কখনো কখনো কোনো মানুষের চলে যাওয়া যেন আমাদের নিজেদের হৃৎপিণ্ডের কিছুটা নিংড়ে দিয়ে যায়। রক্তের সম্পর্ক মানেই শুধু আত্মার সম্পর্ক হয়না। বারেবারে তার প্রমাণ পেয়েছি। আজ আরো একবার বোধ করলাম তা। নাহলে, যাকে চিনিনা, জানিনা, তাঁর না থাকাটা এতো বেশি করে কেন বুকের মধ্যে ঢেউ তুলছে। জানিনা। শুধু বারবার চোখের ওপর একটা ছবি ভেসে উঠছে, wheel chair এ বসে থাকা একটা মুখ, না অসহায় নয়। অসম্ভব চিন্তাশীল অথচ শিশুর সারল্যে ভরা মহাজাগতিক বিষ্ময়ে বিস্মিত এক অসাধারণ মৌলিক আধার।
হয়তো সেই ছোট্ট বেলায় আমার মতোই, আমাদের আর পাঁচজনের মতোই মা বাবার হাত ধরে তারা গুনতে শিখেছিলেন, দেখতে, ভালোবাসতে শুরু করেছিলেন ওই আকাশের অসীমতাকে। তারপর আমাদের দৃষ্টিআকাশের অনেক অনেক ওপরে পৌঁছে গিয়ে তিনি ছুঁয়েছেন সেই মহাজাগতিক ছন্দময়তাকে, প্রত্যক্ষ করেছেন অনিন্দ্য সেই সুরের ইন্দ্রজালকে যার মধ্যে বাঁধা পরে আছে কৃষ্ণগহ্বরের রহস্যময়তা, রাত্রির অপার সৌন্দর্য্য বা দিনের আনন্দমুখরতা।
হয়তো সেই ছোট্ট বেলায় আমার মতোই, আমাদের আর পাঁচজনের মতোই মা বাবার হাত ধরে তারা গুনতে শিখেছিলেন, দেখতে, ভালোবাসতে শুরু করেছিলেন ওই আকাশের অসীমতাকে। তারপর আমাদের দৃষ্টিআকাশের অনেক অনেক ওপরে পৌঁছে গিয়ে তিনি ছুঁয়েছেন সেই মহাজাগতিক ছন্দময়তাকে, প্রত্যক্ষ করেছেন অনিন্দ্য সেই সুরের ইন্দ্রজালকে যার মধ্যে বাঁধা পরে আছে কৃষ্ণগহ্বরের রহস্যময়তা, রাত্রির অপার সৌন্দর্য্য বা দিনের আনন্দমুখরতা।
সেই সুর, সেই তাল, সেই ছন্দের মধ্যে কোথায় হারিয়ে গ্যাছে পার্থিব না পাওয়া। অপার্থিব সৌন্দর্য্যের সাথে বিলীন হয়ে হাসি মুখে গ্রহণ করেছেন সংসারের ঘাত, প্রতিঘাত। দুহাত ভোরে নিয়েছেন জীবনের সমস্ত দানকে। নিজের কষ্ট মুছিয়ে দেবার জন্যে নির্ভরতা ছিল কিন্তু অপেক্ষা বোধয় ছিলোনা অন্য কারোর। অন্য কোনো জীবনের আশায় থাকেননি, যা কিছু এবং সব কিছু এই জীবনেই। পূর্ণ প্রাণশক্তিতে ওই মহাপ্রাণের গভীর থেকে ধ্বনিত হয়েছে "আমি কৃতজ্ঞ।" দৃঢ়তার সাথে বলেছেন
"We are each free to believe what we want and it is my view that the simplest explanation is there is no God. No one created the universe and no one directs our fate. This leads me to a profound realization. There is probably no heaven, and no afterlife either. We have this one life to appreciate the grand design of the universe, and for that, I am extremely grateful"
---"Stephen Hawking – There is no God. There is no Fate"
---"Stephen Hawking – There is no God. There is no Fate"
কেমন জানি মনে হচ্ছে বারবার ওই মহা মানবের গভীরে ধ্বনিত হয়েছে
"....বিশ্ব ভরা প্রাণ/ তাহারি মাঝখানে আমি পেয়েছি মোর স্থান/ বিস্ময়ে তাই জাগে .... / .....জানার মাঝে অজানারে করেছি সন্ধান / বিস্ময়ে তাই জাগে আমার গান"
কিছু আগেই কবি শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়ের এর এক অসাধারন লেখা পেলাম, যথার্থই বলেছেন উনি, 'হকিং একজন কবি '. সত্যি ই তিনি কবি, যে কবি চিরন্তন শাশ্বত সত্যের সাথে সমস্ত সৌন্দর্য্যকে এক করে দেখতে পেরেছেন। তিনি কবি।
জানি ভগবানে বিশ্বাস তিনি রাখতেননা। তাইতো সমস্ত লিখন কে খন্ডন করে, নিজেই নিজের লেখনী সাজিয়েছেন। তবু ক্ষুদ্র এ মন, বড় ভাবতে ইচ্ছে করছে, বোধয় এই আজকের দিন থেকেই শুরু হলো এক অনন্য অন্বেষণ। বোধহয় ওই 'বিরাট শিশু' মহাকাল, 'কাল' (সময়) এর কান্ডারী কে সাথে নিয়ে মেতে উঠলেন আপন লীলা খেলায়। সৃষ্টির রহস্য সন্ধানে, স্রষ্টা তাঁর সমস্ত মাধুর্য্য মিশিয়ে দিচ্ছেন কি ওই সৃষ্টির পূজারী কে? আর তখন কি
"শূণ্যে মহা আকাশে / তুমি মগ্ন লীলা বিলাসে / ভাঙ্গিছ গড়িছ নীতি ক্ষণে ক্ষণে / নিরজনে প্রভু নিরজনে।".....
No comments:
Post a Comment