একদিন এই স্বপ্ন আমি প্রতিনিয়ত দেখতাম। আমরার আর একজন কে, তা জানার তখন প্রয়োজন ও ছিলোনা , তার অনুভব ও ছিলোনা, আজ সময়ের সাথে সাথে সে স্বপ্ন এর বীজ ঘুমিয়ে পরেছিল. হটাৎ দূর থেকে ভেসে আসা এক প্রতিধ্বনি খুব অন্যভাবে, অন্য মায়ায় আবার আমার সেই স্বপ্ন, স্বপ্নমাখা দোলনাকে মনে করিয়ে দিয়ে গেল।
Saturday, 31 March 2018
প্রতিধ্বনি
একদিন এই স্বপ্ন আমি প্রতিনিয়ত দেখতাম। আমরার আর একজন কে, তা জানার তখন প্রয়োজন ও ছিলোনা , তার অনুভব ও ছিলোনা, আজ সময়ের সাথে সাথে সে স্বপ্ন এর বীজ ঘুমিয়ে পরেছিল. হটাৎ দূর থেকে ভেসে আসা এক প্রতিধ্বনি খুব অন্যভাবে, অন্য মায়ায় আবার আমার সেই স্বপ্ন, স্বপ্নমাখা দোলনাকে মনে করিয়ে দিয়ে গেল।
Friday, 30 March 2018
পরিচয়
তার যোগ্য আমি নয়।
বোলোনা বোলোনা আমায়
হয় বড় ভয়।
কিভাবে, কেমনে জানিনা
হলো এই পরিচয়।
শেষ হয়ে সব কিছু হয় নাই শেষ
মন কেন ভেসে যায়
হায় এ কোন আবেশ।
চাঁদ বলে আয় আয় ,
পাখি যায় ডেকে।
আমি শুধু চুপ করে
দেখি দূর থেকে।
আকাশে বাতাসে আজ সর্বনাশের খেলা ,
মেঘ আর চাঁদে মিলে ভাসিয়েছে ভেলা।
কখনো লুকায় শশী তার ওই মুখ,
মেঘ তাকে ডাকে কাছে -
পেয়ে সর্ব সুখ.
আবার কখনো বা চন্দ্রমা
দিগন্ত ভুলায় ,
মেঘ তার পিছে চলে হয়ে নিজহারা
এভাবে অভ্র কুমুদের আপন মায়ায়
ভেসেছে আমার নিশি হয়ে বাণিহারা।
আপনি মাধুরীতে শশী আপনি সুন্দর,
ভাবে সে বোধয় ওই সরসীর এ এক কৌশল।
চাঁদের জ্যোৎস্নায় ভাসি ,
সরসী বলিছে হাসি ,
আমি কেউ নয়।
আকাশে ভূমিতে আর কি বা পরিচয়।
তোমার তুমিতে তুমি আপনি মহান ,
নিজ গুণে পেয়েছো সবা মাঝে স্থান।
ভুলেছিলে তুমি তব আপন কিরণ।
তাই দেখে আমি শুধু দেখিয়েছি
তোমার নিজ প্রতিফলন।
আমি খুশি এই দেখে তুমি আছোভালো ।
যে আলো তোমার অধিকার ,
তা তুমি জ্বালো।।
Monday, 26 March 2018
রূপকথা
আজ জানো, তোমাদের এক বীরপুরুষের গল্প বলবো, শুনবে? সেই যে মনে আছে? যখন যুদ্ধ চলছিল "ঢাল তলোয়ার ঝনঝনিয়ে বাজে"....সেই রকম যুদ্ধ। .প্রতিনয়ত। .যুদ্ধক্ষেত্র হয়তো আলাদা হয়, কিন্তু যুদ্ধের বিরাম হয়না, যুদ্ধ শেষে কখনো তাতে আমাদের সবার ভেতরের সেই বীর,..