আমাদের এই আরাবাল্লী পাহাড়ে ঘেরা ছোট্ট সুন্দর campus এ মাঝে মাঝেই নানারকম মজার মজার কান্ড হয়, আর আমি প্রায় সবেতেই, যখন যেটা তে য্যামন ভাবে পারি মেতে উঠি। যদিও এবারে আমি সেভাবে থাকিনি, কারণ আমার এখন একটা নিজের ঠিকনা হয়েছে, হয়ত সেখানে এখান কার মতো বিশাল সুন্দর সবুজ ক্যাম্পাস আর অনেক ফেসিলিটি নেই, তবু সেই অনেক কিছু না থেকেও সব কিছু থাকা আমার একান্ত আপনার ছোট্ট এক কামরার সংসার ফেলে শনি রবিবার গুলোতে কিছুতেই এখানে আসতে ইচ্ছে করলনা।
কিছুদিন আগে এখানে এখানকার বার্ষিক অনুষ্ঠান হয়ে গেল। তা যেদিন অনুষ্ঠান ঠিক তার আগের আগের দিন রাত্রিবেলা আমার কিছু জুনিয়র আমাকে এসে খুব করে ধরল যে তাদের অনুষ্ঠানে কিছু করার জন্যে। মানে কিছুই নয়, অনুষ্ঠান খুব কম, বেচারারা সবাইকে গিয়ে গিয়ে রিকোয়েস্ট করছে, কিন্তু বড় বড় শিল্পী রা, কেউ তাদের কথা রাখছেনা। অতএব আমাকে ধরেছে। আর আমি তো আগেই বলেছি যে আমি ওসব কিছুই ভাবিনা, আর ওই এত সেল্ফ রেসপেক্ট না ইগো কিসব বলে, ওসব এর ভার বওয়ার মতো শক্তি আমার নেই। আমি ওদের বললাম যে, আমার করতে আপত্তি নেই, কিন্তু আমি করবটা কি? আর তাছাড়া আমি একমাত্র জানি কবিতা আবৃতি করতে, তাও বাঙ্গলায় আর বহুদিন করিও নি, সেটা যদিও এমন কিছু বড় কথা নয়, করব তো আমাদের ই মধ্যে, কিন্তু করবটা কি? এমন সময় মৌমিতা আমার সামনে রাখা এক টুকরো কাগজ টেনে বলল, তুমি এইটা কর , এইটা আবার কি? দেখলাম যে আমার ই লেখা কিছু আবোল তাবোল মানে মাঝে মাঝে আমার যখন কিছু লিখতে ইচ্ছে করে, তো সেটা আমি আমার রোজকারের ডায়েরি তে লিখি, কখনো কখনো ডায়েরি ও হয়না, হাতের কাছে ছেড়া খোরা যা পাই, তাতেই লিখি, এমন ই একটা পাতায় যার উল্টো দিকে কিসের একটা চার্ট ছিল, সেরকম পাতাতে কদিন আগে রবীন্দ্রনাথের 'আমি ' কবিতার ট্রান্সলেশন করছিলাম , না ট্রান্সলেশন বললে এখুনি রবীন্দ্রনাথ প্রেমী রা আমায় মারতে আসবে, রবীন্দ্রনাথের 'আমি', ওয়ার্ডসওয়ার্থ এর 'I ' আর সংস্কৃত যে 'অহম' বলে এক শব্দ আছে, এ সব থেকে আমার মিলিত উপলব্ধি, মিশ্রিত অনুভুতি আর হয়ত অপরিনিত মস্তিষ্ক এর খেয়ালে এক সহজ কাহিনীর আকারে আমার অত্যান্ত কম শব্দ ভান্ডার যুক্ত, অপরিশোধিত ইংরাজিতে এক কবিতা লিখতে শুরু করেছিলাম।
তো ওদের পাগলামিতে সেটাই আমাকে বলতে উঠতে হয়েছিল। অনুষ্ঠান শুরু হবার মিনিট ১৫ আগেও যখন আমাকে ফোন করে বলল যে তোমাকে একদম শুরুতে করতে হবে, তখন ও আমি বলছিলাম ওদের ক্যানসেল করতে, কারণ লেখাটা যে তখন ও শেষ হয়নি,, আমার তখন সত্যি ই চিন্তা হচ্ছিল , শেষ হয়নি এখনো, মোটামুটি শেষ এ কি হবে ভেবেচি, কিন্তু শব্দ ভান্ডার এ আর শব্দ নেই, কি যে লিখি। একটাই ভরসা ছিল যে শুরুর দিকে লোকজন কম থাকে, সাধারনত যারা খুব ভালো বোদ্ধা তারা অনুষ্ঠানের পরের দিকেই আসে। আমার অবস্থা দেখে আমার "বন্ধু'বর" টিও খুব চিন্তা য় পরে গেছিল, কি করবি বলত। স্টেজ এ তো উঠতেই হোলো , বন্ধুকে বলে গেলাম, দেখ আমারই তো জায়গা, খারাপ হলে এরা মারবে তো আর না, যা হবার হবে, দেখি কি ভাবে manage করা যায়। কবিতা বা একাঙ্ক নাটক যাই হোক না কেন, তার নাম দিলাম Self, আর নাটকীয় ভঙ্গিতে আবৃতি শুরু করলাম আর ভেবে ভেবে যাহোক করে manage করে শেষ করলাম। ও, কিন্তু আবৃতি করার সময় রচনার নামটাই বলা হয়নি।
যাই হোক নেমে এসে শুনলাম, সবাই ভীসন প্রশংসা করছে, এমন কি আমার স্যার ও। কিন্তু আমি যে কি করেছি, আমি ই জানি, তাই তাকালাম শুধু "বন্ধু'বর" টির দিকে, আর দেখলাম ওর চোখে অনেকদিন আগের কলেজ এ এক আবৃতি করার পরে যে দৃষ্টি ছিল, সেই দৃষ্টি।
আমার বন্ধুটির বিশেষ অনুরোধেই আমার সেই ছেড়া খোড়া পাতা থেকে এই লেখাটা উদ্ধার করে একে এখানে ভালো করে লিখতে হোলো, উদ্দেশ্য লেখাটাকে রক্ষা করা, কারণ ওর খুব চিন্তা যে যার হাত থেকে লেখার কাগজটা দলা মোচা হয়ে মাটিতে পরে গড়াগড়ি খায়, সে কখনই ভালো করে এটাকে যত্ন করে রাখবেনা।
বলা বাহুল্য যে আজকে শেষ টাকে আরো একটু পালিশ করে দিলাম। আর আমি জানি যে আমার বন্ধুটি অনেকের কাছে অনেকবার এমন কি সেদিন ও অনুযোগ করেছে যে আমি তাকে কখনো কবিতা শোনাই না, কথা দিলাম তাকে, যে আর তাকে ওই অনুযোগ করতে হবেনা, আর এই প্রথম তাকে, আর আমার বাবা মাকে dedicate করে পাবলিক ফোরাম এ কিছু লিখলাম, .. কারণ সেদিন বুঝতে পেরেছিলাম ,আমার এই সামান্য কিছু করা বা করার চেষ্টা আমার কাছে যাই হোক না কেন, আমার নিজের কিছু মানুষ্ জনের কাছে সেটা অসামান্য।আর তাকে অগ্রাহ্য করার মতো সাহস আমার নেই, আর করবই বা কেন......
