অল্প জ্বরের অজুহাত সপ্তাহের শুরুতেই দিয়ে গেল হটাৎ ছুটির সুযোগ। হাতের কাজ আর তার সামনে রইলো মেঘলা দিনের অলস মধ্যাহ্ন। ঘুম ঘুম ঘোর লাগানো দুপুরবেলাটাতে কখন ঘুমিয়ে গেছিলাম। আর ঘুমিয়ে একটা স্বপ্ন দেখলাম। একটা বাড়ি, গঙ্গার ওপরে, এ বাড়ি কল্পনাতে আমি অনেক দেখেছি, কিন্তু স্বপ্ন তো নাকি যা দেখা হয়নি কোনোদিন, তাকে দেখা যায়না, তাহলে কেন দেখলাম। জানিনা। আর সেই নিয়ে ঠিক ভাবতেও ইচ্ছে করছেন। কিকারণে যে কল্পনাতে থাকা একটা জগৎ হটাৎ স্বপ্নে এসে ধরা দিয়ে গেল জানিনা। ঘুমোনোর কিছু আগে দেখছিলাম ব্যোমকেশ এর সত্যান্বেষণ। তাই গঙ্গার ছলাৎ ছলাৎ সেই সূত্র ধরে বা হয়তো কিছুদিন আগে আমার গঙ্গার জলে পা ডুবিয়ে বসে থাকার প্রবল ইচ্ছে নিয়ে এই রুক্ষতার শহরে ফিরে আসার সূত্র ধরে, কানে বেজেই চলেছিল।
ঘুমের মধ্যেও সেই সুরের রেশ আমার পিছু ছাড়লনা, বরং নিয়ে গেলো কখনো না দেখা একটা বাড়িতে। ঘোরানো ঘোরানো আগেকার দিনের ব্রিটিশ আমলের সিঁড়ি। আমি যেন কি খুঁজছিলাম, তাই উঠেই চলেছিলাম। অবশেষে পৌঁছলাম একটা ঘরে, অনেক ওপরে। তিনপাশে বড় বড় জানালা, নিচে তাকালেই দেখা যায়, স্রোতস্বিনী গঙ্গা। যার রং হতে পারে ঘোলা, কিন্তু ওই যে নিজের মহিমাতে যে অনায়াসে তুচ্ছ করে দিতে পারে, পাশ্চাত্যে আমার যেখানে থাকার কথা, তার সামনে দিয়ে বয়ে চলা স্প্রী কেও। না তাবলে আমি স্প্রী কে ছোট করছিনা, সে তার মতো করে সুন্দর। ভীষণ সুন্দর। কিন্তু আমাদের এই গরিব দেশের অজস্র না পাওয়ার মাঝখান দিয়ে অমন দরাজ মনে বয়ে চলা, কত ইতিহাস ধুয়ে নিয়ে আসা চোখের জল হয়তো মিশেছে এতে, প্রেমিকের না পাওয়ার বেদনা, প্রেমিকার বঞ্চনার হাহাকার, আবার কখনো বা হাত মিলে গেছে হাতে। একে অপরের আঙ্গুল জড়িয়ে নিয়ে ওই পবিত্রতাকে সাক্ষী রেখে স্বপ্ন দেখেছে বেঁচে থাকার। প্রদীপ ভাসিয়ে সুন্দরকে করা হয়েছে আহ্বান। বিগত কে করা হয়েছে স্মরণ। সেই আমার প্রাণের নদী। খুব কাছের। ওই স্বপ্নে দেখা সেই ঘরটা থেকে যেদিকে তাকানো যায়, শুধু সেই প্রাণের নদীকেই দেখতে পাওয়া যায় যেন। আর বেশি কিছু মনে পড়ছেনা ঘরটার, শুধু একটা বই ঠাস হয়ে থাকা কাঁচের আলমারি, একটা কাঁচের টেবিল, তাতে একটা ডায়েরি, গাঢ় নীল রঙের একটা পেন সোনালী দিয়ে কিছু লেখা। পেন টা খুব স্পষ্ট ছিল। আর একটা ফুলদানিতে একরাশ ফুল ছিল। আর যদিও কিছু দেখলামনা