কখনো তারা জয়লাভ করে, কখনো বা ক্লান্ত হয়ে পরে। সেইরকম এক যুদ্ধ ক্লান্ত বীরপুরুষ একদিন এসে বসেছিল এক নদীর পাশে, নদী চলছিল তার আপন নিয়মে, সে নিয়ম কখনো ভাঙ্গেনা। ভাঙলেই যে বড় ভয় , যদি সবকিছু ভেসে যায়, তাই সে সবসময় নিজেকে ওই নিয়মের গন্ডীর ভেতরে রাখে, ওই সীমারেখা সে আপনি টেনেছে, ওর ভেতরে থেকেই সে ছুটে চলেছে দূর থেকে দূরে, বর্ষায় উচ্ছসিত হয়েছে, শীত এ শুষ্ক, গরমে বিদগ্ধ। কিন্তু তার ওই গণ্ডীর ভেতরে।
একদিন দূর থেকে যখন সে দেখলো, ওই মিষ্টি বীরপুরুষ ক্লান্ত হয়ে গেছে বড়। হু হু করে উঠেছিল বুকের ভেতরটা। মনে হয়েছিল তার সমস্ত জল টুকু দিয়ে ভিজিয়ে দি ওই ক্লান্তিটুকু, মুছিয়ে দি সমস্ত পরাজয়। আর তারপর অনেক আদোরে অনেক যত্নে সেই বীরপুরুষ স্নিগ্ধ ছায়াতে তার দুচোখে স্বপ্ন এঁকে নিক তারপর আবার দিগ্বিজয়ে বের হোক। নদীর সে কথা শুনতে পেয়েছিলো বুঝি মানুষটা।ধীর পায়ে এগিয়ে এলো সে। তারপর পারে বসে কত কথা হলো দুজনার। নদী বললো তার চলার কথা আর বীরপুরুষ বললো সে এক রাজকন্যা কে আনতে যাচ্ছে, তার জন্যেই এ যুদ্ধ। তারপর ধীরে ধীরে সূর্য্য পাটে বসলো, যে ভোরের সূচনা একসাথে হয়েছিল, সন্ধ্যাকাশের ওই শুকতারা জানান দিয়ে গেল দিবাবসানের কথা। সেদিন রাতে ছিল একটা ফালি চাঁদ, আর চৈত্র মাসের আকাশ ভরে গেছিলো তারায় তারায়। যুদ্ধে ক্লান্ত বীরপুরুষ ঘুমিয়ে পড়েছিল, নদী তার ছলাক ছলাক শব্দে চেষ্টা করছিলো তার সবটুকু ক্লান্তি দূর করে এই পৃথিবীর সমস্ত সুন্দর কে ওই দুচোখে ঘুমের ছলে এনে দিতে। দূরে কোথাও থেকে ভেসে আসছিলো বেহাগ এর সুর।
তারপর হটাৎ ঝড় উঠলো , বৃষ্টি আর বজ্রপাতের আওয়াজে ঘুম গেলো ভেঙ্গে, চোখে তখনো স্বপ্নের রেশ লেগেছিলো তার, বাঁশির শব্দ তখনো যাচ্ছিলো শোনা। ভালো করে কিছু বোঝার আগেই তৈরি হয়ে নিতে হলো যুদ্ধের জন্যে। নদী তাকে সঙ্গ দিলো। মনে করিয়ে দিলো, রাজকন্যা কে আনতে যেতে হবে যে। নিজে হাতে যুদ্ধবেশে সাজিয়ে রণভূমিতে পাঠিয়ে দিলো। তলোয়ার যেমন রইলো সে হাতে, ঢাল ও তুলে দিলো নদী নিজে অপর হাতে। নদী জানতো, এ যুদ্ধে সে জয়ী হবেই। আর মনে মনে রাজকন্যা কে বললো, দেখো কন্যে, আমার বীরপুরুষ কে সামলে রেখো। বড় অভিমানী মন তার, যত্ন করে, আদরে মুড়ে দিও তাকে। যুদ্ধশেষে সে এখনো খোঁজে একটা স্নেহময়ী হাত, একটা ভালোবাসার কোল। তাই যুদ্ধশেষে যখন তোমাকে জয় করে আনবে সে, তখন ওই কোল পেতে দিয়ো, যে অপার ভালোবাসায় তুমি তার কাছে ফিরে এলে, সে ভালোবাসা দিও তাকে উজাড় করে।