Self
Once, there
was a king….Proud, confident…
one day a
saint came and asked him… 'who are you'?
'What? Are
you asking me? I am the king'…….'this is my kingdom'…..'whatever u r seeing
everything is mine'…'even u'…..
The saint
smiles……..'my dear who are u'?
King gets
agitated….'no body dare to come in front of me and u r asking me, who am I? get
lost…..otherwise I am gonna kill u'…
Months
later, the war started and he lost his kingdom, and got imprisoned by the other
king………..got cent to a lonely island
The saint
came there and asked, 'dear..who are you'?
'Ohhh......U don’t know me?
I was the king'.
'U were'?....... He smiles, 'but now u r not'…..'where is ur kingdom? Ur
palace? Ur everything'?
'Ooooo u r very
happy to see my condition? wait, I will get them back all'……..
'What will u
get back dear? They are not urs'……'no no, its mine, its mine'
'It
was…………now there is nothing'….
'Okkkk,
nothing, nothing there is…..nothing…..i have nothing'…..he screams but then got scared...and then he asked the saint "who are you"....? 'why do u always come to hurt me? what do u want?'
'my dear, you know all these answers'...saint said..
'What should I do now'? the king murmured.....
'Do you wan to take treasure? the eternal treasure....which no body can take, no body can steal from you'....
'Yes......I do'.....king jumped..
'then first u go and hug that farmer'......
'are you joking'? I was the King....
'Okk'....saint smiles, 'then you ask the (present) king to give a big hug to u'...
'ohhhhh'...the king became restless and said, 'how dare you to ask me to lose my self respect, my self ego........take me to the treasure house, give me......why are you making me fool by asking these stupid things to do'....
Saint smiles again and said, 'When you will get all the treasure, I am sure that you will hug them by heart, with love and with no other intention'......
The king got surprised and stopped for a while, 'but why do you want to share the treasure with me? why do u want to give me'?
'After getting the treasure, you will also not hesitate to give them to others'.....saint smiles....'and as much as you will give, you will get them back in much more higher amount'......
'Come, I will show you the way which will take you to the Treasure'......
The king followed the saint and entered into a cave................
'There was nothing..............but only books..........The Veda, The Vedanta, The Mahabharata..............and lots lots............'
He sat there, near the sent..............
Years after, on a bright morning, He came out from the cave, took a deep breath and looked at the surroundings...........
ah, life is so beautiful, so glorious, so charming.........he amazed.........
suddenly he felt that he is hungry......
and then he saw that farmer......
he rushed towards him and gave a tight hug.....without thinking about his past glory, he begged some food from the farmer.......
became happy like a child........so beautiful, everything is so beautiful.......
He looked for the saint and for the first time he got a feeling from his inside, that the saint is no where, but within himself...
He understood what the treasure is and who was the saint.......
he was nobody but himself..........his 'self '.......