ছোট থেকে আমি অন্য আর পাঁচ জনের থেকে একটু একা একাই বড় হয়েছি। খুব ছোট্ট বেলাতে মনখারাপ হলেও তারপর আর কখনো সেভাবে একা লাগেনি আমার। I never felt lonely actually. বরং দুপুর মানেই আমার কাছে রং পেনসিল, আঁকার খাতা, টিনটিন, পাণ্ডব গোয়েন্দা, গুঁড়ো আমূল দুধ, ডাঁসা পেয়ারা, কোকিলের কুহু, ছাতারে পাখির ঝগড়া এই সব। অনেকদিন ওই পাখি গুলো দেখিনি, মনে আছে ওই পাখিগুলো খুব আসতো আমাদের বাড়িতে। আমি আর বাবা ওদের মুড়ি দিতাম, ভাত দিতাম। ওরা পেঁপের দানাও খেত মনে আছে। খুব কেঁচোর কেঁচোর করতো ওরা। আর আমি ও সমান তালে ওদের সাথে কথা বলতাম। একবার তো দুপুরে এত কথা বলছিলাম যে পাশের বাড়ির পিসি দেখতে চলে এসেছিলো, কেউ এসেছে ভেবে।
এখানে ছাতারে পাখি আসেনা। তবে এখানে পায়রা আসে। ওরাও আমার সঙ্গে অনেক কথা বলে। ওদের হাঁটাটা দেখলে খুব মজা লাগে আমাদের। ঠিক যেন মনে হয়, বুড়ি ঠাকুমা, পেছনে হাত মুড়ে পায়চারি করছে।
এখানে ছাতারে পাখি আসেনা। তবে এখানে পায়রা আসে। ওরাও আমার সঙ্গে অনেক কথা বলে। ওদের হাঁটাটা দেখলে খুব মজা লাগে আমাদের। ঠিক যেন মনে হয়, বুড়ি ঠাকুমা, পেছনে হাত মুড়ে পায়চারি করছে।
গরম কালের দুপুরের একটা আলাদা মাদকতা আছে, নিচে কি একটা নিয়ে যাচ্ছে হেঁকে হেঁকে। তবে এখানের দুপুরের সাথে ভীষণ ভাবে যুক্ত বাঁশি। বাঁশিওলা বাঁশি নিয়ে বাজিয়ে বাজিয়ে এই দুপুরে দিল্লির গলিতে গলিতে ঘুরে বেড়ায়। অদ্ভুত অদ্ভুত একটা সুর। যখন যেদিন প্রথম আসি এখানে, তখন এসেই আমি অবাক হয়ে গেছিলাম। সবে শিফটিং শেষ হয়ে আমরা রেস্ট করছিলাম, এমন সময় ওই বাঁশির সুর। সেই মুহূর্তেই ওই বাঁশির সুর আমাকে আমার এই জায়গাটার সাথে একদম মায়ায় বেঁধে ফেললো। হয়তো কিছুই নয়, সাধারণ, বাচ্চা দের হরেকরকম বাঁশি নিয়ে ওই বাঁশি ওলা যায়। কিন্তু তবু নানান রকম শব্দের মধ্যে আমি অপেক্ষায় থাকি, কখন ওই বাঁশিওলা তার বাঁশিটা বাজাবে।
ছুটির দিন, অলস মধ্যাহ্নের আলোছায়া মাখা দুপুরবেলা, সঙ্গে বাঁশির সুর। মনে হয় যেন স্বপ্ন দেখছি। খুব গরমেও কিছুতেই দুপুরবেলাতে আমি এসি চালাইনা। বাইরের তপ্ত হাওয়া একটু একদিন নাহয় এলোই, ধরণী যে প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে দগ্ধ হচ্ছে, আর আবার দুহাত বাড়িয়ে আমাদের ডেকে নিচ্ছে , স্নিগ্ধ করছে। তার বেলা? আমার কেমন যেন মনে হয় , ওই রাস্তার অনেক কথা আছে, অনেক কিছু বলতে চায় সে। কি যেন একটা নেশা আছে ওই রাস্তার। যেন শুধু ওই নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে যেতে বলে, আর হ্যাঁ আর একটা শব্দ আছে ওই রাস্তার। চরৈবেতি। এগিয়ে চলো।
আর ওই রাস্তা যেমন নেশার তৈরি করে, ঠিক তেমন ই নেশা নিয়ে আসে এই দুপুরবেলা। সামনের বারান্দা দিয়ে একটু গরম, একটু ঠান্ডা মেশানো একটা হাওয়া আসছে। রেলিং এর ছায়া পড়েছে, বারান্দায়। আর আমার এই ঘরটাতে, ওই হাওয়া, এই আলোছায়া, আধখোলা ডায়েরি র পাতা, অবিন্যস্ত হেমেন্দ্রারচনাবলী, অগোছালো এলোমেলো বেল ফুলের গন্ধ, সিলিং ফ্যান এর শব্দ, ফেরীওলার হাঁক সবকিছু যেন এক অনন্য মায়া জাল রচনা করে ভীষণ অলস করে দিচ্ছে আমায়। কালকে সন্ধে থেকে এখানে ঝড় বৃষ্টি হওয়াতে , চারিদিক খুব স্নিগ্ধ হয়ে আছে। আমার তুলসী কে খুব সুন্দর লাগছে আজ। একদম নতুন, সবুজ, সুন্দর। একটা গান আজ ঘুমথেকে উঠে থেকেই মনে পড়ছে, অনেকবার শুনলাম, তবু শুনতে ইচ্ছে করছে।...ওর ছন্দে যেন আজ আমার প্রাণ স্পন্দিত হচ্ছে।...খুব appropriate লাগছে।