কোনো এক পড়ন্ত বিকেলের আবীর রঙে রাঙিয়ে রাঙা ঘোড়াকে সঙ্গে নিয়ে সেই ছোট্ট বীরপুরুষ তার নদীর কাছে এসে বসেছিল। দুজনের কেউ ই বুঝতে পারেনি যে কখন এক মধুর মিতালি হয়ে গেছিলো। সে মিতালীতে ছিল একে অপরকে নিজ নিজ গন্তব্যে এগিয়ে চলার নির্দেশ। সে "বন্ধনহীন গ্রন্থি" তে ছিল স্বপ্ন দেখার আহ্বান। সেই সখ্যতার মধ্যে কখনো ছিল ছোট্ট ছেলের দামালপনা, কখনো বা মা এর মতো শাসন, আবার কখনো বা খেলার সঙ্গী হারানোয় দুই শিশুর মতো একে অপরের কাছে অশ্রুসজল অবোধ অনুযোগ।
আজ আবার এক পড়ন্ত বিকেল। নদীর পারে সূর্য্য আবার পাটে বসেছেন। ধ্যানমগ্ন শান্তিতে নদী স্থির করেছে নিজেকে। ছোট্ট বীরপুরুষ এখন অনেক বড়, সে তার ঘোড়া ছুটিয়ে চলে গেছে অনেক দূরে। নদী জানে, যে যুদ্ধ এখন চলছে, সে যুদ্ধ শেষ হবেই। যুদ্ধজয়ী পরিণত বীর খুঁজে পাবে তার সুখী গৃহকোণ। রাজকন্যের হাত ধরে সেই ঘরের কোণে সন্ধ্যারতির মধ্যে দিয়ে নেমে আসবে শান্তি। আর নদী, নদী সেই সুখী গৃহকোণের শান্তিবারিতে নিজেকে করবে স্নিগ্ধ, করবে সমৃদ্ধ। আর মনে মনে বলবে, দেখো কন্যে, আমার বীরপুরুষ কিন্তু সত্যি ই বড় বীর। অসীম তার ধৈর্য্য, সহ্য। যত যুদ্ধই চলুক, দেখো সে যেন আহত না হয়। আর বীরপুরুষ, তার জন্যে শুধু একটাই কথা, যেকথা বলতে চেয়েছিলো, কিন্তু তখন আর বলা হয়নি, সেটা হলো, তোমার ওই দামাল মনটাকে শিকলে বেঁধোনা, খুব নরম তো, জোর করে বাঁধলে লাগবে, তাকে যত্নে রেখো। আদরে। আর ভালো থেকো।। খুব।
Sunday, 25 March 2018
প্রদীপের শিখা
Saturday, 24 March 2018
Lovely saturday night
O my lovely Saturday night.
It's not necessary to get you in my arms
o dear-
but it's true that I always found love everywhere,
and laughter in every single thing.
and it's true that it's a wonderful night.
even if there is nothing-
nothing to dance or sing or recite,
but still, I found everything in my life
and happy not to get many too
and there's no denying
that
its my lovely lovely saturday night.