শুধু মনে পড়ছে চেয়ার টাতে খুব বসতে ইচ্ছে করছিলো। কিন্তু স্বপ্নটাকে আরো একটু কল্পনার রঙে রাঙিয়ে আমি ঘরের কোণে রাখলাম একটা লম্বা ফ্লাওয়ার পট যাতে থাকুক একরাশ রজনীগন্ধা। আলো থাকুক দুরকম। একটা ভীষণ সুন্দর টেবিল ল্যাম্প। আর একটা হোক রাতের গভীরতা নিয়ে মায়াবী লণ্ঠন। পুরোনো, ব্রিটিশ আমলের কাজ থাকুক তাতে। রেকাবিতে অগোছালো পরে থাক জুঁই বা বেল। সযত্নে থাকুক আমার বেহালাও। যেদিন আকাশে এই গতকাল রাতের মতোই চাঁদ উঠবে। সমস্ত আকাশ বাতাস যখন শিহরিত হয়ে উঠবে, নদীতে তখন আসুক ভরা জোয়ার। ভাসিয়ে নিয়ে যাক ওই ডিঙি নৌকাকে। আর সেদিন ছাদের ওপরে চাঁদের আলোয় ভীমপলাশী, ভূপালী, বাগেশ্ৰী, বেহাগ, ইমন কল্যাণ, দরবারী কানাড়া, চন্দ্রকোশের সুর চাঁপার গন্ধের সাথে মিশে যাক। সেদিন ঝড় উঠুক। রাত্রি সেদিন শুধুই সুন্দর নয়, মদির হয়ে নামবে এই পৃথিবীতে। আর সুন্দরের পূজারী হয়ে নদীতে ভেসে যাবে অজস্র প্রদীপ।
আমাকে একবার একজন জিজ্ঞাসা করেছিল, চারপাশের পৃথিবীতে এত সমস্যা, হানাহানি খুনোখুনি, তুমি সেসব দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে শুধুই সুন্দরের গুনগান করতে থাকো কেন ? তোমার কিছুই যায় আসেনা? জানিনা। এর উত্তর এ অনেক কথাই বলা হয়তো যেতেই পারতো, আজ ও হয়তো যায় ও। কিন্তু না ইচ্ছে করলোনা।তাই সেদিনের মতো আজ ও বলি, আমি স্বার্থপর। তাই, প্রতিদিন যখন মানুষ মারছে, মরছে, তখন আমি চোখ এর ওপরে রঙ্গীন স্বপ্নের পর্দা ফেলতে চাইছি। খুঁজছি ফুলের আলতো আদর, চোখ ভোরে নিতে চাইছি জ্যোৎস্না মাখা আলোতে অথবা সুরের মধ্যে বিভোর হতে চাইছি। কি করবো, চাইলেও কি এই চারপাশের রক্তাক্ত উন্মাদনা আমি বন্ধ করতে পারবো? পারবোনাতো। তার থেকে বরং যে মায়ায় প্রকৃতি আচ্ছন্ন করতে চায় আমাদের, নাহয় সব কিছু ভুলে সেই মায়ায় ভুললাম ই। এমন তো নয় যে এ মায়া ক্ষণিকের। আমরা কেউ দেখি বা না দেখি, সূর্য্য রোজ আকাশ লালে লাল হয়ে উঠবে, চাঁদ এর আলোয় আদিগন্ত চরাচর এক অসামান্য মায়ায় জ্বলজ্বল করবে। শুকতারা তার মিটিমিটি চোখ তুলে এমনি করেই তাকাবে, রোজ। আমরা দেখি বা না দেখি। তাই চারপাশের হিংসা, মারামারি, ইঁদুর দৌড়, প্রতিদন্দ্বিতা, কে কাকে ফেলে আগে দৌড়ে যাবে, কে কত বেশি জীবনে সফল, এসবের তুল্য মূল্য বিচারে না গিয়ে নাহয় ওই যে চিরন্তন এই মায়ায় নিজেকে নাহয় জড়িয়ে