য কিছু খেতে পর্যন্ত গেলে সেই খাবার যে ভালবাসে তাদের কথা আমাদের মনে পারে যায়, তাদের কে দিতে ইচ্ছে করে, এই যে মানুষকে ভালবাসা , সমস্ত প্রাণী জগতের প্রতি করুনা বোধ, তাদের সাথে নিজেদের একাত্ত বোধ, এও তো ভগবানের আশির্বাদ,আমার বাবার আশির্বাদ। নিজেকে মানুস ভাবতে পারছি, এ যে পরম পাওয়া। আমাদের কোনো ইগো নেই, ভিসন কোনো মারামারি কাটাকাটি রকমের আত্মসম্মান  বোধ ও নেই। লোকে আমাদের কখনো বেশ কষ্ট ও দেয়, তা দিক।  আমার কোনো গ্লানি নেই, কোনো দুখ্খ নেই, কারোর প্রতি কোনো অনুযোগ নেই।  সবার প্রতি, সব কিছুর প্রতি এক পরম মমতা বোধ হলো।  আর নিজেদেরকে আমার ভীসন সুখী মনে হলো।  ভাগবানকে প্রনাম করলাম, প্রনাম করলাম সেই মৌন সৌন্দর্য কে, আর প্রার্থনা করলাম, আমাদের দুজনকে তুমি ঠিক এভাবেই রেখো, এভাবেই  জ্ঞানের পথ, সত্যের পথ  শিক্ষার পথ  আর ভালবাসার পথ ধরে সুরু হোক আমাদের দুজনের একসাথে পথ চলা। বাবার আশীর্বাদের হাত অনুভাব করলাম।
                                               অর্ণবের দিকে তাকালাম, মনে হলো, বোধহয় যেন বুঝতে সেই কথার মানে "অহম ব্রম্হসী" "তম ব্রম্হসী" ব্রহ্মময় এ জগত।  

ইচ্ছেনদী

আমার ল্যাব টা মাউন্ট sinai এর ১০ তলায়, আর আমার ওয়ার্কিং ডেস্কটা একদম জানালার ধারে , বিশাল জানালা। মনে হয় মেঘ গুলো এখুনি ঢুকে পড়বে এর মধ্যে। ...