Thursday, 22 March 2018
semicolon
সত্যি তো যে সত্যি আর সিম্প্লিসিটির আমি বড়াই করি, যে সিম্প্লিসিটি আমি খুঁজতে পারি বলে, লোকে unbiased judgment করাতে চায়, সেই আমি জীবনের আসল দিক টা যে ভুলেই যাচ্ছিলাম। simplicity. অনেক বেশি কিছু না ভেবে সোজা ভাবে থাকাই তো জীবন। জীবন তো এত জটিল নয়। একটা সরল রাস্তা যে। সেই রাস্তায় পাশে হেঁটে যাওয়ার মধ্যে কোনো জটিলতা নেই। ভালোলাগার মধ্যে কোনো গ্লানি নেই। কোথাও কাউকে এতটুকুও কোনো ঠকানো নেই, ফাঁকি নেই। বরং ভালোলাগাটা কুড়িয়ে নিয়ে, সত্যি টাকে সাথে করে পাশের মানুষটার হাত কি শক্ত করে ধরা যায়না? পড়ন্ত বিকেলের রোদ , সকালের নরম ভাবনা গুলোর মিষ্টতাকে আবার ফিরিয়ে দিয়ে গেলো, আর তার সাথে মিলেমিশে এক হয়ে অনন্য মায়াজাল তৈরি করে দিলো। মনে হলো ঠিক যেন একটা রাস্তা, আর কেউ যেন হাত ধরে রাস্তা পার করে দিলো।
Tuesday, 20 March 2018
Akash amar vorlo aloy
Vabnar var lekhonite ujar Kore na diye thakte parlamna sesh parjanto. Har manlo mathar asahyo jantronao. Ekta chera pata urte urte ese pouchechilo Amar hate. Se lekhar govirata amar marmosthal parjanto jano shihorito Kare dilo...ak akdvut bedona abar ak nirbak shantite amar duchokh chapiye jol uchle uthche aj. Bujhlam se jal thamano amar nijer khamotar baire. Buker vetor ajasro na bola kathar dheu shudhu balish vijiye dite laglo. Tai abosheshe ashroy khunjlam ei Android er blog e.
Sabkatha guchiye balar moto sharirik ba manosik abosthay aj Ami nei. Moner sab Katha Tai tule dharte parchina. Shudhu sei lekhoker uddeshye boli.. appekkhay thakbo. Tumi janona kabi, tomar lekhoni baro Maya jarano, ador makhano. Oi lekhonir jore tumi sab na paoake prapti dio, ghrina ke valobese hayo garbito, swapno diye vore jak tomar ghareo sabkata deoal. R oi je tomar baganer je golaper kuri? Dekho r kadiner madhyei charidik alo Kare se hese uthbe.
Monday, 19 March 2018
Why again
Some old words,
Made me walk in the down memory lane.
Felt the same warmth on my cheek,
That same feel-
Why again?
Sunday, 18 March 2018
নিস্তব্ধতা
Saturday, 17 March 2018
জল তোকে ছুঁয়ে আসি
পাহাড়ের রুক্ষতা লাগছেনা আর ভালো,
সঙ্গে নিয়ে চল তুই আমায় ,
যেখানে শুধু আলো আর আলো।
যেখানে চাঁপার গন্ধে আকুল দুপুর বেলা -
আলোছায়া রোদে বিছানাতে শুয়ে,
অগোছালো ভাবে উড়বে ডায়েরি র পাতা।
জীবন তখন মোটেও শক্ত নয়,
সবের মাঝে জড়িয়ে যে রূপকথা।
