Saturday, 28 April 2018

অপেক্ষা

আজ এখানেও মেঘ আর চাঁদ লুকোচুরি খেলছে। নামনা জানা ফুলের গন্ধে চেতনা হারিয়ে যেতে চাইছে। এই চাঁদনী রাত, এই অর্ধ লুপ্ত চেতনা থেকে জাগ্রত হতে হতে, আবার মনে এলো দুই পথিকের গল্প। শুনবে? আমার সে পথিকের কথা? এক শীতের অলস দুপুর, এক শিশু চোখের বেদনাকে অনুভব করতে গিয়ে হটাৎ খুঁজে পেয়েছিলো এক পথিকের শ্রান্তিকে। তারপর সে শ্রান্তি মুছে দিয়ে পথ এক অনুপম বন্ধনহীন গ্রন্থিতে দুই পথিক কে বেঁধে ফেললো। পথের সেই ষড়যন্ত্রে সামিল হয়েছিল শীতের পাতাঝরা, বসন্তের মাতাল সৌন্দর্য্য, চৈত্রের চাঁদ, বৈশাখের বর্ষবরণ, নীল ঘন অপরাজিতা, চিকন সবুজ কচি পাতা আর আরো যে কত কিছু তা কে জানে। আর ওই পাতাঝরার সময় থেকে বসন্তের নবীন আকুলতাকে সঙ্গে নিয়ে আজকের এই রৌদ্র তপ্ত ধরণীর সাথে পা ফেলতে গিয়ে যেন হটাৎ ভয় হলো খুব , মনে হলো একদিন যাকে ছায়া দেবে বলে, আলো দেখাবে বলে, হাতে হাত রেখে একসাথে পা মিলিয়ে শীত এর রুক্ষতাকে দূরে সরিয়ে রেখে বসন্তের নতুনকে আলিঙ্গন করে তাকে যত্ন করে আগলে রেখেছে, কিন্তু এমন তো নয়, তাকে কোনো মিথ্যা স্বপ্নে, মিথ্যা বাঁধনে অচেতন করে ফেলেছে? এমন তো নয়, এই ভালো থাকার ঘোর তাকে সূরার নেশার মতো ধ্বংসের পথে এগিয়ে দিচ্ছে।  ভালো থাকার ঘোর কি ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে? বারবার এই রাতের নীরব অথচ মাতাল সৌন্দর্য্যের কাছে, আমার ওই ঠাকুরের কাছে, সেই এক ই প্রশ্ন করে চলেছি। উত্তর দাও, উত্তর দাও। জানিনা কখন এর উত্তর পাবো, তবু অপেক্ষা করবো। অপেক্ষা করবো আমার সে প্রশ্নের সঠিক উত্তরের। অপেক্ষা করবো সঠিক দিশার। অপেক্ষা করবো একটা সতেজ উজ্জ্বল ভোরের। আর অপেক্ষা করবো আমার সেই বীরপুরুষ, সেই পথিক , সে যেন তার সমস্ত অচেতনতা কাটিয়ে আলোর পথ খুঁজে পায়। কারোর ওপর নির্ভর করে নয়, তার সেই চেতনাদীপ্ত পথ চলার সাক্ষী হবার অপেক্ষা করবো। না না ধ্বংস নয়। সে কখনো যেন হেরে না যায়। সেই জয়ী বীরপুরুষকে দুচোখ ভোরে দেখার অপেক্ষায় থাকবো। 

No comments:

ইচ্ছেনদী

আমার ল্যাব টা মাউন্ট sinai এর ১০ তলায়, আর আমার ওয়ার্কিং ডেস্কটা একদম জানালার ধারে , বিশাল জানালা। মনে হয় মেঘ গুলো এখুনি ঢুকে পড়বে এর মধ্যে। ...