দহনশয়নে তপ্ত ধরণী পড়েছিল পিপাসার্তা,
পাঠালে তাহারে ইন্দ্রলোকের অমৃতবারির বার্তা।
মাটির কঠিন বাধা হল ক্ষীণ, দিকে দিকে হল দীর্ণ---
নব-অঙ্কুর-জয়পতাকায় ধরাতল সমাকীর্ণ---
ছিন্ন হয়েছে বন্ধন বন্দীর হে গম্ভীর।।
ছুটির দিন, অলস মধ্যাহ্নের আলোছায়া মাখা দুপুরবেলা, সঙ্গে বাঁশির সুর। মনে হয় যেন স্বপ্ন দেখছি। খুব গরমেও কিছুতেই দুপুরবেলাতে আমি এসি চালাইনা। বাইরের তপ্ত হাওয়া একটু একদিন নাহয় এলোই, ধরণী যে প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে দগ্ধ হচ্ছে, আর আবার দুহাত বাড়িয়ে আমাদের ডেকে নিচ্ছে , স্নিগ্ধ করছে। তার বেলা? আমার কেমন যেন মনে হয় , ওই রাস্তার অনেক কথা আছে, অনেক কিছু বলতে চায় সে। কি যেন একটা নেশা আছে ওই রাস্তার। যেন শুধু ওই নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে যেতে বলে, আর হ্যাঁ আর একটা শব্দ আছে ওই রাস্তার। চরৈবেতি। এগিয়ে চলো।
আর ওই রাস্তা যেমন নেশার তৈরি করে, ঠিক তেমন ই নেশা নিয়ে আসে এই দুপুরবেলা। সামনের বারান্দা দিয়ে একটু গরম, একটু ঠান্ডা মেশানো একটা হাওয়া আসছে। রেলিং এর ছায়া পড়েছে, বারান্দায়। আর আমার এই ঘরটাতে, ওই হাওয়া, এই আলোছায়া, আধখোলা ডায়েরি র পাতা, অবিন্যস্ত হেমেন্দ্রারচনাবলী, অগোছালো এলোমেলো বেল ফুলের গন্ধ, সিলিং ফ্যান এর শব্দ, ফেরীওলার হাঁক সবকিছু যেন এক অনন্য মায়া জাল রচনা করে ভীষণ অলস করে দিচ্ছে আমায়। কালকে সন্ধে থেকে এখানে ঝড় বৃষ্টি হওয়াতে , চারিদিক খুব স্নিগ্ধ হয়ে আছে। আমার তুলসী কে খুব সুন্দর লাগছে আজ। একদম নতুন, সবুজ, সুন্দর। একটা গান আজ ঘুমথেকে উঠে থেকেই মনে পড়ছে, অনেকবার শুনলাম, তবু শুনতে ইচ্ছে করছে।...ওর ছন্দে যেন আজ আমার প্রাণ স্পন্দিত হচ্ছে।...খুব appropriate লাগছে।
দহনশয়নে তপ্ত ধরণী পড়েছিল পিপাসার্তা,
পাঠালে তাহারে ইন্দ্রলোকের অমৃতবারির বার্তা।
মাটির কঠিন বাধা হল ক্ষীণ, দিকে দিকে হল দীর্ণ---
নব-অঙ্কুর-জয়পতাকায় ধরাতল সমাকীর্ণ---
ছিন্ন হয়েছে বন্ধন বন্দীর হে গম্ভীর।।
হে গম্ভীর।।
নীল- অঞ্জনঘন পুঞ্জছায়ায় সম্বৃত অম্বর হে গম্ভীর!বনলক্ষ্ণীর কম্পিত কায়, চঞ্চল অন্তর---
ঝঙ্কৃত তার ঝিল্লির মঞ্জীর হে গম্ভীর।।
বর্ষণগীত হল মুখরিত মেঘমন্দ্রিত ছন্দে,
কদম্ববন গভীর মগন আনন্দঘন গন্ধে---
নন্দিত তব উৎসবমন্দির হে গম্ভীর।।
দহনশয়নে তপ্ত ধরণী পড়েছিল পিপাসার্তা,
পাঠালে তাহারে ইন্দ্রলোকের অমৃতবারির বার্তা।
মাটির কঠিন বাধা হল ক্ষীণ, দিকে দিকে হল দীর্ণ---
নব-অঙ্কুর-জয়পতাকায় ধরাতল সমাকীর্ণ---
ছিন্ন হয়েছে বন্ধন বন্দীর হে গম্ভীর।।
হে গম্ভীর।।
No comments:
Post a Comment