সেইখানে চল নিয়ে তুই আমায়,
শুধু বসে থাকি তোর পাশটিতে।
ছলাক ছলাক করে নাহয় বলিস কিছু কথা,
রিনিঝিনি নুপুর বাজাস লহরীতে।
তবু আজ তুই নিয়ে চল সেখানেতে ,
তোর ওই জলে পা দিয়ে আমি বসি।
আর কিছুনয় , আমি শুধু চাই
ও নদী তোর জলটাকে ছুঁতে ,
ওতেই আমি হবো বড়ো খুশি।।
বড় বেশি ব্যস্ত সবকিছু, সবাই।
চারিদিকে শুধু ব্যস্ত মানুষজন।
কিছুক্ষন নাহয় চল না, না হয় নাই বা দৌড়লাম
পাশাপাশি থাকি বসি কিছুক্ষন।
বাতাস তখন ওড়না ওরাক,
গোধূলির মৃদু হাসি।
দুচোখ ভোরে চল দেখে আসি আমি
কানে কানে নাহয় বললি ই ভালোবাসি।
আকাশ নাহয় মাতাল হলোই
একরাশ রজনীগন্ধা,
হাতে নিয়ে আসিস, চারিদিক ভাসি
আমার অভিমানী অপরাজিতা।
কাঞ্চন ফুলে গাছ গেছে ছেয়ে,
মাধবী লুটায় ভুঁয়ে।
আর কিছুনয় , আমি শুধু চাই
ও নদী তোকে,
আসতে তোকে ছুঁয়ে।
Friday, 16 March 2018
ভালো থাকা।
দূরে সরিয়ে রাখলাম আমার কান্না
তোমার রোদ্দুর আনতে আনতে
ভুলে গেলাম আমার মেঘে ভরা আকাশ
কান্না আমি আটকাতে চাইনা।
কান্না আসুক দুচোখ ভোরে।
কালকের সারারাতের বৃষ্টির মতো ,
ভিজিয়ে দিক আমার তোমার সকল আবেগ।
ধুয়ে মুছে যাক সমস্ত যন্ত্রণা।
শুধু নির্মল একটা ভোর হোক তারপর
মেঘ নয় ,
রোদ ঝলমলে দিন চাই আমার।
আমাদের চেতনা যেখানে প্রাণবন্ত,
বোধ যেখানে সঠিক।
আর ঠিক সেই বোধ , সেই চেতনা-
সঙ্গে নিয়েই চলো। .এগিয়ে চলি
সেই হোক আমাদের সাধনা।।
হয়তো আজ বুঝছো ভুল।
অভিমানে বুকের ওপর হয়তো বা উঠছে ঢেউ.
সেতো আমার গলার কাছে জমা হয়ে আছে কান্না।
ঠোঁটের কাছে না বলা কত কথা।
তবু জানি, একদিন বুঝবে তুমি এর মানে।
জানোতো চলার পথে পথ চলা তবুও যায় একসাথে ,
কিন্তু সাধনার ওই আসন ভাগ করে নেওয়া বড় সহজ কথা নয়
সেই পথে চেয়েছি তোমায়
দেখো, চিনে নিতে ভুল কোরোনা যেন ,
চিনো তার ঠিক পরিচয়।
আর আমি
তোমার ভালোবাসা কে বদলে দিতে চাই তোমার ভালো থাকায়।
Thursday, 15 March 2018
মায়া
আজকের সকাল টা অন্যদিনের মতো আনন্দের সাথে শুরু করতে আমি পারিনি, কেমন এক মনখারাপ মেশানো সকাল ছিল আজকের। যত দিন এগিয়ে আসছে এই জায়গাটা ছেড়ে চলে যাবার, ততো বেশি করেই যেন এই জায়গাটা আমাকে মায়ায় জড়াচ্ছে। কি যে পোড়া মন একটা আমার। কোনো কিছু ছেড়ে চলে যেতে বড্ডো মনখারাপ হয়। যখন স্কুল এ পড়তাম, মনে আছে নতুন ক্লাস এ যখন উঠতাম, নতুন বই এর আনন্দের সাথে সাথে পুরোনো বই গুলোর জন্যে খুব মনকেমন করতো। খুব যত্ন করে ভালো করে সেগুলোকে আবার রেখে দিতাম। অর্পিতা বলে আমার এক জন পাড়াতুতো বোন ছিল, টুকটুক করে এসে ও সেই বই গুলো নিয়ে যেত।