রাখলাম আষ্টেপৃষ্ঠে, কি এসে যায় তাতে। সংসার পরিবর্তনশীল। সমস্ত কিছুই চক্রবৎ পরিবর্তন হয়ে চলে। শুধু পরিবর্তন নেই এই মায়ার। তাই একবার যদি এই মায়াতে মজে যেতে পারি, আমৃত্যু আমাকে অমৃতের সন্ধান পাওয়া থেকে কেউ বঞ্চিত করতে পারবেনা। তাইতো চাঁদ দেখতে দেখতে কখন পার হয়ে যায় বিনিদ্র রজনী , কখনো বা হাঁটা পথের শ্রান্তি ও মুখের হাসি কেড়ে নিতে পারেনা। বাবার অনুপস্থিতির বেদনাও কেমন যেন ওই সূর্যাস্তের সাথে এক হয়ে মিশে যায়, পুনরায় ফিরে পাবার সেই আগামীর ভোরের আশা নিয়ে।
তাই আমার সন্ধ্যার ইমন কল্যাণ বারবার সুর তোলে। জীবনের হাজার সমস্যার মধ্যেও জীবনকে স্বপ্ন দিয়ে সুন্দর করে সাজাতে চাই , করিনা? ক্ষতিকি ? যতদিন স্বপ্ন দেখতে পারি, দেখিনা? তারপরে যদি ওই ওপরে যে বসে আছে, একদিন যদি ইচ্ছে করে, আমার সব স্বপ্ন ভেঙে দিতে, দেবে, আমার কাছেতো সে মহাপ্রলয় থামাবারও যে কোনো উপায় নেই। সে যবে হবে হবে, তবে তার আগে পর্যন্ত আমি না হয় প্রাণ ভোরে নিশ্বাস নি। ভোর বেলাতে হালকা চাদর গায়ে দিয়ে দিলে, যেমন সেই চাদর টাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে মানুষে শান্তি আর স্বস্তি তে আবার ঘুমিয়ে পরে, আর সেই শান্তির রেশ লেগে থাকে ঘুম ভেঙে উঠে সারাদিনটার মধ্যে। সেইরকম ই আমার এই স্বপ্ন মাখা চাঁদের আলো কে আমি জড়িয়ে থাকতে চাই। আর চাই ওর ওই আদরটা থেকে যেন কেউ কোথাও না বঞ্চিত না হয়। ওই আদোরে জড়ানো শান্তি জড়িয়ে থাকুক , তোমাকে, আমাকে, সবাইকে। ওই স্বস্তির নিঃশ্বাসটা আমি অনুভব করতে চাই। খুব।
ঘুমের মধ্যেও সেই সুরের রেশ আমার পিছু ছাড়লনা, বরং নিয়ে গেলো কখনো না দেখা একটা বাড়িতে। ঘোরানো ঘোরানো আগেকার দিনের ব্রিটিশ আমলের সিঁড়ি। আমি যেন কি খুঁজছিলাম, তাই উঠেই চলেছিলাম। অবশেষে পৌঁছলাম একটা ঘরে, অনেক ওপরে। তিনপাশে বড় বড় জানালা, নিচে তাকালেই দেখা যায়, স্রোতস্বিনী গঙ্গা। যার রং হতে পারে ঘোলা, কিন্তু ওই যে নিজের মহিমাতে যে অনায়াসে তুচ্ছ করে দিতে পারে, পাশ্চাত্যে আমার যেখানে থাকার কথা, তার সামনে দিয়ে বয়ে চলা স্প্রী কেও। না তাবলে আমি স্প্রী কে ছোট করছিনা, সে তার মতো করে সুন্দর। ভীষণ সুন্দর। কিন্তু আমাদের এই গরিব দেশের অজস্র না পাওয়ার মাঝখান দিয়ে অমন দরাজ মনে বয়ে চলা, কত ইতিহাস ধুয়ে নিয়ে আসা চোখের জল হয়তো মিশেছে