Thursday, 13 September 2018

সবুজ

কখনো কখনো এত সবুজ এত সবুজ হয়ে থাকে চারপাশটা, যে আমার যেন ধাঁধা লেগে যায় চোখে। এত সবুজ এত সুন্দর কিভাবে হয় সবকিছু, সকাল থেকে রাত আবার রাত কেটে ভোর, যেন নেশায় থাকি, ঘোর লেগে থাকে যেন সবকিছুর মধ্যে। সেই ঘোর ভাগ করে নেবার মধ্যে এক অবর্ণনীয় আনন্দ আছে। হটাৎ বুঝতে পেরেছিলাম এক ই ভাবে দেখতে পারার মধ্যে, এক অনন্য নেশা আছে। তবে নৈসর্গকিতার স্বাদ একা নিতে পারাও কম পুণ্যের নয় বোধহয়। তাতে চারপাশের পরিবর্তনে কষ্ট টা একটু কম হয়, তাকে পরিণত ভাবে মনেও যেমন নেওয়া যায়, মেনেও তেমন নেওয়া যায়। 

আজ গনেশ চতুর্থী। আজ থেকে ঠিক একমাস পরে বোধহয় পুজো। আমাদের সবার প্রাণের পুজো। চারপাশের আকাশ বাতাস সব কিছু যেন বদলে যায় এই সময়ে। কি অসম্ভব ভালোলাগা। কি অবর্ণনীয় সৌন্দর্য্য। সেই সাদা সাদা কাশ ফুল গুলো নিশ্চই ভীষণ ভাবে তাদের মাথা নাড়াচ্ছে। আমি ছোট থেকে সবসময় ছবিতে দেখতাম কাশফুল। সেই প্রথম কলেজ এর ফ্রেশার্স এ কাশ ফুল দেখি নিজের চোখে। ছোট্ট একটা গ্রাম্য জায়গা, তার সমস্ত সিম্প্লিসিটি নিয়ে আমার সামনে দাঁড়িয়ে পড়েছিল হটাৎ। চারপাশের লোকজন, কথা সবকিছু ছাপিয়ে আমি শুধু দেখছিলাম ঘরের মধ্যে আমার কত সামনে রাখা একগোছা কাশফুল আর প্রদীপের আলোকে। আর বাকি সবকিছু যেন হয়ে গেছিলো irrespective, সবকিছুতে যেন রামধনু মাখানো ছিল। তারপরে কত জায়গায় গেছি, নতুন জায়গা, কত মানুষ, নতুন কথা, নতুন সম্পর্ক তবু আজ ও ওই দিনের সবকিছুর ঘোর এখনো যেন চোখ থেকে যায়নি। আজ সকালে এই সবুজ গুলো আবার আমায় সেদিনের সবুজের মাঝে সাদা কাশফুল গুলোকে মনে করিয়ে দিলো। 
সেদিন ও খুব ইচ্ছে করেছিল, একটু কাছে গিয়ে হালকা ছুঁয়ে দেখি, আলতো করে আদর করে আসি। করা হয়নি, আজ ও করা হয়নি।







No comments:

ইচ্ছেনদী

আমার ল্যাব টা মাউন্ট sinai এর ১০ তলায়, আর আমার ওয়ার্কিং ডেস্কটা একদম জানালার ধারে , বিশাল জানালা। মনে হয় মেঘ গুলো এখুনি ঢুকে পড়বে এর মধ্যে। ...