আমার শহর, নিজের হাতে গড়া আমাদের ছোট্ট সংসার আর শহরতলীর এই একান্ত আপনার আমার ছোট্ট ঘরের কোণ। শহর আর শহরতলী, এই দুয়ের ভালোবাসা, এই দুয়ের মায়া আমাকে এই কয়েকবছর যেন একদম আচ্ছন্ন করে রেখেছিলো। সেই মায়াকাজল চোখে দিয়ে আমি সবকিছুর মধ্যে খুঁজে পেয়েছি অনন্ত ভালোলাগা। ঘুম ভেঙে উঠে চাঁদ দেখেছি। পাগলের মতো কাজ করেছি, পড়াশুনা করেছি, বিকেলে কফির কাপ এর চুমুকে জীবন্ত হয়ে উঠেছে আমার ক্যাফেটেরিয়ার নরম আদর, দুচোখ ভোরে দেখেছি ওই আবীর মাখানো গোধূলি, ধ্যানমগ্ন সন্ধ্যার সান্নিধ্য এ পেয়েছি নিশ্চিন্তের শান্তি, ব্যাডমিন্টনের racket এ শেষ করে দিয়েছি সমস্ত না পাওয়ার অভিমান, তারপর রাত্রির মুগ্ধতা দুচোখে জড়িয়ে নিয়ে পরের দিনের নতুন ভোরকে করে নিয়েছি আলিঙ্গন।
শনি রবিবার গুলোতে আমাকে রান্নার নেশাতে পায়, যদি আমি বলি, সেও এক অনবদ্য কবিতা, জানি, হাসবে তুমি। তা হাসো, কিন্তু ভাবোতো তেল, মশলা আর সমস্ত উপকরণ যদি সঠিক ভাবে ছন্দবদ্ধ না হয়, সুরে সুর যদি না মেলে, তাহলে কখনই কি আর সে সঠিক রান্না হতে পারে? সেই কবিতার সুরে আমাদের রসনা হয়েছে তৃপ্ত। দিল্লীর অলিতে গলিতে আছে অনেক ইতিহাস। সেই ইতিহাস কুড়োতে কুড়োতে কখন আমাদের ও অনেক ভালোলাগা ছড়িয়ে দিয়েছি ওই কালীবাড়ি প্রাঙ্গনে, মার্কেট ২ এর আড্ডায়, বাউলির সিঁড়িতে, c.p. এর রাস্তায়, নিজামের কাবাব এ, karims এর কোর্মা তে, পুরোনো দিল্লির ঘিঞ্জি গলি বা গুরগাওঁ এর মেকি আধুনিকতায়; জামা মসজিদের আজানে বা ইস্কন এর আরতিতে, বাংলা সাহেবের আতিথেয়তায় বা অক্ষরধামের চাকচিক্যে, গুরবায়ুর সিম্প্লিসিটিতে বা লোটাসে র শান্ত সৌন্দর্য্যে। মনে আছে যেদিন প্রথম ওখানে যাই, আরতির তালে তালে চোখ দিয়ে দরদর করে জল পরে চলেছিল, আর সেই প্রথম আমি কান্না লুকানোর কোনো চেষ্টা করিনি। কান্নার মধ্যে যে এতো তৃপ্তি আছে সেদিন বুঝেছিলাম।
এইভাবেই কখনও এই শহর আমার কাছে ওই pollution, রেপ বা চুরির শহর হয়ে উঠেতে পারেনি, খুব এক ভালোলাগার শহর হয়ে থেকেছে। জানি যেখানেই যাবো, যেখানেই থাকবো সেখানেও আবার খুঁজে পাবো আমার হাজার ভালোলাগা। নিশ্চই খুঁজে পাবো। তবু আমার আমি টাকে এই শহর টাই এনে দিয়েছিলো আমায়, আর সেই আমি টাই আবার কোনো এক মধ্যাহ্ণের, নিস্তব্ধতার মধ্যে, সন্ধের শান্তির মধ্যে দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল তাদের দুজনার ভালোবাসায় মোরা সুখী গৃহকোণে। ঝড়ের মধ্যে দিয়েও বারবার খুঁজে পেয়েছে সেই বন্ধুতার হাত। সেই সব কিছুকে, সেই অনুভবের জায়গা গুলোকে কি ছেড়ে যাচ্ছি? জানিনা।.কেন আর কিসের এই মনখারাপের নেশায় পেয়েছে আমায়।
Wednesday, 14 March 2018
খেলিছ এ বিশ্বলয়ে