এতে, প্রেমিকের না পাওয়ার বেদনা, প্রেমিকার বঞ্চনার হাহাকার, আবার কখনো বা হাত মিলে গেছে হাতে। একে অপরের আঙ্গুল জড়িয়ে নিয়ে ওই পবিত্রতাকে সাক্ষী রেখে স্বপ্ন দেখেছে বেঁচে থাকার। প্রদীপ ভাসিয়ে সুন্দরকে করা হয়েছে আহ্বান। বিগত কে করা হয়েছে স্মরণ। সেই আমার প্রাণের নদী। খুব কাছের। ওই স্বপ্নে দেখা সেই ঘরটা থেকে যেদিকে তাকানো যায়, শুধু সেই প্রাণের নদীকেই দেখতে পাওয়া যায় যেন। আর বেশি কিছু মনে পড়ছেনা ঘরটার, শুধু একটা বই ঠাস হয়ে থাকা কাঁচের আলমারি, একটা কাঁচের টেবিল, তাতে একটা ডায়েরি, গাঢ় নীল রঙের একটা পেন সোনালী দিয়ে কিছু লেখা। পেন টা খুব স্পষ্ট ছিল। আর একটা ফুলদানিতে একরাশ ফুল ছিল। আর যদিও কিছু দেখলামনা শুধু মনে পড়ছে চেয়ার টাতে খুব বসতে ইচ্ছে করছিলো। কিন্তু স্বপ্নটাকে আরো একটু কল্পনার রঙে রাঙিয়ে আমি ঘরের কোণে রাখলাম একটা লম্বা ফ্লাওয়ার পট যাতে থাকুক একরাশ রজনীগন্ধা। আলো থাকুক দুরকম। একটা ভীষণ সুন্দর টেবিল ল্যাম্প। আর একটা হোক রাতের গভীরতা নিয়ে মায়াবী লণ্ঠন। পুরোনো, ব্রিটিশ আমলের কাজ থাকুক তাতে। রেকাবিতে অগোছালো পরে থাক জুঁই বা বেল। সযত্নে থাকুক আমার বেহালাও। যেদিন আকাশে এই গতকাল রাতের মতোই চাঁদ উঠবে। সমস্ত আকাশ বাতাস যখন শিহরিত হয়ে উঠবে, নদীতে তখন আসুক ভরা জোয়ার। ভাসিয়ে নিয়ে যাক ওই ডিঙি নৌকাকে। আর সেদিন ছাদের ওপরে চাঁদের আলোয় ভীমপলাশী, ভূপালী, বাগেশ্ৰী, বেহাগ, ইমন কল্যাণ, দরবারী কানাড়া, চন্দ্রকোশের সুর চাঁপার গন্ধের সাথে মিশে যাক। সেদিন ঝড় উঠুক। রাত্রি সেদিন শুধুই সুন্দর নয়, মদির হয়ে নামবে এই পৃথিবীতে। আর সুন্দরের পূজারী হয়ে নদীতে ভেসে যাবে অজস্র প্রদীপ।
আমাকে একবার একজন জিজ্ঞাসা করেছিল, চারপাশের পৃথিবীতে এত সমস্যা, হানাহানি খুনোখুনি, তুমি সেসব দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে শুধুই সুন্দরের গুনগান করতে থাকো কেন ? তোমার কিছুই যায় আসেনা? জানিনা। এর উত্তর এ অনেক কথাই বলা হয়তো যেতেই পারতো, আজ ও হয়তো যায় ও। কিন্তু না ইচ্ছে করলোনা।তাই সেদিনের মতো আজ ও বলি, আমি স্বার্থপর। তাই, প্রতিদিন যখন মানুষ মারছে, মরছে, তখন আমি চোখ এর ওপরে রঙ্গীন স্বপ্নের পর্দা ফেলতে চাইছি। খুঁজছি ফুলের আলতো আদর, চোখ ভোরে নিতে চাইছি জ্যোৎস্না মাখা আলোতে অথবা সুরের মধ্যে বিভোর হতে চাইছি। কি করবো, চাইলেও কি এই চারপাশের রক্তাক্ত উন্মাদনা আমি বন্ধ করতে পারবো? পারবোনাতো। তার থেকে বরং যে মায়ায় প্রকৃতি আচ্ছন্ন করতে চায় আমাদের, নাহয় সব কিছু ভুলে সেই মায়ায় ভুললাম ই। এমন তো নয় যে এ মায়া ক্ষণিকের। আমরা কেউ দেখি বা না দেখি, সূর্য্য রোজ আকাশ লালে লাল হয়ে উঠবে, চাঁদ এর আলোয় আদিগন্ত চরাচর এক অসামান্য মায়ায় জ্বলজ্বল করবে। শুকতারা তার মিটিমিটি চোখ তুলে এমনি করেই তাকাবে, রোজ। আমরা দেখি বা না দেখি। তাই চারপাশের হিংসা, মারামারি, ইঁদুর দৌড়, প্রতিদন্দ্বিতা, কে কাকে ফেলে আগে দৌড়ে যাবে, কে কত বেশি জীবনে সফল, এসবের তুল্য মূল্য বিচারে না গিয়ে নাহয় ওই যে চিরন্তন এই মায়ায় নিজেকে নাহয় জড়িয়ে রাখলাম আষ্টেপৃষ্ঠে, কি এসে যায় তাতে। সংসার পরিবর্তনশীল। সমস্ত কিছুই চক্রবৎ পরিবর্তন হয়ে চলে। শুধু পরিবর্তন নেই এই মায়ার। তাই একবার যদি এই মায়াতে মজে যেতে পারি, আমৃত্যু আমাকে অমৃতের সন্ধান পাওয়া থেকে কেউ বঞ্চিত করতে পারবেনা। তাইতো চাঁদ দেখতে দেখতে কখন পার হয়ে যায় বিনিদ্র রজনী , কখনো বা হাঁটা পথের শ্রান্তি ও মুখের হাসি কেড়ে নিতে পারেনা। বাবার অনুপস্থিতির বেদনাও কেমন যেন ওই সূর্যাস্তের সাথে এক হয়ে মিশে যায়, পুনরায় ফিরে পাবার সেই আগামীর ভোরের আশা নিয়ে।
তাই আমার সন্ধ্যার ইমন কল্যাণ বারবার সুর তোলে। জীবনের হাজার সমস্যার মধ্যেও জীবনকে স্বপ্ন দিয়ে সুন্দর করে সাজাতে চাই , করিনা? ক্ষতিকি ? যতদিন স্বপ্ন দেখতে পারি, দেখিনা? তারপরে যদি ওই ওপরে যে বসে আছে, একদিন যদি ইচ্ছে করে, আমার সব স্বপ্ন ভেঙে দিতে, দেবে, আমার কাছেতো সে মহাপ্রলয় থামাবারও যে কোনো উপায় নেই। সে যবে হবে হবে, তবে তার আগে পর্যন্ত আমি না হয় প্রাণ ভোরে নিশ্বাস নি। ভোর বেলাতে হালকা চাদর গায়ে দিয়ে দিলে, যেমন সেই চাদর টাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে মানুষে শান্তি আর স্বস্তি তে আবার ঘুমিয়ে পরে, আর সেই শান্তির রেশ লেগে থাকে ঘুম ভেঙে উঠে সারাদিনটার মধ্যে। সেইরকম ই আমার এই স্বপ্ন মাখা চাঁদের আলো কে আমি জড়িয়ে থাকতে চাই। আর চাই ওর ওই আদরটা থেকে যেন কেউ কোথাও না বঞ্চিত না হয়। ওই আদোরে জড়ানো শান্তি জড়িয়ে থাকুক , তোমাকে, আমাকে, সবাইকে। ওই স্বস্তির নিঃশ্বাসটা আমি অনুভব করতে চাই। খুব।
No comments:
Post a Comment