হয়তো সেই ছোট্ট বেলায় আমার মতোই, আমাদের আর পাঁচজনের মতোই মা বাবার হাত ধরে তারা গুনতে শিখেছিলেন, দেখতে, ভালোবাসতে শুরু করেছিলেন ওই আকাশের অসীমতাকে। তারপর আমাদের দৃষ্টিআকাশের অনেক অনেক ওপরে পৌঁছে গিয়ে তিনি ছুঁয়েছেন সেই মহাজাগতিক ছন্দময়তাকে, প্রত্যক্ষ করেছেন অনিন্দ্য সেই সুরের ইন্দ্রজালকে যার মধ্যে বাঁধা পরে আছে কৃষ্ণগহ্বরের রহস্যময়তা, রাত্রির অপার সৌন্দর্য্য বা দিনের আনন্দমুখরতা।
---"Stephen Hawking – There is no God. There is no Fate"
Thursday, 8 March 2018
শুকতারা
Wednesday, 7 March 2018
বেঁচে আছি
Friday, 2 March 2018
প্রতীক্ষা
তখন কেমন যেন এক ক্লান্তিময় শান্তি আসে চারিদিকে।
কেমন যেন বিষাদ ময় ক্লান্তি।
সেখানে কথা হারায় তার আপন শব্দ,
সুর হারায় তার আপন গতি ,
তাল হারায় তার আপন ছন্দ।
আর ওই সুর তাল গতি সবকিছু হারিয়ে থাকা প্রকৃতি
নিস্তব্ধ হয়ে, নীরব হয়ে, একেবারে স্তব্ধ হয়ে
অপেক্ষা করে।
সঠিক সময় এর।
একেবারে স্তব্ধ হয়ে, নীরব প্রতীক্ষা করে
সবুজ পাতার। ....
কখন গাছে গাছে আবার ভরে যাবে আম্রমুকুল ,
যুথির গন্ধে , বেলির আগমনে বাতাস হবে আমোদিত।
জ্বলবে আলো।
ফিরে আসবে সুর, তাল, বর্ণ , গন্ধ।
বীণা বেজে উঠবে তার আপন ছন্দে।
ততক্ষন থাকনা। ..
থাকনা সবকিছু স্তব্ধ হয়ে
বোলোনা বোলোনা , কোনো কথার
কোনো অজুহাতের , নেই কিছু দরকার।
অযথা কিছু দিয়ে আমার এ প্রতীক্ষা কোরোনা ভঙ্গ তুমি।
সুরে সুর আজ মিলছেনা ,
তাল গেছে কেটে।
তার থেকে চলো ঠিক সুরটাকে খুঁজি মোরা-
সুন্দর কে আনি।
ততক্ষন সবকিছু থাক নাহয় থেমে ,
নাহয় না থাক কোনো বাণী।
Thursday, 1 March 2018
তুমি তেজ, আমাতে তেজ স্থাপন করো
- asato mā sad gamaya,
- tamaso mā jyotir gamaya,
- mṛtyor mā amṛtaṃ gamaya,
- Om shanti~ shanti~ shanti hi~~
- Lead me from falsehood to truth,
- Lead me from darkness to light,
- Lead me from death to the immortality
- Om peace peace peace
আলো
ইচ্ছেনদী
আমার ল্যাব টা মাউন্ট sinai এর ১০ তলায়, আর আমার ওয়ার্কিং ডেস্কটা একদম জানালার ধারে , বিশাল জানালা। মনে হয় মেঘ গুলো এখুনি ঢুকে পড়বে এর মধ্যে। ...
-
কিছুদিন ধরে পুরোনো বেশ কিছু ছবি বারবার আমাকে পৌঁছে দিচ্ছিলো আমার ছোটবেলার দিনগুলোতে। আবৃতি, আঁকা, রবীন্দ্র নজরুল জয়ন্তী , আর এই সব ভাবতে ভ...
-
আমার ল্যাব টা মাউন্ট sinai এর ১০ তলায়, আর আমার ওয়ার্কিং ডেস্কটা একদম জানালার ধারে , বিশাল জানালা। মনে হয় মেঘ গুলো এখুনি ঢুকে পড়বে এর মধ্যে। ...
-
কখনো কখনো কোনো মানুষের চলে যাওয়া যেন আমাদের নিজেদের হৃৎপিণ্ডের কিছুটা নিংড়ে দিয়ে যায়। রক্তের সম্পর্ক মানেই শুধু আত্মার সম্পর্ক হয়না। বারেব...